রামায়ণের রচিয়তা -
A
রত্নাকর দস্যু
B
কবীন্ত্র পরমেশ্বর
C
কৃতিবাস ওজা
D
মাগন ঠাকুর
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 6 days ago
'একাত্তরের দিনগুলি' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 4 days ago
A
শাহরিয়ার কবির
B
সুফিয়া কামাল
C
জাহানারা ইমাম
D
সেলিনা হোসেন
‘একাত্তরের দিনগুলি’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক হৃদয়স্পর্শী ও বাস্তবভিত্তিক দিনলিপি, যার রচয়িতা জাহানারা ইমাম। তিনি এই গ্রন্থে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, মানসিক সংগ্রাম এবং জাতির বেদনাময় বাস্তবতাকে অকপটে তুলে ধরেছেন। বইটি মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ ইতিহাসের একটি অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়।
গ্রন্থটির মূল বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব:
এই গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে একজন সাধারণ নাগরিকের জীবনযাপন, ভয়, আশা ও সংগ্রাম নিখুঁতভাবে ফুটে উঠেছে।
জাহানারা ইমাম একজন মা হিসেবে তাঁর পুত্র রুমির শহিদ হওয়ার ঘটনা যেমন গভীর মমতায় বর্ণনা করেছেন, তেমনি দেশের স্বাধীনতার জন্য তাঁর অদম্য আকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করেছেন।
‘একাত্তরের দিনগুলি’ শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত ডায়েরি নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বাস্তব নথি, যেখানে যুদ্ধের মানবিক দিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট একসঙ্গে প্রতিফলিত হয়েছে।
বইটির ভাষা সরল হলেও আবেগ ও বাস্তবতার গভীরতা পাঠককে নাড়া দেয়। যুদ্ধকালীন সময়ের প্রতিটি দিনের ভয়াবহতা, বেদনা ও আশা এই গ্রন্থে অনবদ্যভাবে ফুটে উঠেছে।
গ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার পর এটি মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যিক দলিল হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি পায় এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলে।
জাহানারা ইমাম এই গ্রন্থের মাধ্যমে শুধু এক লেখক হিসেবেই নয়, বরং একজন “মাতৃসত্তার প্রতীক” হিসেবে বাঙালি জাতির ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন।
সুতরাং, ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সত্যনিষ্ঠ বয়ান, যেখানে ইতিহাস, আবেগ ও মানবতার মিলনে এক অমর সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে।
উ. গ) জাহানারা ইমাম
0
Updated: 4 days ago
'নীলাঞ্জনার খাতা' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
জীবনানন্দ দাশ
B
বুদ্ধদেব বসু
C
বিষ্ণু দে
D
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বুদ্ধদেব বসু:
-
তিনি তিরিশের দশকের একজন সাহিত্যিক, সমালোচক ও সম্পাদক ছিলেন।
-
জন্ম: ১৯০৮ সালের ৩০ নভেম্বর, কুমিল্লায়।
-
তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের মালখানগরে।
বুদ্ধদেব বসুর রচিত গল্পগ্রন্থ:
-
অভিনয়, অভিনয় নয়
-
রেখাচিত্র
-
হাওয়া বদল ইত্যাদি
বুদ্ধদেব বসুর রচিত উপন্যাস:
-
তিথিডোর
-
সাড়া
-
সানন্দা
-
লালমেঘ
-
পরিক্রমা
-
কালো হাওয়া
-
নির্জন স্বাক্ষর
-
নীলাঞ্জনার খাতা ইত্যাদি
বুদ্ধদেব বসুর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
