2007 সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া ঘূর্ণিঝড়টির নাম কি?
A
আইলা
B
নার্গিস
C
সুনামি
D
সিডর
উত্তরের বিবরণ
সিডর: ১৫ নভেম্বর ২০০৭ (সিংহলি শব্দ, অর্থ চোখ); নাগিস: ২ মে ২০০৮ (ফারসি শব্দ, অর্থ ফুল); আইলা: ২৫ মে, ২০০৯ (দিবেহি শব্দ, অর্থ ডলফিন/শুশুক); সুনামি: জাপানি শব্দ, অর্থ পোতাশ্রয়ের ঢেউ। সুনামি ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিশ্বের ১১টি দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
0
Updated: 6 days ago
ঘূর্ণিঝড়ের সময় সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির গড় তাপমাত্রা কত থাকে?
Created: 1 month ago
A
১৯° সেলসিয়াস
B
২১° সেলসিয়াস
C
২৩° সেলসিয়াস
D
২৭° সেলসিয়াস
ঘূর্ণিঝড় হলো একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা প্রাকৃতিক পরিবেশ, মানুষ ও প্রাণিজগতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়। ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি ও প্রক্রিয়া পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে অনিয়মিত বায়ুর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়।
-
ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় উপরের ও নিচের বায়ুর পারস্পরিক ক্রিয়ার মাধ্যমে।
-
ঝড়ের সময় পশ্চিমা বায়ু প্রবাহ মধ্য অক্ষাংশ অঞ্চলের নিম্নচাপ ও উচ্চচাপকে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে অগ্রসর করে।
-
বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ কিমি বা তার বেশি হতে পারে।
-
ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু থাকলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
-
ঘূর্ণিঝড়ের বায়ু আবর্তনের কেন্দ্রকে চোখ বলা হয়।
-
উত্তর গোলার্ধে প্রবল ঘূর্ণিবায়ু বাইরের থেকে কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয় এবং পরে উপরের দিকে উঠে প্রচন্ড শক্তিতে আবর্তিত হয়।
-
ঘূর্ণিঝড় সাধারণত উষ্ণ জলরাশি থেকে উৎপন্ন হয়, যেখানে গড় তাপমাত্রা ২৭° সেলসিয়াস বা তার বেশি থাকে।
-
সমুদ্র পৃষ্ঠের কাছাকাছি যথেষ্ট উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু উপস্থিত থাকে।
-
ঝড়ের সময় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয় এবং বায়ুপ্রবাহের মধ্যে খাড়া মেঘপুঞ্জ সৃষ্টি হয়, যা উপরের দিকে চলে যায়।
-
উপরের স্তরের বায়ু বহির্গামী হয়ে ঘূর্ণিঝড়কে আরও শক্তিশালী করে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে প্রলয়ংকরী সাইক্লোন কোন বছর ঘটে ছিল?
Created: 1 month ago
A
১৯৬১ সালে
B
১৯৭০ সালে
C
১৯৮৫ সালে
D
২০০৭ সালে
সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় হলো একটি প্রাকৃতিক প্রপঞ্চ যেখানে বাতাস নিম্নচাপের কারণে প্রচণ্ড গতিবেগে ঘুরতে থাকে। এটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন নামে পরিচিত হলেও মূলত একই ধরনের আবহাওয়ার ঘটনা। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যের কারণে দেশটি সাইক্লোনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
-
সাইক্লোন শব্দের উৎস: গ্রিক শব্দ "Kyklos" থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো Coil of Snakes বা সাপের কুণ্ডলী।
-
নাম ভিন্নতা: দক্ষিণ এশিয়ায় এটি সাইক্লোন, আমেরিকাতে হ্যারিকেন (Hurricane), এবং দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোতে টাইফুন (Typhoon) নামে পরিচিত।
-
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য: বাংলাদেশের উত্তরে হিমালয় পর্বত, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং মাঝখানে ফানেল আকৃতির উপকূলীয় এলাকা রয়েছে।
-
ঝুঁকিপূর্ণতা: ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সাইক্লোনের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
-
ঐতিহাসিক সাইক্লোন: ১৯৬০ সাল থেকে অসংখ্য সাইক্লোন আঘাত এনেছে, বিশেষ করে ১৯৬০, ১৯৬১, ১৯৬৩, ১৯৬৫, ১৯৭০, ১৯৮৫, ১৯৯১, ২০০৭ ও ২০০৯ সালের সাইক্লোনগুলো প্রলয়ংকরী ছিল।
-
সর্বকালের প্রলয়ংকরী সাইক্লোন: ১৯৭০ সালের সাইক্লোনকে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে প্রলয়ংকরী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
-
সর্বাধিক শক্তিশালী সাইক্লোন: বাংলাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী সাইক্লোন হয়েছিল ১৯৯১ সালে, যখন বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার ছিল।
0
Updated: 1 month ago
How is the intensity of a cyclone measured?
Created: 1 month ago
A
Saffir–Simpson Scale
B
Seismograph
C
Richter Scale
D
Fujita Scale
ঘূর্ণিঝড় (ইংরেজি: Cyclone) সাধারণত এপ্রিল-মে এবং অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে সংঘটিত হয়।
-
ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত স্কেল হলো সাফির-সিম্পসন স্কেল (Saffir–Simpson Scale)।
-
এই স্কেল মূলত বাতাসের গতি (wind speed)-এর ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড়কে ৫টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে।
-
ক্যাটাগরি যত বেশি, ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তত বেশি।
-
সারা বিশ্বে ঘূর্ণিঝড় বিভিন্ন নামে পরিচিত:
-
চীন ও জাপানের উপকূলে: টাইফুন
-
ভারত মহাসাগরে: সাইক্লোন
-
ফিলিপাইনের উপকূলে: বাগুই
-
অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে: উইলি উইলি
-
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ ও মেক্সিকো উপসাগর অঞ্চলে: হারিকেন
-
-
ঘূর্ণিঝড়ের বায়ু আবর্তনের কেন্দ্রকে চোখ বলা হয়।
-
ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগে বায়ু সাধারণত শান্ত, উষ্ণ ও আর্দ্র থাকে এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের কাছাকাছি ২৭° সেলসিয়াস বা তার বেশি তাপমাত্রা বিশিষ্ট উষ্ণ আর্দ্র বায়ু থাকে।
-
ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশে প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও ঘন মেঘসহ মুষলধারে বৃষ্টি হয়।
-
চোখের ভিতরে অবস্থানকারী অংশে শান্ত আবহাওয়া থাকে।
-
ঘূর্ণিঝড়ের পশ্চাৎভাগে পৌঁছালে আবারও ঘন মেঘ, বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হয়, কিন্তু বায়ু তখন ঘূর্ণিঝড়ের বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়।
-
বাংলাদেশে বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি করে।
অন্য প্রাসঙ্গিক স্কেল ও যন্ত্র:
-
রিখটার স্কেল: ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপের জন্য।
-
সিসমোগ্রাফ: ভূমিকম্পের কম্পন রেকর্ড করে এমন যন্ত্র।
-
ফুজিতা স্কেল: টর্নেডোর তীব্রতা পরিমাপের স্কেল, যা বাতাসের গতিবেগ ও ক্ষতির মাত্রার উপর নির্ভর করে।
0
Updated: 1 month ago