বীরবল কার ছদ্মনাম?
A
প্রমথ চৌধুরী
B
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
C
প্যারিচাঁদ মিত্র
D
ইশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 6 days ago
প্রমথ চৌধুরী রচিত প্রবন্ধ গ্রন্থ নয় কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
তেল-নুন-লকড়ী
B
চার-ইয়ারী কথা
C
বীরবলের হালখাতা
D
নানাকথা
‘চার-ইয়ারী কথা’ প্রমথ চৌধুরী রচিত একটি জনপ্রিয় গল্পগ্রন্থ, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায়। এটি ১৩২২ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যা এবং ১৩২৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় তিন কিস্তিতে প্রকাশিত হয়। ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভের পর গল্পটি ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
প্রমথ চৌধুরী বইটি উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণীকে। ১৯৪৪ সালে ইন্দিরা দেবী বইটির ইংরেজি অনুবাদ ‘Tale of Four Friends’ নামে প্রকাশ করেন, যা প্রকাশিত হয় বিশ্বভারতী থেকে। এই গল্পকে নিয়ে একসময় অভিযোগ ওঠে যে এটি আনাতোল ফ্রাঁস-এর একটি রচনার অনুকরণে লেখা।
গল্প প্রকাশের পর পাঠকমহলে বিশেষ আলোচনা সৃষ্টি হয়। অনেকেই প্রমথ চৌধুরীকে বলেন যে, তাঁর চার নায়িকার চরিত্রচিত্রণ, সংলাপ ও বর্ণনা এত বাস্তব যে মনে হয়, লেখকের সঙ্গে তাঁদের প্রত্যক্ষ পরিচয় ছিল। প্রমথ চৌধুরী জবাবে বলেন— “প্রথম নায়িকা পাগল, দ্বিতীয়টি চোর, তৃতীয়টি জুয়াচ্চোর, আর চতুর্থটি ভূত। এই চারটি চরিত্রই আমার মনগড়া। তবে তৃতীয় গল্পের নায়িকা ‘রিণী’-র সঙ্গে আমার বাস্তব পরিচয় ছিল।”
সেকালের পাঠক সমাজে বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করেছিল তৃতীয় গল্পের রহস্যময়ী নায়িকা রিণী। অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন লেখকের সঙ্গে রিণীর সম্পর্ক কতটা বাস্তব। প্রমথ চৌধুরীর আত্মকথায় এই বিষয়ে কিছু অংশ পাওয়া গেলেও এর অধিকাংশ হারিয়ে গেছে; উদ্ধারকৃত অংশটি ১৩৫২ বঙ্গাব্দে ‘বৈশাখী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
প্রমথ চৌধুরী বাংলা সাহিত্যের একজন প্রভাবশালী লেখক ও গদ্যশৈলীর নবপ্রবর্তক। তিনি ৭ আগস্ট ১৮৬৮ সালে যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রীতির মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন এবং চলিত গদ্যরীতি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’। বাংলা সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
-
তেল-নুন-লকড়ী
-
বীরবলের হালখাতা (প্রথম প্রকাশ: ভারতী পত্রিকা, ১৯০২)
-
নানাকথা
-
ভাষার কথ
-
আমাদের শিক্ষা
-
নানাচর্চা
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থসমূহ:
-
চার-ইয়ারী কথা
-
নীল্লোহিত
-
ঘোষালে ত্রিকথা
0
Updated: 3 weeks ago
প্রমথ চৌধুরী রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আমাদের শিক্ষা
B
নানা কথা
C
আহুতি
D
রায়তের কথা
‘আহুতি’
‘আহুতি’ প্রমথ চৌধুরী রচিত একটি গল্পগ্রন্থ, যা ১৯১৯ সালে প্রকাশিত হয়।
প্রমথ চৌধুরী
-
বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি বাংলা সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের সূচনা করেন।
-
