উত্তর: ঘ) ১৯০১
নোবেল পুরস্কার বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পুরস্কার, যা প্রথমবার ১৯০১ সালে প্রদান করা হয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সুইডিশ বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেল, যিনি মূলত ডায়নামাইটের আবিষ্কারের জন্য পরিচিত। নোবেল তাঁর জীবদ্দশায় প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, তবে তিনি চাইতেন তাঁর সম্পদ মানবজাতির কল্যাণে কাজে লাগুক। মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর সম্পত্তির বড় অংশ নোবেল পুরস্কারের জন্য রেখে যান, যাতে বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মানুষের প্রচেষ্টা স্বীকৃত হয়।
নোবেল পুরস্কারের মূল বিষয়গুলো সহজভাবে ব্যাখ্যা করলে দেখা যায়:
-
প্রতিষ্ঠা ও উদ্দেশ্য: নোবেল ১৮৯৫ সালে তাঁর উইলে ঘোষণা করেন যে তাঁর সম্পত্তির বড় অংশ ব্যবহার করা হবে এমন ব্যক্তিদের স্বীকৃতিতে, যারা মানবজাতির কল্যাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবেন। তিনি চাইতেন পুরস্কার এমন ক্ষেত্রগুলোতে দেওয়া হোক যা সমাজ ও মানুষের জীবন উন্নত করে।
-
প্রথম প্রদান: তাঁর মৃত্যুর তিন বছর পর, ১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার প্রথমবার প্রদান করা হয়। এটি বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তি ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি হিসেবে স্বীকৃত হয়।
-
বিভাগ: নোবেল পুরস্কার মূলত ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, মেডিসিন, সাহিত্য ও শান্তি ক্ষেত্রে বিতরণ করা হয়। পরে অর্থনীতিতেও এই পুরস্কার চালু করা হয়।
-
প্রদানের নিয়ম: প্রতি বছর নির্দিষ্ট কমিটি বিজয়ী মনোনয়ন ও নির্বাচনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করে। বিজয়ীকে সম্মাননা ও অর্থনৈতিক অনুদান দেওয়া হয়।
-
গুরুত্ব: নোবেল পুরস্কার মানবজাতির কল্যাণ, সৃষ্টিশীলতা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে। এটি শুধু ব্যক্তিগত কৃতিত্বের স্বীকৃতি নয়, বরং বৈজ্ঞানিক ও মানবিক উন্নতির জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড তৈরি করে।
১৯০১ সাল থেকে এই পুরস্কারের যাত্রা শুরু হওয়ায় এটি এখন একশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানবজাতির জন্য প্রেরণার উৎস হিসেবে বিবেচিত। প্রথমবারের নোবেল বিজয়ীরা তাদের ক্ষেত্রের প্রতি অসাধারণ অবদানের জন্য নির্বাচিত হন, যা পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্ভাবন ও গবেষণায় অনুপ্রাণিত করেছে। এই পুরস্কারের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক, সাহিত্যিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে মানবকল্যাণের নতুন মানদণ্ড স্থাপন করা হয়।
অতএব, প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো ঘ) ১৯০১, কারণ এই সাল থেকেই নোবেল পুরস্কারের ইতিহাস শুরু হয় এবং এটি আজও বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি। এটি শুধু আলফ্রেড নোবেলের প্রেরণা নয়, বরং মানবজাতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি সৃষ্টিশীল ও কল্যাণমুখী উদ্যোগের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।