বাংলাদেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায়?
A
ভেড়ামারা
B
ঘোড়াশাল
C
আশুগঞ্জ
D
কাপ্তাই
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাইয়ে অবস্থিত। এটি রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ১৯৬২ সালে চালু হয়।
0
Updated: 6 days ago
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বায়ু বিদ্যুৎ
কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
Created: 5 months ago
A
কক্সবাজার
B
নোয়াখালী
C
বরগুনা
D
ভোলা
বাংলাদেশের বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কক্সবাজারের খুরুশকুলে। উৎপাদন ক্ষমতা
৬০ মেগাওয়াট। ১২ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
উৎস: ১৩ অক্টোবর, ২০২৩, কালের কণ্ঠ।
0
Updated: 5 months ago
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বায়ু বিদ্যুৎ
কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
Created: 5 months ago
A
কক্সবাজার
B
নোয়াখালী
C
বরগুনা
D
ভোলা
বাংলাদেশের বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কক্সবাজারের খুরুশকুলে। উৎপাদন ক্ষমতা
৬০ মেগাওয়াট। ১২ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
উৎস: ১৩ অক্টোবর, ২০২৩, কালের কণ্ঠ।
0
Updated: 5 months ago
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয়-
Created: 1 week ago
A
কয়লা
B
ফার্নেস ওয়েল
C
প্রাকৃতিক গ্যাস
D
ডিজেল
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাস প্রধান জ্বালানি উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি বড় অংশ এই গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল, কারণ এটি তুলনামূলকভাবে সস্তা, সহজলভ্য এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি। স্বাধীনতার পর থেকেই সরকার গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়ন ও নতুন উৎস অনুসন্ধানে গুরুত্ব দিয়েছে, যার ফলে গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ক্রমে বেড়েছে।
প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের গুরুত্ব বোঝাতে কিছু মূল দিক নিচে দেওয়া হলো:
প্রথমত, বাংলাদেশের ভূগর্ভে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ থাকায় এটি সহজলভ্য জ্বালানি উৎসে পরিণত হয়েছে। সিলেট, হাবিগঞ্জ, ভোলা ও কুমিল্লা অঞ্চলে গ্যাসক্ষেত্র থেকে সংগৃহীত গ্যাস সরাসরি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, যা উৎপাদন খরচ কমিয়ে দেয় এবং দেশীয় সম্পদের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করে।
দ্বিতীয়ত, প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে পরিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো তুলনামূলকভাবে পরিবেশবান্ধব। কয়লা বা ফার্নেস ওয়েলের মতো এতে কার্বন নিঃসরণ কম, ফলে বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও তুলনামূলকভাবে সীমিত থাকে। এটি আন্তর্জাতিক জলবায়ু নীতিমালার সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তৃতীয়ত, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কম এবং এগুলো দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারে। এজন্য দেশজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে গেলে গ্যাসচালিত প্ল্যান্টগুলো দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি করতে পারে, যা জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চতুর্থত, বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস ব্যবহারের ফলে দেশের আমদানি নির্ভরতা কিছুটা কমেছে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) আমদানি করতে হচ্ছে, তবুও এর মূলভিত্তি এখনো দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রের ওপর নির্ভরশীল।
পঞ্চমত, সরকার বিদ্যুৎখাতে ‘গ্যাস টু পাওয়ার’ কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিল্প, কৃষি ও গৃহস্থালিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। বর্তমানে পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ সম্প্রসারণেও গ্যাস-নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
সবশেষে বলা যায়, প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল চালিকা শক্তি। এটি শুধু অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়, বরং পরিবেশগত দিক থেকেও উপযোগী। ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়লেও গ্যাস-ভিত্তিক উৎপাদন এখনো বাংলাদেশের জ্বালানি কাঠামোর মেরুদণ্ড হিসেবে থেকে যাবে।
0
Updated: 1 week ago