মুক্তিযুদ্ধের উপর রচিত কবিতা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড ‘এর রচয়িতা কে?
A
নোয়েল কাউয়ার্ড
B
এলেন গিন্সবার্গ
C
বব ডিলান
D
কাউয়ার্ড নোয়েল
উত্তরের বিবরণ
'সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড' কবিতাটি রচনা করেছেন বিখ্যাত মার্কিন কবি এলেন গিন্সবার্গ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি এ কবিতাটি লেখেন। বাংলাদেশের মানুষের দুর্দশা এ কবিতায় vividly বর্ণিত হয়েছে।
0
Updated: 6 days ago
কোন বিদেশী সাহিত্যিক মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বীরপ্রতীক খেতাব লাভ করেন ?
Created: 9 hours ago
A
জ্যা পল সাত্রে
B
ক্লডে সিমোন
C
ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড
D
কেউ নয়
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শুধু দেশীয় নয়, কিছু বিদেশীও প্রাণপণ সহযোগিতা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড, যিনি একমাত্র বিদেশী নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের বীরপ্রতীক খেতাব অর্জন করেন। তাঁর সাহসিকতা, মানবতা ও নিঃস্বার্থ ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।
• ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড ছিলেন একজন অস্ট্রেলীয় নাগরিক। জন্ম ১৯১৭ সালে নেদারল্যান্ডসে এবং পরে তিনি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।
• তিনি ১৯৭০ সালের দিকে বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) রাজধানী ঢাকায় একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
• ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, তখন তিনি নিজের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে মুক্তিকামী বাঙালিদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন।
• তিনি ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গোপনে অস্ত্র, খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন, যা সে সময়কার জন্য ছিল অত্যন্ত সাহসিকতার কাজ।
• তাঁর বাড়িটি পরিণত হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের এক নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে।
• ওডারল্যান্ড স্বাধীনতার স্বপ্নে বিশ্বাস করতেন। তিনি পাকিস্তানি সেনাদের নৃশংসতা বিশ্ববাসীর কাছে প্রকাশ করতে বিদেশি সংবাদমাধ্যমে তথ্য পাঠাতেন।
• ১৯৭১ সালের জুলাই মাসের পর তিনি গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে যোগ দেন।
• তিনি ঢাকার মিরপুর ও সাভার এলাকায় কয়েকটি গোপন অভিযানে অংশগ্রহণ করেন, যা মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রমে সাহস যোগায়।
• মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে তাঁকে “বীরপ্রতীক” খেতাবে ভূষিত করে।
• তিনি এই স্বীকৃতি বিনয়ের সঙ্গে গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এসে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারদের খোঁজখবর নেন।
• ২০০৮ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন, তবে তাঁর অবদান এখনও বাঙালির হৃদয়ে অম্লান।
• বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র বিদেশী নাগরিক যিনি বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত হয়েছেন, যা বাংলাদেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও মানবতার সর্বোচ্চ নিদর্শন।
• মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁর কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, স্বাধীনতার লড়াই কেবল কোনো জাতির নয়, বরং মানবতারও এক সংগ্রাম।
• ওডারল্যান্ডের নাম তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে চিরকাল বেঁচে থাকবে।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড ছিলেন এক সত্যিকারের নায়ক, যিনি জাতিগতভাবে বিদেশী হলেও মানবতার কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর এই অসাধারণ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বীরপ্রতীক খেতাব পান, যা তাঁকে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য উচ্চতায় স্থাপন করেছে।
0
Updated: 9 hours ago