অ্যান্যথাক্স রোগের টিকা আবিষ্কার করেন –
A
লুই পাতুর
B
মার্কিনী
C
ডারউইন
D
আলেকজান্ডার
উত্তরের বিবরণ
অ্যান্যথাক্স বা অ্যানথ্রাক্স রোগ একটি প্রাণঘাতী সংক্রামক ব্যাধি, যা মূলত Bacillus anthracis নামের ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগ মানুষ ও প্রাণী উভয়ের ক্ষেত্রেই বিপজ্জনক হতে পারে। অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য যে টিকার আবিষ্কার করা হয়েছিল, তার কৃতিত্ব যায় মহান বিজ্ঞানী লুই পাস্তুরের কাছে।
লুই পাস্তুর ছিলেন ফ্রান্সের একজন প্রখ্যাত জীববিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ, যিনি সংক্রামক রোগ, টিকা ও জীবাণুবিজ্ঞানে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাঁর অ্যানথ্রাক্স টিকা আবিষ্কারের মাধ্যমে আধুনিক প্রতিষেধক গবেষণার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। নিচে এই আবিষ্কার ও তার গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো—
অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকৃতি:
অ্যানথ্রাক্স মূলত প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, যা গবাদি পশুর মাধ্যমে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। এটি চামড়া, ফুসফুস ও অন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। পূর্বে ইউরোপে এ রোগে প্রচুর গবাদি পশু মারা যেত, যা কৃষি অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করত।
লুই পাস্তুরের গবেষণা ও টিকা উদ্ভাবন:
লুই পাস্তুর প্রথম জীবাণুতত্ত্বের ভিত্তিতে এই রোগের প্রতিষেধক তৈরি করেন। ১৮৮১ সালে তিনি একটি ঐতিহাসিক পরীক্ষায় অ্যানথ্রাক্স টিকার কার্যকারিতা প্রদর্শন করেন। তিনি দুটি দল গবাদি পশুর ওপর পরীক্ষা চালান—এক দলকে টিকা দেন, আরেক দলকে দেননি। পরবর্তীতে যখন উভয় দলকেই অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আনা হয়, তখন দেখা যায় টিকা পাওয়া পশুরা সুস্থ থাকে, কিন্তু টিকা না পাওয়া পশুরা মারা যায়।
এই আবিষ্কারের বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব:
এই পরীক্ষার ফলেই প্রমাণিত হয় যে দুর্বল জীবাণু ব্যবহার করে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর মাধ্যমে চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিনের ধারণা আরও শক্ত ভিত্তি পায়। পরবর্তীতে পাস্তুর একই নীতিতে জলাতঙ্ক (Rabies) রোগের টিকাও উদ্ভাবন করেন।
সমসাময়িক প্রভাব ও গুরুত্ব:
লুই পাস্তুরের অ্যানথ্রাক্স টিকা কৃষি, পশুপালন ও মানবস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটায়। তাঁর এই আবিষ্কার শুধু একটি রোগের প্রতিরোধেই সাহায্য করেনি, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকা আবিষ্কারের পথ প্রশস্ত করেছে।
সংক্ষেপে বলা যায়:
অ্যানথ্রাক্স রোগের টিকা আবিষ্কার করেন লুই পাস্তুর। তাঁর এই উদ্ভাবন মানবসভ্যতার চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
0
Updated: 6 days ago
“কাসপারস্কি” কী?
Created: 1 month ago
A
একটি অপারেটিং সিস্টেম
B
একটি প্রোগ্রামিং ভাষা
C
একটি এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার
D
একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস
কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে পারে, কম্পিউটারের তথ্য ও উপাত্ত আক্রমণ করে এবং সেগুলো নষ্ট করার ক্ষমতা রাখে।
-
১৯৮০ সালে প্রখ্যাত গবেষক ও অধ্যাপক ফ্রেড কোহেন প্রথমবারের মতো কম্পিউটার ভাইরাসের নামকরণ করেন
-
ভাইরাস কম্পিউটারের তথ্য ও উপাত্ত আক্রমণ করে এবং নিজের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে করতে এক পর্যায়ে পুরো সিস্টেমকে অচল করে দিতে পারে
-
VIRUS শব্দের পূর্ণরূপ হলো “Vital Information Resources Under Seize”
-
কোনোভাবে কম্পিউটার বা আইসিটি যন্ত্র ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা ধীরে ধীরে সর্বত্র বিস্তার লাভ করে
-
আক্রমণের ধরন অনুযায়ী কম্পিউটার ভাইরাসের বিভিন্ন ধরন রয়েছে—
-
বুট সেক্টর ভাইরাস
-
ট্রোজান হর্স ভাইরাস
-
ফাইল সংক্রামক ভাইরাস
-
ম্যাক্রো ভাইরাস
-
ওভাররাইটিং ভাইরাস
-
মেমোরি রেসিডেন্ট ভাইরাস
-
মিউটেটিং ভাইরাস
-
স্টোন ভাইরাস
-
কম্পিউটার এন্টি-ভাইরাস হলো বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার, যা কম্পিউটার ভাইরাসসহ বিভিন্ন ম্যালওয়্যার থেকে সিস্টেমকে সুরক্ষা দেয়।
-
কম্পিউটার ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এন্টি-ভাইরাস ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়
-
এন্টি-ভাইরাস প্রোগ্রাম ভাইরাস, ওয়ার্ম এবং ট্রোজান হর্স থেকে মুক্তি দেয়
-
যদিও এগুলোকে বর্তমানে অনেক সময় এন্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার বলা হয়, তবুও শুরু থেকেই এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার নামে বেশি পরিচিত
-
জনপ্রিয় এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে—
-
নরটন
-
অ্যাভাস্ট
-
প্যান্ডা
-
কাসপারেস্কি
-
মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনসিয়াল
-
0
Updated: 1 month ago