ঢাকা থেকে পূর্বদিকে অবস্থিত একটি স্থানের সাথে দ্রাঘিমার পার্থক্য ৪৫°। ঢাকার সময় মধ্যাহ্ন ১২:০০ টা হলে ঐ স্থানটির স্থানীয় সময় হবে-
A
সকাল ০৯:০০ টা
B
বিকাল ০৩:০০ টা
C
সন্ধ্যা ০৬:০০ টা
D
রাত ০৯:০০ টা
উত্তরের বিবরণ
পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী সময়ের পার্থক্য সৃষ্টি হয়। প্রতি ১° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের ব্যবধান হয় ৪ মিনিট। অর্থাৎ পৃথিবী একবার সম্পূর্ণ ঘূর্ণন (৩৬০°) সম্পন্ন করতে ২৪ ঘণ্টা সময় নেয়। সুতরাং ৩৬০° ÷ ২৪ ঘণ্টা = প্রতি ১৫° দ্রাঘিমার ব্যবধানে ১ ঘণ্টা সময় পার্থক্য হয়। এই নিয়ম অনুযায়ী কোনো স্থানের দ্রাঘিমার অবস্থান জানলে সহজেই সেই স্থানের সময় নির্ধারণ করা যায়।
-
প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্য ঘটে।
-
উদাহরণস্বরূপ, ৪৫° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হবে ৪৫×৪ = ১৮০ মিনিট বা ৩ ঘণ্টা।
-
যেহেতু পূর্ব দিকে গেলে সময় বৃদ্ধি পায়, তাই যদি ঢাকায় সময় দুপুর ১২টা হয়, তবে ঐ স্থানটি যদি ৪৫° পূর্বে অবস্থিত হয়, সেখানে সময় হবে বিকেল ৩টা।
-
বিপরীতে, পশ্চিমে গেলে সময় কমে, কারণ পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরে, ফলে পশ্চিমের অঞ্চলগুলো সূর্যকে পরে দেখে।
আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণের মূলভিত্তি হলো গ্রিনিচ মান সময় (GMT)। এটি পৃথিবীর সময় পরিমাপের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
গ্রিনিচ মানমন্দির যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে অবস্থিত।
-
এই মানমন্দিরের ওপর দিয়েই মূল মধ্যরেখা বা শূন্য ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখা (Prime Meridian) অতিক্রম করেছে।
-
১৮৮৪ সালের ১ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণের জন্য জিএমটি (Greenwich Mean Time) কে মান সময় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
গ্রিনিচের সময়কে ভিত্তি করে পৃথিবীকে ২৪টি টাইম জোনে ভাগ করা হয়েছে, যাতে প্রতিটি জোনের সময় এক ঘণ্টা করে পার্থক্য থাকে।
-
গ্রিনিচের পূর্বে অবস্থিত স্থানের সময় গ্রিনিচের সময়ের থেকে এগিয়ে থাকে, কারণ পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘূর্ণন করে।
-
গ্রিনিচের পশ্চিমের স্থানের সময় পিছিয়ে থাকে, অর্থাৎ তারা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত পরে দেখে।
-
প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময় পরিবর্তিত হয় ৪ মিনিট করে, যা থেকে যেকোনো স্থানের সময় নির্ণয় করা সম্ভব।
-
যেমন, ঢাকা (৯০° পূ.) এবং লন্ডন (০°) এর মধ্যে পার্থক্য ৯০°, তাই সময়ের ব্যবধান হবে ৯০×৪ = ৩৬০ মিনিট বা ৬ ঘণ্টা। অর্থাৎ, যখন লন্ডনে সকাল ৬টা, তখন ঢাকায় দুপুর ১২টা।
-
এই নিয়ম অনুযায়ী পশ্চিমে গেলে সময় কমে আর পূর্বে গেলে সময় বাড়ে।
এভাবে দ্রাঘিমারেখা ও সময়ের সম্পর্কের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো স্থানের স্থানীয় সময় নির্ধারণ করা যায়, যা আন্তর্জাতিক টাইম জোন ব্যবস্থা গঠনের মূল নীতিকে প্রতিষ্ঠা করেছে।
0
Updated: 6 days ago
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা -
Created: 1 month ago
A
০.০১ মিলিগ্রাম
B
০.৩ মিলিগ্রাম
C
০.১ মিলিগ্রাম
D
০.০৩ মিলিগ্রাম
আর্সেনিক (Arsenic)
-
প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য: ধূসর আভাযুক্ত, সাদা রঙবিশিষ্ট, ভঙ্গুর প্রকৃতির একটি অর্ধধাতু বা উপধাতু।
-
রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য:
-
আণবিক সংখ্যা: ৩৩
-
আণবিক ভর: ৭৪.৯২
-
-