ফরাসি সনেটরীতি যেমন ট্রিয়লেট, তের্জারিমা ইত্যাদিও তিনিই প্রথম বাংলায় প্রচলন করেন।
-
১৯১৪ সালে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত মাসিক সবুজপত্র বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রতিষ্ঠায় অন্যতম প্রধান ভূমিকা রাখে। এটি তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি হিসেবে বিবেচিত।
-
পরবর্তীতে ‘বীরবল’ ছদ্মনামে সবুজপত্র পত্রিকায় ব্যঙ্গরসাত্মক প্রবন্ধ ও গল্প লিখে বাংলা সাহিত্যে ‘বীরবলী ধারা’ সৃষ্টি করেন।
-
চলিত রীতিতে তাঁর প্রথম গদ্যরচনা ছিল ‘বীরবলের হালখাতা’, যা ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
প্রমথ চৌধুরীর গ্রন্থসমূহ
প্রবন্ধগ্রন্থ
-
নানা কথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
নানাচর্চা
-
প্রবন্ধ সংগ্রহ
-
বীরবলের হালখাতা
-
তেল নুন লকড়ি
গল্পগ্রন্থ
-
চার ইয়ারী কথা
-
আহুতি
-
নীললোহিত
-
গল্পসংগ্রহ
কাব্যগ্রন্থ
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
'জীবনে জ্যাঠামি ও সাহিত্যে ন্যাকামি' সহ্য করতে পারতেন না-
Created: 3 months ago
A
বঙ্কিমচন্দ্র
B
সৈয়দ মুজতবা আলী
C
প্রমথ চৌধুরী
D
প্রমথনাথ বিশী
প্রমথ চৌধুরী: বাংলা গদ্যের পথপ্রদর্শক
প্রমথ চৌধুরী বাংলা সাহিত্যের অন্যতম স্মরণীয় নাম, যিনি চলিত গদ্যরীতির অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোর জেলার এক শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যজগতে তিনি ‘বীরবল’ ছদ্মনামে লেখালেখি করতেন।
বাংলা গদ্যরীতিতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনেন তিনি। তাঁর বিখ্যাত রচনা ‘বীরবলের হালখাতা’ ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং এ গ্রন্থেই তিনি প্রথমবার চলিত ভাষার ব্যবহার শুরু করেন। এতে বাংলা গদ্যে নতুন মাত্রা যোগ হয়।
কাব্যসাহিত্যের ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন উদ্ভাবক স্বরূপ। বাংলা কবিতায় প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তনের কৃতিত্বও তাঁরই। তিনি ‘সবুজপত্র’ নামক প্রভাবশালী পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন, যা সাহিত্য অঙ্গনে নবচিন্তার ধারক হয়েছিল।
প্রমথ চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য উক্তিসমূহ
-
"সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।" — বইপড়া প্রবন্ধ থেকে
-
"ভাষা মানুষের মুখ হতে কলমে আসে; উল্টো পথে চললে মুখে শুধু কালি পড়ে।" — ভাষার কথা প্রবন্ধ থেকে
-
"জীবনে জ্যাঠামি ও সাহিত্যে ন্যাকামি আমি সহ্য করতে পারি না।" — সাহিত্যের খেলা থেকে
-
"কাব্যজগতে যার নাম আনন্দ, তারই নাম বেদনা।" — সাহিত্যের খেলা
-
"সাহিত্যের উদ্দেশ্য হচ্ছে সকলকে আনন্দ দেওয়া, কিন্তু তা মনোরঞ্জনের মাধ্যম নয়।" — সাহিত্যের খেলা
তাঁর রচনাসমগ্র:
কবিতাগ্রন্থ:
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
তেল নুন লকড়ি
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
নানাচর্চা
-
আত্মকথা
-
প্রবন্ধসংগ্রহ ইত্যাদি।
গল্পগ্রন্থ:
-
চার ইয়ারী কথা
-
আহুতি
-
নীল্লোহিত
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, সাহিত্যের খেলা প্রবন্ধ, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago