'মোস্তফা চরিত' গ্রন্থের রচয়িতা -
A
মুহম্মদ আব্দুল হাই
B
মোঃ বরকতুল্লাহ
C
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
মওলানা আকরম খাঁ
উত্তরের বিবরণ
• মাওলানা আকরম খাঁ:
- মাওলানা আকরম খাঁ ১৮৬৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের চবিবশ পরগনা জেলার হাকিমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি মূলত সাংবাদিক, রাজনীতিক, ইসলামিশাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন।
- তিনি বাংলাসহ আরবি, উর্দু, পারসি ও সংস্কৃত ভাষায় ব্যুৎপন্ন ছিলেন।
- তাঁর সম্পাদনায় ১৯০৩ সালে 'মাসিক মোহাম্মদী' পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
- তাঁর সম্পাদিত দুটি স্বল্পস্থায়ী দৈনিক পত্রিকার নাম: উর্দু দৈনিক 'জামানা' (১৯২০) ও বাংলা দৈনিক 'সেবক' (১৯২১)।
- তাঁর সাংবাদিক জীবনের কীর্তি 'আজাদ' পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনা (১৯৩৬ সালের ৩১শে অক্টোবর থেকে)।
- তিনি ১৮ই অগস্ট, ১৯৬৮ মৃত্যুবরণ করেন।
• তাঁর রচিত গদ্যগ্রন্থগুলো:
- হজরত মোহাম্মদ-এর (স.) জীবনী 'মোস্তফা চরিত' (১৯২৩),
- মোসলেম বাংলার সামাজিক ইতিহাস (১৯৬৫) ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
'হুতোম প্যাঁচার নকশা' কে রচনা করেছেন?
Created: 5 months ago
A
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
B
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
C
চণ্ডীচরণ মুনশী
D
কালীপ্রসন্ন সিংহ
• কালীপ্রসন্ন সিংহ:
- তিনি ছিলেন একাধারে সংগঠক, সাংবাদিক, লেখক, সমাজকর্মী।
- বাংলা সাহিত্যে 'হুতোমী বাংলা' রীতির প্রবর্তক কালীপ্রসন্ন সিংহ।
- কালীপ্রসন্ন সিংহ মাত্র তেরো বছর বয়সে 'বিদ্যোৎসাহিনী সভা' প্রতিষ্ঠা করেন।
- বিদ্যোৎসাহিনী সভাতে সদস্যরা প্রতি সপ্তাহে মিলিত হয়ে নিয়মিত প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা করতেন।
তাঁর রচিত বিখ্যাত দুইটি গ্রন্থ:
• হুতোম প্যাঁচার নকশা:
- হুতোম প্যাঁচার নকশা তাঁর শ্রেষ্ঠ মৌলিক রচনা।
- এতে কলকাতার সামাজিক ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন করা হয়েছে এবং কলকাতার কথ্য ভাষাকে প্রথম সাহিত্যে স্থান দেওয়া হয়েছে।
- বাংলা গদ্যের উন্নয়নে হুতোম প্যাঁচার নকশা মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
• সংস্কৃত মহাভারতের গদ্য-অনুবাদ:
- সতেরো খন্ডে সংস্কৃত মহাভারতের বাংলা গদ্যানুবাদও তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকীর্তি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
নওয়াব ফয়জুন্নেসার রচিত ‘রূপজালাল’ গ্রন্থটি কী ধরনের রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
নাটক
B
ঐতিহাসিক উপন্যাস
C
আত্মজীবনীমূলক রচনা
D
কাব্যগ্রন্থ
বাংলা সমাজে নারীশিক্ষা ও সমাজকল্যাণে অসাধারণ ভূমিকা রেখে গেছেন নওয়াব ফয়জুন্নেসা। তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম নারী যিনি ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত হন। সাহিত্য, সমাজসেবা ও নারীজাগরণে তাঁর অবদান উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা সমাজে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
নওয়াব ফয়জুন্নেসা ছিলেন একজন জমিদার, নারীশিক্ষার প্রবর্তক, সমাজসেবক ও কবি।
-
তিনি ১৮৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
-
জমিদারি লাভের আগেই তিনি সমাজকল্যাণ ও দরিদ্রজনের সহায়তামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
-
তাঁর জনহিতৈষণার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৮৯ সালে মহারানী ভিক্টোরিয়া তাঁকে ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত করেন, যা কোনো বাংলা নারীর জন্য প্রথম ঘটনা।
-
‘বান্ধব’, ‘ঢাকা প্রকাশ’, ‘মুসলমান বন্ধু’, ‘সুধাকর’ ও ‘ইসলাম প্রচারক’ প্রভৃতি বাংলা পত্রিকা তাঁর আর্থিক সহায়তা পেত।
-
তিনি ছিলেন একজন সাহিত্যিক নারী, যার রচনা সমাজবাস্তবতা ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ।
-
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘রূপজালাল’ (১৮৭৬) — গদ্য ও পদ্য মিলিত একটি রূপকধর্মী আত্মজীবনীমূলক কাব্য, যেখানে তিনি তাঁর বিড়ম্বিত দাম্পত্য জীবনের করুণ কাহিনি তুলে ধরেছেন।
-
এছাড়া তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থ হলো ‘সঙ্গীতসার’ ও ‘সঙ্গীতলহরী’।
-
তিনি ১৯০৩ সালে স্বগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন এবং পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত হন।
-
তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৪ সালে তাঁকে (মরণোত্তর) একুশে পদক প্রদান করা হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জীবনের কথা
B
জীবনকথা
C
জীবনস্মৃতি
D
অতীতের দিনগুলি
‘জীবনস্মৃতি’
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।
-
প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১২ সালে।
-
বাল্মীকি প্রতিভা রচনার সময় থেকে রবীন্দ্রনাথ সম্পূর্ণভাবে গান ও কাব্য রচনায় মনোনিবেশ করেন।
-
তিনি রচনা করেন সন্ধ্যাসংগীত (১৮৮২) ও প্রভাতসংগীত (১৮৮৩)।
-
এই সময়কার অনুভূতিই কবির জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা তিনি ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে ব্যক্ত করেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 1 month ago