কম্পিউটারের স্থায়ী স্মৃতিশক্তিকে কী বলে?
A
RAM
B
ROM
C
হার্ডওয়্যার
D
সফ্টওয়্যার
উত্তরের বিবরণ
ROM
-
ROM এর পূর্ণরূপ হলো Read Only Memory, অর্থাৎ "শুধু পড়ার জন্য মেমোরি"।
-
এটি এমন এক ধরনের মেমোরি যেখানে সংরক্ষিত তথ্য বিদ্যুৎ না থাকলেও মুছে যায় না।
-
ROM-এ এমন প্রোগ্রাম থাকে যা কম্পিউটারের প্রসেসর এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ চালাতে সাহায্য করে।
-
একে কম্পিউটারের স্থায়ী মেমোরি বা স্থায়ী স্মৃতি বলা হয়।
-
সাধারণভাবে ROM-এ থাকা তথ্য পরিবর্তন বা মুছে ফেলা যায় না।
-
এতে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান (Manufacturer) আগেই সংরক্ষণ করে দেয়।
-
ROM-এ থাকা তথ্য শুধু পড়া যায়, লেখা বা সম্পাদনা করা যায় না।
উৎস: মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
বৈদ্যুতিক মিটারে এক ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ বলতে বুঝায়-
Created: 2 months ago
A
এক কিলোওয়াট-ঘণ্টা
B
এক ওয়াট-ঘণ্টা
C
এক কিলোওয়াট
D
এক ওয়াট
কিলোওয়াট-ঘণ্টা (kWh)
-
যখন ১ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র এক ঘণ্টা কাজ করে, তখন যে পরিমাণ শক্তি ব্যবহার হয় তাকে ১ ওয়াট-ঘণ্টা বলা হয়।
-
বড় ক্ষমতার যন্ত্রের ক্ষেত্রে কিলোওয়াট-ঘণ্টা ব্যবহার করা হয়।
অর্থাৎ, ১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা শক্তি = প্রায় ৩.৬ মেগা জুল।
-
আন্তর্জাতিকভাবে, বিদ্যুৎ সরবরাহকে কিলোওয়াট-ঘণ্টা এককে পরিমাপ করা হয়।
-
বাংলাদেশে, বিল দেওয়ার সময় এক ইউনিট বিদ্যুৎ বলতে ১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা বোঝানো হয়।
-
সুতরাং, আমাদের বিদ্যুৎ বিল কিলোওয়াট-ঘণ্টা অনুযায়ী হিসাব করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
স্টিফেন হকিন্স বিশ্বের একজন অতিশয় বিখ্যাত-
Created: 2 months ago
A
দার্শনিক
B
পদার্থবিদ
C
কবি
D
রসায়নবিদ
স্টিফেন হকিং:
- স্টিফেন হকিং ছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী।
- স্টিফেন হকিং বিশ্বের একজন বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী।
- বিগ ব্যাং তত্ত্বের ব্যাখ্যা সম্বলিত স্টিফেন হকিং এর বিখ্যাত বই – A Brief History of Time.
- তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত Centre for Theoretical Cosmology এর পরিচালক ছিলেন।
- সম্মান: রয়্যাল সোসাইটির ফেলো, প্রেসিডেন্টিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম, কপলি মেডেল
- ১৪ মার্চ ২০১৮ স্টিফেন হকিং মৃত্যুবরণ করেন।
• তাঁর রচিত বইসমূহ:
- A Brief History of Time,
- The Universe in a Nutshell,
- The Grand Design,
- A Brief History of Time.
উৎস: ব্রিটানিকা।
0
Updated: 2 months ago
বিরল ভূতল খনিজ (Rare-Earth Minerals) সম্পর্কিত কোন তথ্যটি সঠিক?
