‘বেকেরেল’ কিসের একক?
A
লেন্সের ক্ষমতা
B
এক্সরে
C
দীপন ক্ষমতা
D
তেজস্ক্রিয়তা
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 6 days ago
কোনটি মৌলিক রাশির একক?
Created: 2 weeks ago
A
ওয়াট
B
জুল
C
কিলোগ্রাম
D
নিউটন
মৌলিক রাশি হলো এমন রাশি যা স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং অন্য কোনো রাশির উপর নির্ভরশীল নয়, বরং অন্যান্য সব ভৌত রাশি এই মৌলিক রাশিগুলোর উপর নির্ভর করে গঠিত হয়। এগুলো পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি রাশি হিসেবে বিবেচিত।
-
মৌলিক রাশি মোট সাতটি।
এগুলো হলো:
১। দৈর্ঘ্য (Length)
২। ভর (Mass)
৩। সময় (Time)
৪। তাপমাত্রা (Temperature)
৫। তড়িৎ প্রবাহ (Electric current)
৬। দীপন তীব্রতা (Luminous intensity)
৭। পদার্থের পরিমাণ (Amount of substance)
মৌলিক একক হলো এই মৌলিক রাশিগুলোর পরিমাপক একক, যা আন্তর্জাতিকভাবে এস.আই. একক পদ্ধতিতে (SI Units) নির্ধারিত।
-
দৈর্ঘ্যের একক — মিটার (m)
-
ভরের একক — কিলোগ্রাম (kg)
-
সময়ের একক — সেকেন্ড (s)
-
তাপমাত্রার একক — কেলভিন (K)
-
তড়িৎ প্রবাহের একক — অ্যাম্পিয়ার (A)
-
দীপন তীব্রতার একক — ক্যান্ডেলা (cd)
-
পদার্থের পরিমাণের একক — মোল (mol)
এসব মৌলিক রাশি ও এককের মাধ্যমে অন্যান্য উৎপন্ন রাশি (Derived quantities) যেমন — বেগ, ত্বরণ, বল, কাজ, ক্ষমতা ইত্যাদি নির্ণয় করা হয়।
0
Updated: 2 weeks ago
বলের একক কী?
Created: 6 days ago
A
জুল
B
ক্যালরি
C
নিউটন
D
অশ্বশক্তি
বলের একক নির্ধারণ করা হয়েছে ইংরেজ বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের নামে। বলের মাধ্যমে কোনো বস্তুর গতিবেগ পরিবর্তন বা স্থান পরিবর্তন ঘটে। এটি পদার্থবিজ্ঞানের একটি মৌলিক রাশি যা বস্তুর গতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বলের মান ও দিক—দুটিই নির্ধারক, তাই এটি একটি ভেক্টর রাশি। নিচে বল ও তার একক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো।
-
বলের সংজ্ঞা: বল হলো এমন একটি ভৌত রাশি যা কোনো বস্তুকে ত্বরিত করে বা তার অবস্থান পরিবর্তন ঘটায়।
-
বলের সূত্র: বল = ভর × ত্বরণ (F = m × a)
-
বলের একক: বলের এসআই একক হলো নিউটন (N)।
-
এক নিউটন বলের অর্থ: যদি ১ কেজি ভরের বস্তুকে ১ মিটার/সেকেন্ড² ত্বরণ দিতে হয়, তবে প্রয়োগিত বলের মান হবে ১ নিউটন।
-
CGS একক: বলের CGS একক হলো ডাইন (dyne)। ১ নিউটন = ১০⁵ ডাইন।
-
এককের উৎস: বলের এসআই এককটি স্যার আইজ্যাক নিউটনের নামানুসারে নির্ধারণ করা হয়, কারণ তিনিই প্রথম নিউটনের গতিসূত্রের মাধ্যমে বল, ভর, ও ত্বরণের সম্পর্ক প্রকাশ করেন।
-
সম্পর্কিত এককগুলো:
-
জুল (Joule): শক্তি ও কাজের একক।
-
অশ্বশক্তি (Horsepower): ক্ষমতার একক, যা কাজ সম্পাদনের হার নির্দেশ করে।
-
ক্যালরি (Calorie): তাপের একক, যা তাপশক্তির পরিমাপে ব্যবহৃত হয়।
-
-
বলের ধরণ: বলের নানা প্রকার রয়েছে—যেমন মাধ্যাকর্ষণ বল, ঘর্ষণ বল, চৌম্বক বল, বৈদ্যুতিক বল ইত্যাদি।
-
প্রয়োগক্ষেত্র: বলের ধারণা প্রকৌশল, যন্ত্রবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রাকৃতিক উদাহরণ: পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে মাধ্যাকর্ষণ বলের কারণে; কোনো বস্তু নিচে পড়ে এই বলের প্রভাবে; গাড়ি চলতে ঘর্ষণ বলের ভূমিকা থাকে।
সবশেষে বলা যায়, বল পদার্থবিজ্ঞানের এমন একটি মৌলিক রাশি যা বস্তুর গতি ও শক্তির সম্পর্ক নির্ধারণ করে, আর এর আন্তর্জাতিক একক হলো নিউটন (N)।
0
Updated: 6 days ago
পরিবাহিতার একক কী?
Created: 2 weeks ago
A
কুলম্ব
B
সিমেন্স
C
ওম
D
ভোল্ট
পরিবাহিতা (Conductance) হলো কোনো পরিবাহীর এমন একটি ধর্ম, যার দ্বারা এটি তড়িৎ প্রবাহকে চলাচলের সুযোগ দেয়। অর্থাৎ, কোনো নির্দিষ্ট বিভব পার্থক্যে কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যত বেশি তড়িৎ প্রবাহিত হয়, তার পরিবাহিতা তত বেশি হয়। এটি মূলত রোধের বিপরীত ধর্ম।
-
স্থির তাপমাত্রায় কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য (V) প্রয়োগ করলে এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ (I) ঘটে।
-
ওহমের সূত্র অনুযায়ী, I ∝ V, অর্থাৎ V এবং I পরস্পরের সমানুপাতিক।
-
সমানুপাতিক ধ্রুবক হিসেবে যদি G ধরা হয়, তবে
I = GV, যেখানে G = পরিবাহিতা (Conductance)। -
পরিবাহিতার একক হলো সিমেন্স (Siemens), প্রতীক S।
অর্থাৎ, ১ S = ১ Ω⁻¹ (রোধের বিপরীত একক)। -
পরিবাহিতা ও রোধের মধ্যে সম্পর্ক হলো:
G = 1/R এবং R = 1/G। -
একই বিভব পার্থক্যে যে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বেশি তড়িৎ প্রবাহিত হয়, তার পরিবাহিতা বেশি; আর যে পরিবাহীতে তড়িৎ প্রবাহ কম, তার রোধ বেশি।
-
পরিবাহিতার মান নির্ভর করে—
১। পদার্থের প্রকৃতি (ধাতব বা অধাতব)
২। তাপমাত্রা
৩। আকৃতি ও দৈর্ঘ্য-এর উপর। -
তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সাধারণত ধাতুর তড়িৎ পরিবাহিতা হ্রাস পায়, কারণ তাপ বৃদ্ধি অণুর কম্পন বাড়িয়ে ইলেকট্রনের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।
-
রূপা (Silver) হলো সর্বোত্তম পরিবাহী, যার পরিবাহিতা সবচেয়ে বেশি।
-
অপরদিকে জার্মেনিয়াম ও সিলিকন সাধারণ তাপমাত্রায় খুবই কম পরিবাহী, কারণ এগুলো অর্ধপরিবাহী (Semiconductor) পদার্থ।
0
Updated: 2 weeks ago