মঙ্গলকাব্যে কোন দেবীর কাহিনী আছে?
A
লক্ষিন্দর দেবী
B
পদ্মাবতী দেবী
C
মনসা দেবী
D
বাহুলা ও চাঁদ সুন্দর
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 6 days ago
মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবতারা হচ্ছেন -
Created: 3 weeks ago
A
মনসা ও সরস্বতী
B
মনসা ও চণ্ডী
C
চণ্ডী ও দুর্গা
D
মনসা ও কালী
মঙ্গলকাব্য হলো দেবমাহাত্ম্যমূলক এবং সমাজচিত্রভিত্তিক কাব্য, যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনীকাব্য হিসেবে পরিচিত।
-
ধারণা করা হয়, পনের থেকে আঠারো শতকের শেষ অবধি এই ধারা বাংলায় রচিত হয়।
-
মঙ্গলকাব্য রচনার মূল কারণ: প্রায় সব কবিই স্বপ্নে দেবতাদের নির্দেশ পেয়ে রচনা করেছেন।
-
প্রধান শাখা তিনটি: মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল।
-
মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবতারা: মনসা, চণ্ডী, ধর্মঠাকুর, যেখানে মনসা ও চণ্ডী এই দুই স্ত্রীদেবতার প্রাধান্য বেশি।
-
একটি সার্থক মঙ্গলকাব্যে ৫টি অংশ থাকে: বন্দনা, আত্মপরিচয়, দেবখণ্ড, মর্ত্যখণ্ড, শ্রুতিফল।
-
মঙ্গলকাব্যে ৬২ জন কবির সন্ধান পাওয়া যায়।
-
উল্লেখযোগ্য কবি: কানাহারি দত্ত, মানিক দত্ত, ভারতচন্দ্র, দ্বিজমাধম, ঘনরাম চক্রবর্তী প্রমুখ।
-
মঙ্গলকাব্যের দেব-দেবীদের মধ্যে মনসা ও চণ্ডী দেবী সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
-
মঙ্গলকাব্যের দেব-দেবী মূলত অনার্য জনগোষ্ঠীর দেব-দেবী।
0
Updated: 3 weeks ago
মঙ্গলকাব্যের কোন চরিত্রটি 'দেবতা-বিরোধী' বলে পরিচিত?
Created: 1 day ago
A
ধনপতি সদাগর
B
লাউ সেন
C
কালকেতু
D
চাঁদ সদাগর
বাংলা সাহিত্যের মঙ্গলকাব্যে চাঁদ সদাগরকে ‘দেবতা-বিরোধী’ চরিত্র হিসেবে পরিচিত করা হয়েছে। মঙ্গলকাব্য মূলত ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কাব্যধারা, যা সমাজের নৈতিকতা, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং দেব-দেবীর প্রতি ভক্তি ও ভয়কে কেন্দ্র করে রচিত। চাঁদ সদাগরের চরিত্র এই ধারার বাইরে থেকে সাম্প্রদায়িক রীতিনীতির সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে এবং দেবতার প্রতি নির্ভরশীলতার বাইরে স্বাধীনতা ও মানবিকতাকে গুরুত্ব দেয়।
এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
দেবতা-বিরোধী মনোভাব: চাঁদ সদাগর মঙ্গলকাব্যে সেই চরিত্র, যে দেবতার নিয়ম বা শাস্তি অমান্য করে, ফলে তাকে প্রতিবাদী বা বিদ্রোহী চরিত্র হিসেবে দেখা হয়।
-
সাহিত্যিক উদ্দেশ্য: এই চরিত্রের মাধ্যমে কবি সামাজিক ও নৈতিক দ্বন্দ্ব উপস্থাপন করেছেন। পাঠককে দেখানো হয়েছে যে, কিছু চরিত্র নৈতিকতা ও মানবিক বিচারে স্বাধীন চিন্তাভাবনা রাখতে পারে।
-
চরিত্রায়ন: চাঁদ সদাগরের আচরণ, কথাবার্তা এবং ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে পাঠক দেবতার শাসন এবং মানুষের স্বাধীনতা সম্পর্কিত ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়।
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: দেবতা-বিরোধী চরিত্র মঙ্গলকাব্যে গল্পের রোমাঞ্চ, দ্বন্দ্ব ও নাটকীয়তা যোগ করে। এটি পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে এবং নৈতিক শিক্ষা দিতে সহায়ক।
-
মঙ্গলকাব্যের প্রভাব: চাঁদ সদাগরের মতো চরিত্র পাঠককে নৈতিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়, যা কাব্যধারার গভীরতা বৃদ্ধি করে।
সারসংক্ষেপে, মঙ্গলকাব্যের চরিত্র চাঁদ সদাগর ‘দেবতা-বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত, কারণ তিনি দেবতার নিয়ম ও শাস্তির বাইরে স্বাধীন চিন্তাভাবনা, মানবিক মূল্যবোধ এবং নৈতিক দ্বন্দ্ব প্রকাশ করেন। তার চরিত্র মঙ্গলকাব্যের কাহিনীকে রোমাঞ্চকর, অর্থবহ এবং পাঠককে চিন্তাশীল করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 day ago
১) কোনটি পৌরাণিক শ্রেণিভুক্ত মঙ্গলকাব্য?
Created: 2 months ago
A
মনসামঙ্গল
B
কালিকামঙ্গল
C
গৌরীমঙ্গল
D
সারদামঙ্গল
গৌরীমঙ্গল
গৌরীমঙ্গল হলো পৌরাণিক শ্রেণিভুক্ত একটি মঙ্গলকাব্য।
মঙ্গলকাব্য সম্পর্কে
-
বাংলা সাহিত্যের নানা ধরনের কাব্যে মঙ্গল শব্দের ব্যবহার থাকলেও, কেবল বাংলা লৌকিক দেবতাদের নিয়ে রচিত কাব্যকেই প্রকৃত অর্থে মঙ্গলকাব্য বলা হয়।
-
শ্রেণিগতভাবে মঙ্গলকাব্যকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়:
-
পৌরাণিক মঙ্গলকাব্য
-
লৌকিক মঙ্গলকাব্য
-
পৌরাণিক শ্রেণির মঙ্গলকাব্য
উল্লেখযোগ্য উদাহরণ:
-
গৌরীমঙ্গল
-
ভবানীমঙ্গল
-
দুর্গামঙ্গল
-
অন্নদামঙ্গল
-
কমলামঙ্গল
-
গঙ্গামঙ্গল
-
চণ্ডিকামঙ্গল ইত্যাদি
লৌকিক শ্রেণির মঙ্গলকাব্য
উল্লেখযোগ্য উদাহরণ:
-
শিবায়ন বা শিবমঙ্গল
-
মনসামঙ্গল
-
চণ্ডীমঙ্গল
-
কালিকামঙ্গল (বা বিদ্যাসুন্দর)
-
শীতলামঙ্গল
-
রায়মঙ্গল
-
ষষ্ঠীমঙ্গল
-
সারদামঙ্গল
-
সূর্যমঙ্গল প্রভৃতি
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 2 months ago