‘বাংলার মুখ’ কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?
A
মহাপৃথিবী
B
মাল্যদান
C
রূপসী বাংলা
D
ঝরা পালক
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 6 days ago
কোনটি ফররুখ আহমদ রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ?
Created: 2 weeks ago
A
সিন্দাবাদ
B
সাত সাগরের মাঝি
C
সিরাজাম মুনীরা
D
মুহূর্তের কবিতা
ফররুখ আহমদ রচিত ‘সাত সাগরের মাঝি’ বাংলা সাহিত্য ও আধুনিক ইসলামী ভাবধারার এক গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থ। এটি তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯৪৪ সালে প্রকাশিত হয় এবং তাঁকে মুসলিম জাগরণের কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
-
কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ১৯টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত।
-
এর অন্তর্গত উল্লেখযোগ্য কবিতা হলো ‘পাঞ্জেরি’, যা মুসলিম ভাবধারায় গভীরভাবে অনুপ্রাণিত এবং কাব্যের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।
-
গ্রন্থটির শেষ কবিতা ‘সাত সাগরের মাঝি’, যা কাব্যের নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল ভাবকে প্রতিফলিত করে।
-
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কবিতার মধ্যে রয়েছে ‘সিন্দাবাদ’, ‘লাশ’, ‘আউলাদ’, এবং ‘দরিয়ার শেষরাত্রি’ প্রভৃতি।
-
বিশেষ করে ‘লাশ’ কবিতা, ১৯৪৪ সালের কলকাতার দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে রচিত, যা কবিকে তৎকালীন সাহিত্যজগতে প্রথম পরিচিতি এনে দেয়।
ফররুখ আহমদ সম্পর্কে:
-
জন্ম: ১০ জুন ১৯১৮, মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে।
-
তিনি ছিলেন একজন মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি, যিনি ইসলামী জীবনবোধ ও মানবিক আদর্শকে কাব্যে প্রকাশ করেছেন।
-
তাঁর প্রথম প্রকাশিত ও শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হলো ‘সাত সাগরের মাঝি’, যা বাংলা মুসলিম সাহিত্যধারার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
ফররুখ আহমদ রচিত প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুর কাহিনী
0
Updated: 2 weeks ago
'সোনালী কাবিন' এর রচয়িতা কে?
Created: 5 months ago
A
হাসান হাফিজুর রহমান
B
আল মাহমুদ
C
হুমায়ুন আজাদ
D
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
আল মাহমুদ রচিত অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সোনালী কাবিন’, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। এ গ্রন্থে বিভিন্ন শিরোনামের কবিতার পাশাপাশি ‘সোনালী কাবিন’ শিরোনামের চৌদ্দটি সনেট নিয়ে গঠিত একটি দীর্ঘ কবিতাও অন্তর্ভুক্ত আছে, যা একে একপ্রকার ক্ষুদ্র কাব্যগ্রন্থ হিসেবেও চিহ্নিত করে।
আল মাহমুদ
আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ জন্মগ্রহণ করেন ১১ জুলাই ১৯৩৬, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে। তাঁর প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। তিনি কেবল একজন প্রথিতযশা কবিই নন, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ‘দৈনিক গণকণ্ঠ’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর রচিত শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হিসেবে ‘সোনালী কাবিন’ (১৯৭৩) বিশেষভাবে স্বীকৃত।
আল মাহমুদ রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ:
লোক লোকান্তর
-
কালের কলস
-
সোনালী কাবিন
-
পাখির কাছে ফুলের কাছে
-
অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না
আল মাহমুদ রচিত উপন্যাস
ডাহুকী
-
উপমহাদেশ
-
আগুনের মেয়ে
-
চেহারার চতুরঙ্গ
-
কাবিলের বোন
আল মাহমুদ রচিত গল্পগ্রন্থ
পানকৌড়ির রক্ত
-
সৌরভের কাছে পরাজিত
-
গন্ধবণিক
-
ময়ূরীর মুখ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
কোনটি কাব্যনাট্য?
Created: 3 days ago
A
প্রায়শ্চিত্ত
B
নকশী কাঁথার মাঠ
C
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
D
চিত্রাঙ্গদা
কাব্যনাট্য এমন একটি সাহিত্যরূপ, যেখানে নাটকের কাঠামোর মধ্যে কাব্যের ভাষা ও ছন্দ ব্যবহৃত হয়। এতে সংলাপ, গান ও কাব্যময় বর্ণনা একত্রে মিলিত হয়ে এক বিশেষ নাট্যরূপ সৃষ্টি করে। “পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়” এই ধরনের বৈশিষ্ট্য বহন করে, তাই একে কাব্যনাট্য বলা হয়।
এই নাটকটির মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
-
এতে কাব্যিক ভাষা ও ছন্দের মাধ্যমে নাট্যরস সৃষ্টি করা হয়েছে, যা সাধারণ নাটক থেকে একে আলাদা করেছে। সংলাপগুলো শুধু বক্তব্য নয়, বরং কবিতার মতোই আবেগময় ও ছন্দোময়।
-
সৈয়দ শামসুল হক রচিত এই কাব্যনাট্যে মানুষের সংগ্রাম, স্বাধীনতা, ভয় ও প্রতিবাদের চেতনা গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। লেখক কাব্যের ভাষায় নাটকের আবেগ প্রকাশ করেছেন, যা পাঠকের হৃদয়ে কাব্যরস সৃষ্টি করে।
-
এতে দৃশ্য বিন্যাস বা নাট্যকৌশল সীমিত হলেও শব্দ, ধ্বনি ও প্রতীকের ব্যবহার নাটকটিকে কাব্যময় করে তুলেছে। যেমন— “পায়ের আওয়াজ” স্বাধীনতার সংগ্রাম, ভয় ও অজানার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
কাহিনির ধারাবাহিকতা না থাকলেও চরিত্রগুলোর অন্তর্দ্বন্দ্ব, ভয়, দেশপ্রেম ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষা কাব্যের মতো গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এ কারণে নাটকটি পাঠ বা মঞ্চায়ন— দুই ক্ষেত্রেই এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়।
-
এখানে সংলাপের পাশাপাশি গীতিময়তা ও ধ্বনির পুনরাবৃত্তি নাট্যরসকে তীব্র করেছে। লেখক ভাষার সঙ্গীতধর্মিতা ব্যবহার করে শ্রোতার মনে এক ধরনের ছন্দময় স্পন্দন জাগিয়েছেন।
-
“পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়” মূলত স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন মানসিক অবস্থার প্রতিফলন, যেখানে যুদ্ধের আতঙ্ক, মৃত্যু, তবুও জীবনের প্রতি অনিবার্য টান কাব্যের রূপে প্রকাশ পেয়েছে।
-
নাটকটির ভাষা যেমন কাব্যময়, তেমনি এর রূপকধর্মী গঠনও কাব্যনাট্যের বৈশিষ্ট্য বহন করে। বাস্তব দৃশ্যের বদলে প্রতীকের মাধ্যমে ঘটনাবলী বোঝানো হয়েছে।
-
লেখক এখানে নাট্যকবিতার রীতি অনুসরণ করেছেন, অর্থাৎ কাব্যের সৌন্দর্য ও নাটকের কাহিনি— উভয়ই সমন্বিত হয়েছে। এতে গদ্যনাট্যের মতো সরলতা নয়, বরং কাব্যের রূপ ও ভাবগম্ভীরতা বজায় রাখা হয়েছে।
-
বাংলাদেশের আধুনিক নাট্যসাহিত্যে এই কাব্যনাট্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, যা নতুন এক ধারা সৃষ্টি করেছে এবং সমসাময়িক নাট্যরীতিকে গভীরতা দিয়েছে।
সবশেষে বলা যায়, “পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়” এমন একটি কাব্যনাট্য যা কাব্যের ছন্দ, ধ্বনি ও ভাষার শিল্পগুণে নাট্যরসকে উজ্জ্বল করেছে। তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে এটি-ই কাব্যনাট্য হিসেবে সঠিক উত্তর।
0
Updated: 3 days ago