'পশ্বাচার' এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
A
পশ্ব + চার
B
পশ্চ + আচার
C
পশু + চার
D
পশু + আচার
উত্তরের বিবরণ
• স্বরসন্ধির নিয়ম:
উ-ধ্বনি বা ঊ-ধ্বনির পরে অন্য স্বরধ্বনি থাকলে উ অথবা ঊ-ধ্বনির জায়গায় ব-ফলা হয় এবং পরের স্বরধ্বনির চিহ্ন আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
যেমন:
- মনু + অন্তর = মন্বন্তর,
- সু + আগত = স্বাগত,
- পশু + আচার = পশ্বাচার,
- অনু + ঈক্ষা = অন্বীক্ষা,
- তনু + ঈ = তন্বী,
- গুরু + ঈ = গুবী।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 3 months ago
'স্বাগত' শব্দটির শুদ্ধ সন্ধি-গঠন কোনটি?
Created: 4 days ago
A
স্বা + আগত
B
সু + আগত
C
স্ব + আগত
D
সা + আগত
বাংলা ভাষায় সন্ধি হলো দুটি শব্দের মিলিত হয়ে একটি নতুন শব্দ গঠনের প্রক্রিয়া। সন্ধি-নিয়ম অনুসারে, শব্দের অংশগুলোর সংযোগে ধ্বনি পরিবর্তন বা মিলনের কারণে নতুন রূপ সৃষ্টি হয়। ‘স্বাগত’ শব্দটি একটি প্রচলিত শুভেচ্ছা বা অভ্যর্থনা প্রকাশকারী শব্দ, যা মূলত ‘সু’ + ‘আগত’ দুটি অংশ থেকে গঠিত।
এর মূল বিষয়গুলো হলো:
-
প্রথম অংশের অর্থ: ‘সু’ শব্দটি সংস্কৃত থেকে আগত এবং এর অর্থ ভালো, সু- বা শুভ বোঝায়। এটি কোনো কিছুর গুণ বা ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে।
-
দ্বিতীয় অংশের অর্থ: ‘আগত’ শব্দটি ‘আসা’ ক্রিয়ার অতীত অংশ বা রূপ, যা বোঝায় আসা বা আগমন।
-
মিলনের প্রক্রিয়া: ‘সু’ + ‘আগত’ মিলিত হয়ে ‘স্বাগত’ শব্দটি গঠন করে। এখানে ধ্বনি পরিবর্তনের ফলে ‘সু’ এবং ‘আগত’-এর সংযোগে একটি সুন্দর, উচ্চারণযোগ্য শব্দ সৃষ্টি হয়।
-
সাহিত্যিক ও দৈনন্দিন ব্যবহারে গুরুত্ব: ‘স্বাগত’ শব্দটি কেবল কথ্যভাষায় নয়, সাহিত্য ও প্রবন্ধেও অভ্যর্থনা, শুভেচ্ছা এবং অতিথি-প্রীতি প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়।
সারসংক্ষেপে, ‘স্বাগত’ শব্দটি শুদ্ধভাবে ‘সু’ + ‘আগত’ অংশের মিলনফল। এটি একদিকে আগমনের সূচনা বোঝায় এবং অন্যদিকে শুভেচ্ছা ও সৌজন্যের প্রকাশ ঘটায়। বাংলা ভাষায় এই ধরনের সন্ধি-নিয়ম শব্দকে উচ্চারণে সহজ, অর্থে সুনির্দিষ্ট এবং ব্যবহারিকভাবে কার্যকর করে তোলে।
0
Updated: 4 days ago
'অবিন্ধন' শব্দের শুদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অব্ + ইন্ধন
B
অপ্ + ইন্ধন
C
অপ্ + বিন্ধন
D
অবি্ + ইন্ধন
বাংলা ভাষায় সংস্কৃত ব্যঞ্জন সন্ধি হলো এমন একটি ব্যুৎপত্তিগত নিয়ম যেখানে পূর্বপদ এবং পরপদ যুক্ত হয়ে নতুন ধ্বনি উৎপন্ন করে। এটি মূলত ধ্বনিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে স্বর ও ব্যঞ্জনের মিলন নির্দেশ করে।
-
নিয়ম অনুযায়ী, পূর্বপদের শেষ বর্গের ব্যঞ্জন যদি ক, চ, ট, ত্, প হয় এবং পরপদের প্রথম ধ্বনি স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জন, তাহলে পূর্বপদের ব্যঞ্জনকে সংশ্লিষ্ট তৃতীয় ধ্বনি তে পরিবর্তন করা হয়।
উদাহরণ: ক → গ্, চ → জ্, ট → ড্ [ড়্], ত্ → দ্, প্ → ব্। পরপদের স্বর ধ্বনি বর্গের তৃতীয় ধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়। -
উদাহরণসমূহ:
দিক্ + অন্ত → দিগন্ত
বাক্ + আড়ম্বর → বাগাড়ম্বর
প্রাক্ + উক্ত → প্রাগুক্ত
ণিচ্ + অন্ত → ণিজন্ত
অচ্ + অন্ত → অজন্ত
ষট্ + অঙ্গ → ষড়ঙ্গ
ষট্ + ঋতু → ষড়ঋতু
ষট্ + ঐশ্বর্য → ষড়ৈশ্বর্য
ষট্ + আনন → ষড়ানন
সৎ + অর্থক → সদর্থক
সৎ + ইচ্ছা → সদিচ্ছা
মৃৎ + অজ্ঞা → মৃদঙ্গ
শরৎ + ইন্দু → শরদিন্দু
অপ্ + অগ্নি → অবগ্নি
অপ্ + ইন্ধন → অবিন্ধন
সুপ্ + অন্ত → সুবন্ত
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
‘অজন্ত’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ-
Created: 1 month ago
A
অজ্ + অন্ত
B
অচ্ + অন্ত
C
অজ্ঃ + অন্ত
D
অচ্ঃ + অন্ত
• ‘অজন্ত’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ: অচ্ + অন্ত।
-
এটি ব্যঞ্জনসন্ধির উদাহরণ।
ব্যঞ্জন ও স্বরধ্বনি যোগে গঠিত ব্যঞ্জনসন্ধির কিছু উদাহরণ:
-
প্রাক্ + উক্ত = প্রাগুক্ত
-
ণিচ্ + অন্ত = ণিজন্ত
-
অচ্ + অন্ত = অজন্ত
-
ষট্ + অঙ্গ = ষড়ঙ্গ
-
ষট্ + ঋতু = ষড়ঋতু
-
ষট্ + ঐশ্বর্য = ষড়ৈশ্বর্য
-
ষট্ + আনন = ষড়ন
-
সৎ + অর্থক = সদর্থক
-
সৎ + ইচ্ছা = সদিচ্ছা
-
মৃৎ + অঙ্গ = মৃদঙ্গ
-
অপ্ + অগ্নি = অবগ্নি
-
অপ্ + ইন্ধন = অবিন্ধন
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 1 month ago