'কুলকাঠের আগুন' বাগধারাটির অর্থ কী?
A
অসম্ভব বস্তু
B
তীব্র জ্বালা
C
অসাবধান
D
সামান্য
উত্তরের বিবরণ
• 'কুল কাঠের আগুন' বাগধারাটির সঠিক অর্থ- 'তীব্র জ্বালা'।
বাক্য গঠন: তোমার কথার খোঁচায় আমার সারা দেহে কুল কাঠের আগুন জ্বলছে।
অন্যদিকে,
- 'কেউ কেটা' বাগধারার অর্থ = সামান্য ।
- 'কাছা ঢিলা' বাগধারাটির অর্থ - অসাবধান।
- 'বাঘের দুধ' বাগধারাটির অর্থ - 'অসম্ভব বস্তু'।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 3 months ago
'আকাশ কুসুম' বাগধারাটির অর্থ কী?
Created: 3 months ago
A
আকাঙ্ক্ষিত বস্তু
B
অপ্রত্যাশিত
C
প্রচুর ব্যবধান
D
অসম্ভব কল্পনা
0
Updated: 3 months ago
রাবণের চিতা অর্থ কী?
Created: 2 months ago
A
চির অশান্তি
B
চির শান্তি
C
চির নিদ্রা
D
চির সুখী
রাবণ ছিল রামায়ণের রাক্ষসরাজ। তাকে দহন করার জন্য চিতা জ্বালানো হলে, সেই চিতায় শান্তি নেই—অর্থাৎ আগুন জ্বলতে থাকে, অশান্তি চলতেই থাকে। এজন্য "রাবণের চিতা" বলতে বোঝানো হয় এমন একটি অবস্থা, যেখানে কখনো শান্তি থাকে না, সর্বদা অশান্তি বিরাজ করে।
0
Updated: 2 months ago
'হাত ধুয়ে বসা'- বাগধারার অর্থ কি?
Created: 1 week ago
A
দায়িত্ব না রাখা
B
শুরু করা
C
ভন্ডামী করা
D
অপেক্ষা করা
বাংলা ভাষায় ‘হাত ধুয়ে বসা’ একটি প্রচলিত ও অর্থবহ বাগধারা, যা কোনো কাজ বা দায়িত্ব থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া বা দায়িত্বহীন আচরণ করা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এই বাগধারাটি সাধারণত এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, যিনি কোনো দায়িত্ব বা কর্তব্যে যুক্ত ছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে তা আর পালন করতে চান না, বরং দায় এড়িয়ে নির্বিকারভাবে বসে থাকেন।
এই অর্থেই সঠিক উত্তর — (ক) দায়িত্ব না রাখা।
বাগধারাটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—
অর্থগত দিক থেকে:
“হাত ধোয়া” সাধারণত কোনো কাজ শেষ করার বা কাজ থেকে মুক্ত হওয়ার প্রতীক। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ হাত ধোয়ার মাধ্যমে কোনো কাজের সমাপ্তি বা পবিত্রতা প্রকাশ করত। সেই ধারণা থেকেই “হাত ধুয়ে বসা” রূপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে এমন অবস্থায়, যখন কেউ দায়িত্ব বা কর্তব্য থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ঘোষণা করে। অর্থাৎ, কাজ বা দায়িত্ব আছে, কিন্তু ব্যক্তি সেটি আর পালন করতে চান না; বরং নিজেকে দায়িত্বমুক্ত ভেবে নির্লিপ্ত থাকেন।
প্রায়োগিক দিক থেকে:
-
কোনো প্রশাসনিক বা পারিবারিক দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি যদি সমস্যা চলাকালীন সময়ে বলেন, “আমি আর কিছু করতে পারব না, হাত ধুয়ে বসেছি,” তার মানে তিনি আর দায়িত্ব নিচ্ছেন না।
-
আবার সমাজ বা রাজনীতির ক্ষেত্রে এই বাগধারাটি ব্যবহার হয় এমন অবস্থায়, যখন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কর্তব্য এড়িয়ে চলে বা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয় না।
উদাহরণ:
-
কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে হাত ধুয়ে বসেছে, কেউই আর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
-
নিজের কাজের ফলাফল খারাপ দেখেই সে হাত ধুয়ে বসে পড়েছে, কোনো চেষ্টা করছে না।
রূপক ব্যাখ্যা:
এই বাগধারাটি একধরনের অলংকারমূলক অভিব্যক্তি, যেখানে “হাত ধোয়া” মানে হলো দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া এবং “বসা” মানে হলো নিষ্ক্রিয় বা উদাসীন অবস্থায় থাকা। ফলে একত্রে এর অর্থ দাঁড়ায়— দায়িত্বহীনভাবে কাজ থেকে সরে গিয়ে নীরব থাকা।
অন্য বিকল্পগুলোর ভুল ব্যাখ্যা:
-
শুরু করা (খ): এটি “হাত লাগানো” বাগধারার অর্থের সঙ্গে সম্পর্কিত, “হাত ধুয়ে বসা”-এর বিপরীত।
-
ভণ্ডামী করা (গ): এটি “পানিপড়া মুখে দেওয়া” বা “চালাকি করা”-এর ধরণের বাগধারার সাথে সম্পর্কিত।
-
অপেক্ষা করা (ঘ): এটি “চেয়ে থাকা” বা “অপেক্ষায় বসে থাকা”-এর অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা এখানে প্রযোজ্য নয়।
অতএব, ‘হাত ধুয়ে বসা’ বাগধারার প্রকৃত অর্থ হলো দায়িত্ব বা কর্তব্য ত্যাগ করা, দায়িত্ব না রাখা এবং নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে নেওয়া। এটি এমন একটি অভিব্যক্তি যা উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার চিত্র তুলে ধরে।
0
Updated: 1 week ago