বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ-
A
একই হয়
B
বেশি হয়
C
কম হয়
D
খুব কম হয়
উত্তরের বিবরণ
- বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ একই হয়।
- ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফুল স্পিডে বা আস্তে যেভাবেই ঘুরানো হউক না কেন পাওয়ার একই খরচ হয়, কারণ ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ইন্ডাকটর দ্বারা তৈরি।
- ফ্যান চলার সময় এই রেগুলেটর কমিয়ে দিলে ফ্যানের গতি কমে কিন্তু ইন্ডাকটর উত্তপ্ত হয়, এই উত্তাপের কারণে বৈদ্যুতিক পাওয়ার খরচ হয়।
- আবার ইলেকট্রনিক রেগুলেটরের বেলায় ভিন্ন, এটি একটি ভেরিয়েবল রেজিস্টর যা তৈরি হয় থাইরিস্টর ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে।
- এতে উত্তাপের পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকার কারণে রেগুলেটর লসও খুবি নগন্য হয়, ফলে ফ্যানের গতি কমালে পাওয়ার কম খরচ হবে এবং ফ্যানের গতি বাড়ালে পাওয়ার খরচ বাড়বে।
- তাই ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতি কম হলে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।
উৎস: সাধারন বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 6 days ago
তরল পদার্থের কোন বৈশিষ্ট্যটি সত্য?
Created: 1 month ago
A
আকার ও আয়তন উভয়ই নেই
B
নির্দিষ্ট ওজন থাকে, কিন্তু কোনো পাত্র ধারণ করতে পারে না
C
নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে
D
নির্দিষ্ট আকার নেই, তবে নির্দিষ্ট আয়তন আছে
চৌম্বক পদার্থ হলো সেই সমস্ত পদার্থ যা চুম্বকের দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং যাদেরকে চুম্বকে রূপান্তর করা সম্ভব।
-
বেশির ভাগ চৌম্বক পদার্থে লোহা থাকে, তাই এদেরকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ (Ferromagnetic materials) বলা হয়।
-
'ফেরো' শব্দের অর্থ লোহা।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট।
অচৌম্বক পদার্থ হলো সেই সমস্ত পদার্থ যা চুম্বকের দ্বারা আকৃষ্ট হয় না এবং যাদেরকে চুম্বকে রূপান্তর করা যায় না।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন, কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, রাবার।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন জ্বালানি পোড়ালে সালফার ডাই অক্সাইড বাতাসে আসে?
Created: 1 week ago
A
ডিজেল
B
পেট্রোল
C
অকটেন
D
সিএনজি
সালফার ডাই–অক্সাইড (SO₂) একটি বায়ুদূষক গ্যাস, যা মূলত সালফারযুক্ত জ্বালানি পুড়লে উৎপন্ন হয়। এই দিক থেকে ডিজেল হলো এমন একটি জ্বালানি যাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সালফার যৌগ থাকে, তাই এটি পুড়লে বাতাসে সালফার ডাই–অক্সাইড নির্গত হয়।
-
ডিজেল মূলত অপরিশোধিত খনিজ তেল থেকে তৈরি হয় এবং এতে সালফারের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশি। যখন এটি দহন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, তখন সালফার অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে SO₂ গ্যাস তৈরি করে, যা বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ।
-
এই গ্যাস বৃষ্টির পানির সাথে মিশে অম্লবৃষ্টি (acid rain) সৃষ্টি করে, যা মাটি, গাছপালা ও স্থাপত্যের ক্ষতি সাধন করে।
-
দীর্ঘমেয়াদে এটি মানবস্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর, কারণ এটি শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, কাশি ও অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়ায়।
অন্য বিকল্পগুলোর তুলনা করলে—
-
পেট্রোল ও অকটেন-এ সালফারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম, তাই এগুলো থেকে SO₂ নির্গমন সীমিত।
-
সিএনজি (Compressed Natural Gas) সবচেয়ে পরিষ্কার জ্বালানি হিসেবে পরিচিত; এতে মূল উপাদান হলো মিথেন (CH₄), যা পুড়লে কার্বন ডাই–অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়, সালফার ডাই–অক্সাইড নয়।
অতএব, পরিবেশগত ও রাসায়নিক দিক থেকে স্পষ্ট যে ডিজেল পোড়ালে সালফার ডাই–অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
সঠিক উত্তর — ক) ডিজেল।
0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি লব্ধ রাশি?
Created: 1 month ago
A
ভর
B
কাজ
C
তাপমাত্রা
D
সময়
ভৌত রাশি এবং তাদের পরিমাপ
বিজ্ঞান অনুযায়ী সবকিছুর পরিমাপ করা প্রয়োজন, কারণ বিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য হলো পরিমাপের মাধ্যমে বিষয়গুলোকে নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা করা। যা কিছু পরিমাপ করা যায় তাকে রাশি বলা হয়। ভৌতজগতে অসংখ্য রাশি আছে, যেমন- দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা, আয়তন, ওজন, তাপমাত্রা, রং, কাঠিন্য, অবস্থান, বেগ, ভেতরের উপাদান, বিদ্যুৎ পরিবাহিতা, স্থিতিস্থাপকতা, ঘনত্ব, চাপ, গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক ইত্যাদি। এই অসংখ্য রাশিমালা পরিমাপের জন্য অনেক সংজ্ঞা ও একক প্রয়োজন হয় না; কেবল সাতটি মৌলিক রাশি এবং তাদের একক ব্যবহার করে অন্য সব একক বের করা যায়।
মৌলিক রাশি:
-
যে সাতটি রাশির সাতটি একক ব্যবহার করে অন্য সব একক নির্ণয় করা যায়, সেগুলোকে মৌলিক রাশি বলা হয়।
-
উদাহরণ: দৈর্ঘ্য, ভর, সময়, বৈদ্যুতিক প্রবাহ, তাপমাত্রা, পদার্থের পরিমাণ, দীপন তীব্রতা।
-
এই সাতটি মৌলিক রাশি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং এদের একককে SI একক বলা হয়।
লব্ধ রাশি:
-
মৌলিক রাশির সমন্বয়ে যখন কোনো রাশি প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে লব্ধ রাশি বলা হয়।
-
উদাহরণ: কাজ, ক্ষমতা, বল, বেগ, ত্বরণ, ঘনত্ব ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago