এশিয়া মহাদেশে দেশের সংখ্যা কয়টি?
A
৩৩টি
B
৩৫টি
C
৫৩টি
D
৪৪টি
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 6 days ago
‘বেরিং প্রণালী’ কোন দুটি মহাদেশকে পৃথক করেছে?
Created: 4 days ago
A
এশিয়া-ইউরোপ
B
এশিয়া-আমেরিকা
C
এশিয়া-আফ্রিকা
D
ইউরোপ-আফ্রিকা
‘বেরিং প্রণালী’ পৃথিবীর একটি গুরুত্বপূর্ণ জলরাশি যা দুই মহাদেশের মধ্যে প্রাকৃতিক সীমানা তৈরি করেছে। এটি উত্তর গোলার্ধের এক প্রান্তে অবস্থিত এবং ভৌগোলিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই প্রণালী এশিয়া ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশকে আলাদা করেছে, যা ইতিহাস, পরিবেশ ও ভূগোল—সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
বেরিং প্রণালী উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের সংযোগস্থলে অবস্থিত।
-
এটি রাশিয়ার সাইবেরিয়া অংশ এবং আমেরিকার আলাস্কা রাজ্যের মাঝখানে অবস্থিত একটি সরু জলরাশি।
-
প্রণালীর প্রস্থ প্রায় ৮৫ কিলোমিটার এবং সবচেয়ে গভীর অংশের গভীরতা প্রায় ৫০ মিটার।
-
এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমারেখা বা International Date Line অতিক্রম করেছে।
-
ইতিহাস অনুযায়ী, বরফ যুগে এই প্রণালী স্থলসেতু (Bering Land Bridge) আকারে ছিল, যার মাধ্যমে মানুষ ও প্রাণী এশিয়া থেকে আমেরিকা মহাদেশে অভিবাসন করেছিল।
-
এই পথ দিয়েই প্রথম মানবজাতি উত্তর আমেরিকায় পৌঁছেছিল বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন।
-
বেরিং প্রণালী আজও প্রাকৃতিক জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে, কারণ এটি আর্কটিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের ঠান্ডা ও উষ্ণ স্রোতের মিশ্রণ ঘটায়।
-
প্রণালীর নামকরণ করা হয়েছে ভিটাস বেরিং (Vitus Bering) নামের এক ড্যানিশ অভিযাত্রীর নাম অনুসারে, যিনি ১৭২৮ সালে এই প্রণালী আবিষ্কার করেন।
-
বর্তমান সময়ে এটি ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নির্ধারণ করে।
-
বেরিং প্রণালীতে দুটি ছোট দ্বীপ আছে — বিগ ডায়োমিড (রাশিয়ার অংশ) ও লিটল ডায়োমিড (যুক্তরাষ্ট্রের অংশ)। এই দুটি দ্বীপের মধ্যেই সময়ের পার্থক্য প্রায় একদিন।
সংক্ষেপে, বেরিং প্রণালী হলো একটি সরু জলপথ যা এশিয়া (রাশিয়া) ও উত্তর আমেরিকা (আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট্র) মহাদেশকে পৃথক করেছে। এটি কেবল ভূগোলগত সীমারেখা নয়, বরং মানব সভ্যতার প্রাচীন অভিবাসনের ইতিহাসের এক অনন্য সাক্ষী।
0
Updated: 4 days ago
পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ কোনটি?
Created: 3 days ago
A
আফ্রিকা
B
ইউরোপ
C
উত্তর আমেরিকা
D
এশিয়া
এশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম ও সর্বাধিক জনবহুল মহাদেশ, যা ভৌগোলিকভাবে মূলত পূর্ব ও উত্তর গোলার্ধে বিস্তৃত। এটি পৃথিবীর মোট স্থলভাগের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জুড়ে অবস্থান করছে এবং এখানে বিশ্বের জনসংখ্যার অধিকাংশ বসবাস করে।
-
এশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ।
-
এটি মূলত পূর্ব ও উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত।
-
এশিয়া পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৮.৭% এবং স্থলভাগের প্রায় ৩০% দখল করে আছে।
-
মহাদেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৪৩০ কোটি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০%-এরও বেশি।
-
চীন ও ভারত, দুটি সর্বাধিক জনবহুল দেশ, এই মহাদেশেই অবস্থিত।
-
এশিয়ায় বহু সংস্কৃতি, ধর্ম ও ভাষার বৈচিত্র্য বিদ্যমান।
-
এটি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।
-
প্রাকৃতিক সম্পদ, জনসংখ্যা এবং ভৌগোলিক বৈচিত্র্যের কারণে এশিয়া বিশ্বে অনন্য গুরুত্ব বহন করে।
0
Updated: 3 days ago
‘বেরিং প্রণালী’ কোন দুটি মহাদেশকে পৃথক করেছে?
Created: 3 days ago
A
এশিয়া-ইউরোপ
B
এশিয়া-আমেরিকা
C
এশিয়া-আফ্রিকা
D
ইউরোপ-আফ্রিকা
বেরিং প্রণালী হলো একটি জলপথ যা এশিয়া এবং আমেরিকা মহাদেশকে পৃথক করে। এটি একেবারে ছোট, তবে ঐতিহাসিক এবং ভূগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
অবস্থান: বেরিং প্রণালী রাশিয়ার সাইবেরিয়া এবং আলাস্কা (আমেরিকা) এর মধ্যে অবস্থিত।
-
প্রস্থ: বেরিং প্রণালীর প্রস্থ প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল)।
-
জলপথ: এটি আটলান্টিক মহাসাগরের উপসাগরের সাথে সংযুক্ত হয়ে দুটি মহাদেশকে আলাদা করে।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: বেরিং প্রণালী প্রাচীন যুগে মানব ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ ছিল, যেখানে আদিম মানুষ এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে আসা-যাওয়া করত। ধারণা করা হয় যে, আজ থেকে প্রায় ১২,০০০ বছর আগে মানুষের প্রথম আমেরিকায় আগমন বেরিং প্রণালীর মাধ্যমেই হয়েছিল।
-
প্রাকৃতিক গঠন: বেরিং প্রণালী বরফে ঢেকে থাকলে, এটি একটি স্থলপথে রূপান্তরিত হতে পারে, যা দুই মহাদেশের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করে।
এই কারণে, বেরিং প্রণালী এশিয়া এবং আমেরিকা মহাদেশগুলোকে পৃথক করেছে।
0
Updated: 3 days ago