অ্যালজিনিক এসিড কোথায় পাওয়া যায়?
A
Rhodophyceae
B
Chlocophyceae
C
Phaeophyceae
D
Cyanophyceae
উত্তরের বিবরণ
Alginic acid (Algin) হলো একটি প্রাকৃতিক পলিস্যাকারাইড, যা প্রধানত Phaeophyceae (brown algae) থেকে সংগ্রহ করা হয়। এটি শৈবালের কোষ প্রাচীরে উপস্থিত থেকে পানি ধারণ ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, ফলে শৈবাল জলীয় পরিবেশে গঠনগত দৃঢ়তা বজায় রাখতে সক্ষম হয়।
-
উৎপত্তি: প্রধান উৎস হলো Laminaria, Macrocystis ও Sargassum প্রজাতির ব্রাউন শৈবাল।
-
গঠন ও ভূমিকা: Alginic acid কোষ প্রাচীরের জেল সদৃশ উপাদান, যা উদ্ভিদকে শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং কোষের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
-
বাণিজ্যিক ব্যবহার: এটি জেল (gel) তৈরিতে, ইমালসিফায়ার ও ভিসকোসিটি বৃদ্ধি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
প্রয়োগ ক্ষেত্র: খাদ্য শিল্পে ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে, ঔষধে ও ক্ষত নিরাময়ে জেল তৈরিতে, এবং প্রসাধন ও বস্ত্রশিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
অতএব, Alginic acid হলো ব্রাউন শৈবাল থেকে প্রাপ্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ জীব-অণু, যার প্রাকৃতিক ও শিল্প উভয় ক্ষেত্রেই বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে।
0
Updated: 1 week ago
যে সব উদ্ভিদ ছায়ায় জন্মায় তাদের কি বলে?
Created: 1 week ago
A
Psamophyten
B
Heliophyten
C
Sciophytes
D
Monocots
ছায়াপ্রিয় উদ্ভিদ (Sciophytes) হলো এমন উদ্ভিদ যেগুলো কম আলো বা ছায়াযুক্ত পরিবেশে ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। এদের গঠন ও শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্য এমনভাবে অভিযোজিত যে অল্প আলোতেও কার্যকরভাবে সালোকসংশ্লেষণ সম্পন্ন করতে পারে।
-
Sciophyte শব্দটি এসেছে Scio (ছায়া) এবং phyte (উদ্ভিদ) থেকে।
-
এদের পাতা সাধারণত বড়, পাতলা ও অধিক ক্লোরোফিলযুক্ত, ফলে অল্প আলোকেও পর্যাপ্ত সালোকসংশ্লেষণ সম্ভব হয়।
-
এরা সাধারণত ছায়াযুক্ত বনভূমি, আর্দ্র বা স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে জন্মায়।
-
উদাহরণ: ফার্ন (Pteris), মস (Moss), Begonia, Calathea ইত্যাদি।
তুলনামূলকভাবে:
-
Heliophytes হলো সূর্যালোকপ্রিয় উদ্ভিদ, যেমন ধান, গম, সূর্যমুখী, ভুট্টা—এরা খোলা ও আলোকপূর্ণ স্থানে ভালো জন্মায়।
-
Psamophytes হলো বালুময় মাটিতে জন্মানো উদ্ভিদ, যেমন Cactus, Casuarina।
-
Monocots হলো একবীজপত্রী উদ্ভিদ, যেমন ধান ও গম, যাদের বীজে একটি মাত্র cotyledon থাকে।
অতএব, যে উদ্ভিদ কম আলো বা ছায়াযুক্ত স্থানে জন্মে, তাদের বলা হয় ছায়াপ্রিয় উদ্ভিদ বা Sciophytes।
0
Updated: 1 week ago
কোনটি প্রাকৃতিকভাবে Opium এ থাকে না?
Created: 1 week ago
A
মরফিন
B
কোডিন
C
নাক্রোটিন
D
হিরোইন
আফিম (Opium) হলো Papaver somniferum উদ্ভিদের অপরিণত ফল থেকে নির্গত ল্যাটেক্স, যা শুকিয়ে সংগ্রহ করা হয়। এতে স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন alkaloid যৌগ থাকে, যেগুলোর মধ্যে কয়েকটি ঔষধি গুণসম্পন্ন হলেও কিছু অত্যন্ত আসক্তিকর।
-
আফিমে প্রাকৃতিকভাবে থাকা প্রধান Alkaloids:
-
Morphine: Narcotic alkaloid; শক্তিশালী ব্যথানাশক (pain killer) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
Codeine: Narcotic alkaloid; কাশি নিরাময়ের ওষুধে ব্যবহৃত।
-
Narcotine (Noscapine): Non-narcotic alkaloid; কাশি কমাতে ব্যবহৃত হয়।
-
Papaverine: Isoquinoline alkaloid; রক্তনালিকা প্রসারণে (vasodilation) সহায়তা করে।
-
-
Heroin (ডাইঅ্যাসিটাইল মরফিন) প্রাকৃতিক নয়; এটি মরফিনের রাসায়নিক পরিবর্তিত রূপ (semi-synthetic derivative)।
-
এটি ল্যাবরেটরিতে মরফিনের সঙ্গে acetic anhydride বিক্রিয়া করিয়ে প্রস্তুত করা হয়, তাই এটি আফিমে স্বাভাবিকভাবে উপস্থিত থাকে না।
Trease & Evans – Pharmacognosy এবং Tyler, Brady & Robbers – Pharmacognosy-এর মতে,
“আফিমের সক্রিয় উপাদানগুলোর মধ্যে মরফিন, কোডিন, নাক্রোটিন ও প্যাপাভারিন প্রধান; তবে হিরোইন আফিম থেকে প্রাপ্ত হলেও এটি কৃত্রিমভাবে প্রস্তুতকৃত যৌগ।”
0
Updated: 1 week ago
ক্রোমোসোমের আকৃতির জন্য কোনটি সত্য নয়?
Created: 1 week ago
A
V-মেটাসেন্ট্রিক
B
L-সাবমেটাসেন্ট্রিক
C
A-এক্রোসেন্টিক
D
I-টেলোসেন্ট্রিক
সেন্ট্রোমিয়ার হলো ক্রোমোজোমের একটি সংকীর্ণ অঞ্চল, যা দুই বাহুকে যুক্ত রাখে এবং কোষ বিভাজনের সময় স্পিন্ডল ফাইবারের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এর অবস্থানের ভিত্তিতে ক্রোমোজোমকে চারটি প্রকারে ভাগ করা যায়, যা গঠন ও আকৃতিগত বৈচিত্র্য নির্দেশ করে।
-
Metacentric (মেটাসেন্ট্রিক): সেন্ট্রোমিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে থাকে। দুই বাহুর দৈর্ঘ্য প্রায় সমান, ফলে ক্রোমোজোমটি V-আকৃতির বা symmetrical দেখায়।
-
Submetacentric (সাবমেটাসেন্ট্রিক): সেন্ট্রোমিয়ার মধ্যবিন্দু থেকে সামান্য সরে থাকে। এক বাহু বড় ও অন্যটি ছোট হয়, ফলে ক্রোমোজোমটি L-আকৃতির দেখা যায়।
-
Acrocentric (এক্রোসেন্ট্রিক): সেন্ট্রোমিয়ার প্রায় এক প্রান্তে অবস্থিত। এক বাহু দীর্ঘ, অন্যটি খুব ছোট বা প্রায় নগণ্য। এটি A বা J-আকৃতির দেখায়।
-
Telocentric (টেলোসেন্ট্রিক): সেন্ট্রোমিয়ার একদম প্রান্তে থাকে। এখানে এক বাহু অনুপস্থিত, ফলে ক্রোমোজোমটি I-আকৃতির দেখায়।
ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান বলেছেন, “সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুসারে ক্রোমোজোমকে মেটাসেন্ট্রিক, সাবমেটাসেন্ট্রিক, এক্রোসেন্ট্রিক ও টেলোসেন্ট্রিক ভাগে বিভক্ত করা হয়।”
0
Updated: 1 week ago