Created: 1 month ago
A
এর মধ্যে ১৫টি ধাতু রয়েছে
B
লিথিয়াম এই খনিজের মধ্যে অন্যতম সদস্য
C
এর অসাধারণ চৌম্বক ধর্ম রয়েছে
D
ইউক্রেন এ খনিজ উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে আছে
বিরল ভূতল খনিজ বা Rare-Earth Minerals হলো আধুনিক প্রযুক্তি ও শিল্পক্ষেত্রে অপরিহার্য একদল মৌল, যাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো পৃথিবীর ভূত্বকে তুলনামূলকভাবে কম পাওয়া গেলেও প্রযুক্তিগতভাবে এর ব্যবহার ব্যাপক।
-
বিরল ভূতল খনিজ পদার্থের অসাধারণ চৌম্বক ধর্ম রয়েছে, যা আধুনিক ইলেকট্রনিক্স ও প্রতিরক্ষা শিল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
মোট ১৭টি মৌল বিরল খনিজের অন্তর্ভুক্ত।
-
এদের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে লিথিয়াম পাওয়া গেলেও এটি Rare-Earth Minerals-এর সদস্য নয়।
-
চীন উৎপাদনের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ।
বিস্তারিতভাবে Rare-Earth Minerals সম্পর্কে তথ্য হলো:
-
বিরল খনিজ হলো ১৭টি মৌলের একটি গ্রুপ।
-
IUPAC (International Union of Pure and Applied Chemistry) এর নামকরণ অনুসারে পর্যায় সারণির ল্যান্থানাইড সিরিজের ১৫টি মৌল (ল্যান্থানাম, সিরিয়াম, প্রাসিয়োডিমিয়াম, নিওডিমিয়াম, প্রমিথিয়াম, স্যামারিয়াম, ইউরোপিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম, টারবিয়াম, ডিসপ্রোসিয়াম, হোলমিয়াম, আরবিয়াম, থুলিয়াম, ইটারবিয়াম, লুটেশিয়াম) এর সঙ্গে স্ক্যান্ডিয়াম ও ইট্রিয়াম মিলিয়ে মোট ১৭টি বিরল খনিজ।
-
যুক্তরাষ্ট্রের জিওসায়েন্স ইনস্টিটিউট অনুযায়ী এগুলো Rare-Earth group হিসেবে গণ্য।
-
Virginia Energy সংস্থার মতে বিরল খনিজ দুটি ভাগে বিভক্ত:
-
Light Rare-Earth Elements (LREE): ল্যান্থানাম, সিরিয়াম, প্রাসিয়োডিমিয়াম, নিওডিমিয়াম, প্রমিথিয়াম ও স্যামারিয়াম।
-
Heavy Rare-Earth Elements (HREE): ইউরোপিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম, টারবিয়াম, ডিসপ্রোসিয়াম, হোলমিয়াম, আরবিয়াম, থুলিয়াম, ইটারবিয়াম, লুটেশিয়াম, পাশাপাশি স্ক্যান্ডিয়াম ও ইট্রিয়াম।
-
Rare-Earth Minerals এর ব্যবহার:
-
ইলেকট্রনিক্স: মোবাইল ফোন, কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভ, বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ি, LED ডিসপ্লে।
-
প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ প্রযুক্তি: লেজার, রাডার, সোলার সিস্টেম, জেট ইঞ্জিন, মিসাইল সিস্টেম, স্যাটেলাইট।
-
নবায়নযোগ্য শক্তি: বায়ু টারবাইন, সৌর প্যানেল।
-
শিল্পক্ষেত্র: চিকিৎসা, অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রি, কাচ ও সিরামিক শিল্প।
-
এগুলোর উত্তোলন ও পৃথকীকরণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল।
বৈশ্বিক উৎপাদন ও মজুত:
-
চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় Rare-Earth Minerals মজুতের অধিকারী (৪৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন)।
-
বর্তমানে চীন খননের ৭০%, প্রক্রিয়াজাতকরণের ৯০%, এবং চুম্বক তৈরির ৯৩% নিয়ন্ত্রণ করছে।
-
২০২৪ সালে চীনের উৎপাদন ছিল ২,৭০,০০০ টন।
-
অন্যান্য দেশ:
-
ব্রাজিল (২১ মিলিয়ন টন মজুত, ২,৯০০ টন উৎপাদন),
-
ভারত (৬.৯ মিলিয়ন টন মজুত, ২,৯০০ টন উৎপাদন),
-
অস্ট্রেলিয়া (৫.৭ মিলিয়ন টন মজুত, ১৩,০০০ টন উৎপাদন),
-
রাশিয়া (৩.৮ মিলিয়ন টন মজুত, ২,৫০০ টন উৎপাদন),
-
ভিয়েতনাম (৩.৫ মিলিয়ন টন),
-
যুক্তরাষ্ট্র (১.৯ মিলিয়ন টন মজুত, ৪৫,০০০ টন উৎপাদন)।
-
বাংলাদেশে সম্ভাবনা:
-
বাংলাদেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহের পাহাড়ি স্রোতধারা, গাইবান্ধার যমুনা নদী, ধরলা নদীর বালু এবং দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে তেজস্ক্রিয় মৌল ও Rare-Earth Elements পাওয়া গেছে।
-
বিশেষ করে মোনাজাইট ও জিরকনের সঙ্গে যুক্ত লিথিয়াম, ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, স্যামারিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম, টারবিয়াম ও ডিসপ্রোসিয়াম পাওয়া গেছে।
-
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি কেজি বালুতে ৬০–১৭৬ মিলিগ্রাম Rare-Earth Elements থাকতে পারে।
-
এটি বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য খনিজ সম্পদে পরিণত হতে পারে।
0
Updated: 1 month ago