প্রকৃতিতে উপস্থিতি: আর্সেনিক বিভিন্ন যৌগ আকারে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়।
-
মানব ও স্বাস্থ্য প্রভাব: প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত আর্সেনিক একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়।
-
সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা:
-
বাংলাদেশে প্রতি লিটার পানিতে: ০.০৫ মিলিগ্রাম
-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ: প্রতি লিটার ০.০১ মিলিগ্রাম
-
-
দূষণপ্রবণ এলাকা: চাঁদপুর জেলা দেশে সবচেয়ে আর্সেনিক দূষণপ্রবণ।
-
ইতিহাস: ১৯৯৩ সালে চাপাইনবাবগঞ্জে প্রথমবারের মতো নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
জিপিএস
B
জিআইএস
C
স্যাটেলাইট ইমেজ
D
রাডার
জিআইএস (Geographical Information System)
-
ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে সংক্ষেপে জিআইএস বলা হয়।
-
জিআইএস হলো একটি সফটওয়্যারভিত্তিক পদ্ধতি, যা ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মানচিত্রায়ণ ও পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে।
-
১৯৬৪ সালে কানাডায় প্রথম জিআইএস ব্যবহৃত হয়।
-
১৯৮০ সালের পর থেকে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে।
-
জিআইএসের মাধ্যমে একটি মানচিত্রে পানি ব্যবস্থাপনা, টপোগ্রাফি, ভূমি ব্যবহার, যোগাযোগ এবং মৃত্তিকার মতো বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা যায়।
ব্যবহার:
-
ভূমি ব্যবস্থাপনা
-
প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন
-
পানি গবেষণা
-
নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা
-
জনসংখ্যা বিশ্লেষণ
-
পরিবহন ও যোগাযোগ বিশ্লেষণ
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে প্রথম জিআইএস (GIS) এর ব্যবহার শুরু হয় -
Created: 1 month ago
A
১৯৬৪ সালে
B
১৯৭২ সালে
C
১৯৮৮ সালে
D
১৯৯১ সালে
জিআইএস (GIS) হলো একটি ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থা, যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবর্তন, বিশ্লেষণ এবং প্রদর্শন করতে ব্যবহৃত হয়। জিআইএস সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হলো ESRI (Environmental System Research Institute)।
-
জিআইএসের বিকাশ (Development of GIS):
-
১৮৫৪ সালে ব্রিটিশ গবেষক সোহো (Soho) লন্ডন শহরে কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে কাজ করেন। তিনি পানির কিছু পাম্প দূষিত হওয়ায় রোগ ছড়াচ্ছে তা চিহ্নিত করেন এবং মানচিত্রে প্রদর্শন করেন। এ গবেষণার মাধ্যমে কলেরা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ সহজ হয়।
-
১৯৬৪ সালে কানাডার The Canadian Geographic Information System (CGIS) জিআইএস ব্যবহারের সূচনা করে।
-
১৯৮৬ সালে ESRI বাণিজ্যিকভাবে Arc/Info সফটওয়্যার তৈরি শুরু করে।
-
বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে প্রথম জিআইএস ব্যবহার করা হয়।
-
ইসপান (Irrigation Support Project for Asia and the Near East) ফ্লাড অ্যাকশন প্লান-১৯ (ফ্যাপ-১৯) প্রকল্পে সর্বপ্রথম জিআইএস প্রয়োগ করা হয়।
-
পরে ইসপান ইজিআইএস (Environmental and GIS Support Projects for Water Sector Planning) নামে পুনর্গঠিত হয়।
-
-
-
জিআইএসের কার্যপ্রণালি (Function of GIS):
১. উপাত্ত সংগ্রহ
২. উপাত্ত আদান-প্রদান
৩. উপাত্ত সংস্করণ
৪. উপাত্ত বিশ্লেষণ
৫. উপাত্ত উপস্থাপন ও ব্যবস্থাপনা -
জিআইএসের উপাদান (Elements of GIS):
জিআইএস পাঁচটি উপাদানের সমন্বয়ে কাজ করে:
১. হার্ডওয়্যার
২. সফটওয়্যার
৩. উপাত্ত
৪. উপাত্ত ভিত্তি
৫. প্রশিক্ষিত ও দক্ষ মানুষ
0
Updated: 1 month ago