কঙ্কাবতী
-
দময়ন্তী
-
মর্মবাণী
-
যে আঁধার আলোর অধিক
বুদ্ধদেব বসুর রচিত নাটক:
-
মায়া মালঞ্চ
-
তপস্বী ও তরঙ্গিনী
-
কলকাতার ইলেক্টা ও সত্যসন্ধ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
“পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল“ পঙ্খক্তির রচয়িতা -
Created: 1 week ago
A
রামনারায়ণ তর্করত্ন
B
বিহারীলাল চক্রবর্তী
C
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
D
মদনমোহন তর্কালংকার
এই পঙক্তিটি উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের এক বিশিষ্ট গদ্যকার ও কবি মদনমোহন তর্কালংকারের রচনা। তিনি ছিলেন বাংলা নবজাগরণের প্রাথমিক যুগের একজন অগ্রণী সাহিত্যিক, যিনি প্রাচীন ও আধুনিক ভাবধারার মধ্যে এক সেতুবন্ধন রচনা করেন। “পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল” পঙক্তিটি তাঁর সাহিত্যিক সৃষ্টির মধ্য দিয়ে প্রকৃতি, সমাজ ও নৈতিক জাগরণের এক প্রতীকী চিত্র প্রকাশ করে।
এই পঙক্তির মাধ্যমে তিনি মানুষের মনন ও সমাজজীবনের অন্ধকার থেকে আলোর দিকে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। এটি কেবল একটি প্রকৃতিবিষয়ক বর্ণনা নয়, বরং গভীর দার্শনিক অর্থ বহন করে—যেখানে ‘রাতি পোহাইল’ মানে অজ্ঞানতার অবসান এবং ‘পাখির রব’ মানে নবজাগরণের সূচনা।
ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায়—
• মদনমোহন তর্কালংকার ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথমদিকের আধুনিক গদ্যরচয়িতাদের একজন। তাঁর রচনায় সমাজসংস্কার, মানবপ্রেম ও জাতীয় চেতনার প্রতিফলন দেখা যায়।
• “পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল” পঙক্তিটি প্রতীকধর্মী। এখানে ‘পাখি’ বোঝায় জাগ্রত মানুষ, যারা আলোর আহ্বান জানায়; আর ‘রাতি’ বোঝায় অজ্ঞতা, নিদ্রা বা পশ্চাৎপদতার সময়।
• এই লাইনটি মূলত মানবমনের জাগরণের আহ্বান। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, সময় এসেছে ঘুম থেকে জেগে উঠার, কর্মে প্রবৃত্ত হওয়ার।
• উক্ত পঙক্তি বাংলা নবজাগরণের সাহিত্যিক ভাষায় এক নবচেতনার প্রকাশ—যা মানুষের ভেতরের অন্ধকার দূর করে সমাজে প্রগতির আলো ছড়ানোর আহ্বান জানায়।
• সাহিত্যিক হিসেবে মদনমোহন তর্কালংকার সমাজে যুক্তিবাদী চিন্তা ও সংস্কারবিরোধী চেতনা ছড়িয়েছিলেন। তাঁর রচনাগুলোতে দেখা যায় নৈতিক জাগরণ, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও শিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর।
• এই পঙক্তি শুধু সাহিত্য নয়, তৎকালীন সমাজের মানসিক অবস্থার প্রতিফলনও বটে—যেখানে মানুষ ধীরে ধীরে কুসংস্কার ত্যাগ করে যুক্তিবাদ ও মানবতাবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।
• “রাতি পোহাইল” শব্দবন্ধের মাধ্যমে তিনি ইঙ্গিত করেছেন যে, অন্ধকারের পরেই আসে নতুন ভোর, অর্থাৎ দুর্দশার পরেই মুক্তির সম্ভাবনা।
• এই পঙক্তি তাই যুগচেতনার প্রতীক—যা বাংলার রেনেসাঁ যুগের আত্মপ্রকাশের মূর্ত প্রতিচ্ছবি।
সার্বিকভাবে, মদনমোহন তর্কালংকারের এই লাইনটি শুধু কবিত্বের সৌন্দর্য নয়, বরং এক মানবিক ও আলোকিত সমাজের আহ্বান। তাঁর এই পঙক্তি বাংলা সাহিত্যে চিরন্তন বার্তা হিসেবে বিবেচিত—অন্ধকারের অবসান ঘটিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।
0
Updated: 1 week ago