ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে যে তথ্যটি সঠিক নয়-
A
এ রোগ মানবদেহের কিডনি নষ্ট করে
B
চিনি জাতীয় খাবার খেলে
C
এ রোগ হলে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়
D
ঘইনসুলিনের অভাবে যে রোগ হয়
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 6 days ago
ডেঙ্গু জ্বরে (Dengue) শরীরে-
Created: 5 days ago
A
হিমোগ্লোবিন কমে যায়
B
Platelet বেড়ে যায়
C
Platelet কমে যায়
D
হিমোগ্লোবিন বেড়ে যায়
0
Updated: 5 days ago
স্কার্ভি রোগ মূলত কোন ভিটামিনের অভাবে হয়?
Created: 1 month ago
A
ভিটামিন A
B
ভিটামিন B
C
ভিটামিন C
D
ভিটামিন D
স্কার্ভি (Scurvy) হলো ভিটামিন সি (অ্যাসকরবিক অ্যাসিড) এর ঘাটতির কারণে সৃষ্ট রোগ। এ রোগে কোলাজেন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে, ফলে দাঁত, মাড়ি, হাড় ও ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়।
ভিটামিন সি:
-
ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।
-
ভিটামিন সি-এর অপর নাম অ্যাসকরবিক অ্যাসিড।
-
এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
-
আমলকি, কমলালেবু, লেবু, আনারস ইত্যাদি ফল ভিটামিন সি-এর প্রধান উৎস।
অন্যান্য ভিটামিন ও তাদের অভাবজনিত রোগ:
-
ভিটামিন A: ঘাটতিজনিত রোগ হলো রাতকানা (Night Blindness)।
-
ভিটামিন B কমপ্লেক্স: বিভিন্ন ভিটামিন বি-এর অভাবে বেরিবেরি, পেলাগ্রা, ওয়ার্নিকি সিনড্রোম প্রভৃতি রোগ হয়।
-
ভিটামিন D: এর ঘাটতিতে রিকেটস (Rickets) ও অস্টিওমালাসিয়া (Osteomalacia) দেখা দেয়।
0
Updated: 1 month ago
Post Partum Haemorrhage (PPH)-এর প্রধান কারণ-
Created: 4 days ago
A
রক্তশূন্যতা
B
আয়োডিন স্বল্পতা
C
Pain Pregnancy
D
Non contracting uterus
প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণ বা Post Partum Haemorrhage (PPH) হলো এমন একটি জটিল অবস্থা, যা প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে মায়ের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মের পর কিছুটা রক্তপাত হয়, তবে নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলে সেটি প্যাথলজিক্যাল অবস্থায় পরিণত হয় এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেলে প্রাণঘাতী হতে পারে। এই জটিলতার প্রধান কারণ হলো জরায়ুর সংকোচন না হওয়া বা Non-contracting uterus।
-
প্রসবের পর জরায়ুর স্বাভাবিক কাজ হলো দ্রুত সংকুচিত হয়ে রক্তনালী বন্ধ করা, যাতে অতিরিক্ত রক্তপাত বন্ধ থাকে। কিন্তু যখন জরায়ু শিথিল বা ঢিলে অবস্থায় থেকে যায়, তখন রক্তনালীগুলো খোলা থাকে এবং রক্তপাত অব্যাহত থাকে।
-
এই অবস্থাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় Uterine Atony, যা PPH-এর সবচেয়ে সাধারণ কারণ; প্রায় ৭০–৮০% ক্ষেত্রেই এই কারণেই রক্তপাত ঘটে।
-
Non-contracting uterus সাধারণত দেখা যায় দীর্ঘ সময়ের প্রসব, অতিরিক্ত বাচ্চা (multiple pregnancy), বৃহদাকৃতি শিশু (macrosomia), বা অতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগের ফলে।
-
জরায়ুতে জমে থাকা রক্ত বা টিস্যুর টুকরোও কখনও জরায়ুর সংকোচন ব্যাহত করে রক্তপাত বাড়িয়ে দিতে পারে।
-
যেসব মায়ের আগে থেকে রক্তশূন্যতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই অবস্থার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়, কারণ অল্প রক্তপাতও তাদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে, যদিও এটি PPH-এর সরাসরি কারণ নয়।
-
প্রসব-পরবর্তী যত্নে জরায়ুর সঠিক সংকোচন নিশ্চিত করতে পেট ম্যাসাজ, অক্সিটোসিন বা মিসোপ্রোস্টল জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এগুলো জরায়ুকে দ্রুত সংকুচিত করতে সাহায্য করে।
-
জরুরি অবস্থায় ম্যানুয়াল কম্প্রেশন, বেলুন ট্যাম্পোনেড, এমনকি প্রয়োজন হলে শল্য চিকিৎসা (hysterectomy) পর্যন্ত করতে হতে পারে মায়ের জীবন বাঁচানোর জন্য।
-
প্রসবের সময় অভিজ্ঞ ধাত্রী বা চিকিৎসক দ্বারা প্রসব করানো ও প্রসব-পরবর্তী সময় পর্যবেক্ষণ করা এ ধরনের জটিলতা প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
PPH প্রতিরোধে Active Management of Third Stage of Labour (AMTSL) একটি কার্যকর পদ্ধতি, যেখানে প্লাসেন্টা বের হওয়ার সাথে সাথে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে জরায়ুর সংকোচন বাড়ানো হয়।
সবশেষে বলা যায়, Non-contracting uterus বা Uterine atony হলো Post Partum Haemorrhage-এর মূল ও প্রধান কারণ। দ্রুত সঠিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই প্রাণঘাতী অবস্থা থেকে মায়ের জীবন রক্ষা করা সম্ভব।
0
Updated: 4 days ago