কোন মিথক্রিয়াটি নেতিবাচক?
A
Neutralism
B
Ammensalism
C
Commensalism
D
Protocooperation
উত্তরের বিবরণ
মিথস্ক্রিয়া (Symbiotic interactions) হলো দুই বা ততোধিক জীবের মধ্যে এমন সম্পর্ক, যেখানে একে অপরের উপস্থিতি উপকার, ক্ষতি বা নিরপেক্ষ প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। এই সম্পর্ক প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
Neutralism (0,0): উভয় জীবের জন্য কোনো প্রভাব নেই।
উদাহরণ: দুই ভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ যারা একে অপরের বৃদ্ধি বা বেঁচে থাকার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। -
Ammensalism (-,0): এক পক্ষের ক্ষতি হয়, অন্য পক্ষের কোনো প্রভাব পড়ে না।
উদাহরণ: Penicillium ছত্রাক পেনিসিলিন উৎপন্ন করে যা ব্যাকটেরিয়াকে হত্যা করে, কিন্তু ছত্রাক নিজে প্রভাবিত হয় না। এটি নেতিবাচক মিথস্ক্রিয়ার উদাহরণ। -
Commensalism (+,0): এক পক্ষ উপকার পায়, অন্য পক্ষ অপ্রভাবিত থাকে।
উদাহরণ: Orchid গাছের ডালে ভর করে বৃদ্ধি পায়, কিন্তু গাছের কোনো ক্ষতি হয় না। -
Protocooperation (+,+): উভয় পক্ষ উপকার পায়, তবে সম্পর্কটি বাধ্যতামূলক নয়।
উদাহরণ: পোল বীজের উপর মাকড়সা ও পোকা খাওয়া প্রাণীর সম্পর্ক, যেখানে উভয়েই পারস্পরিকভাবে উপকৃত হয়।
0
Updated: 1 week ago
একজন কৃষক গম গাছের কান্ডে বাদামী রঙের ফুসকুড়ি লক্ষ্য করেছেন। এটি কোন রোগের লক্ষণ?
Created: 5 days ago
A
স্মার্ট
B
রাস্ট
C
ব্লাস্ট
D
মোজাইক
যখন ম গাছের কান্ড, পাতা বা দানায় বাদামী রঙের ফুসকুড়ি (pustules) দেখা যায়, তখন এটি রাস্ট রোগের (Rust disease) স্পষ্ট লক্ষণ। এই রোগের কারণ হলো ছত্রাক Puccinia graminis, যা মূলত গমের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
-
লক্ষণ: পাতায়, কান্ডে ও দানায় বাদামী বা হলুদ বর্ণের পুস্তুল বা ফুসকুড়ি তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে স্পোর ছাড়ে এবং রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
-
প্রভাব: এ রোগে পাতার টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে ফটোসিন্থেসিসের কার্যকারিতা কমে যায়।
-
এর ফলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং শেষ পর্যন্ত ফসলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।
0
Updated: 5 days ago
কোন অঙ্গানুটি অটোফ্যাগীতে (Authophogy)-তে জড়িত?
Created: 1 week ago
A
লাইসোসোম
B
লাইবোসোম
C
অমসৃণ এডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম
D
গলগি বডি
লাইসোসোম (Lysosome) হলো কোষের এক ধরনের পরিপাক অঙ্গাণু, যা বিভিন্ন হাইড্রোলাইটিক এনজাইম ধারণ করে এবং কোষের অভ্যন্তরে ভাঙন ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তীব্র খাদ্যাভাব বা কোষীয় চাপের সময় এই অঙ্গাণুটি স্বগ্রাস (Autophagy) ও স্ববিনাশ (Autolysis) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
-
অটোফ্যাগি (Autophagy):
লাইসোসোম ক্ষতিগ্রস্ত, পুরোনো বা অপ্রয়োজনীয় অঙ্গানুগুলোকে আবদ্ধ করে ভেঙে ফেলে, অর্থাৎ “নিজ কোষের অংশকে খেয়ে ফেলে”।
এটি এক ধরনের self-cleaning প্রক্রিয়া, যা কোষের টিকে থাকা ও পুনর্গঠনে সহায়তা করে। -
অটোলাইসিস (Autolysis):
যখন লাইসোসোমের ঝিল্লি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যায়, তখন এর এনজাইমগুলো কোষের ভেতর ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো কোষটিকেই ভেঙে গলিয়ে ফেলে।
এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় অটোলাইসিস বা self-digestion, অর্থাৎ কোষের স্ব-বিনাশ। -
তীব্র খাদ্যাভাবের সময়, লাইসোসোমের প্রাচীর ফেটে গিয়ে এনজাইম নিঃসৃত হয়, যা অঙ্গানুগুলোর ধ্বংস ঘটায় (Autophagy), এবং দীর্ঘস্থায়ী অবস্থায় পুরো কোষ ধ্বংস হয়ে যায় (Autolysis)।
-
ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান (জীববিজ্ঞান, দ্বিতীয় পত্র) অনুযায়ী, “তীব্র খাদ্যাভাবের সময় লাইসোসোমের প্রাচীর ফেটে যায় এবং এনজাইম বের হয়ে কোষের অন্যান্য অঙ্গাণুগুলো বিনষ্ট করে দেয়—এটি স্বগ্রাস বা অটোফ্যাগী। এভাবে পুরো কোষটিও পরিপাক হয়ে যেতে পারে—এটি অটোলাইসিস।”
অতএব, Autophagy ও Autolysis—উভয় প্রক্রিয়ায়ই লাইসোসোমের এনজাইম কোষের অভ্যন্তরীণ পরিপাক ও নিয়ন্ত্রিত ধ্বংসে মূল ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 week ago
কোন চক্রের কোন দশায় DNA সংশ্লেষণ ঘটে?
Created: 6 days ago
A
G1- দশায়
B
G2- দশায়
C
S-দশায়
D
M-দশায়
কোষচক্র (Cell cycle) হলো কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যেখানে কোষ এক বিভাজন থেকে পরবর্তী বিভাজন পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে। এটি চারটি প্রধান ধাপে বিভক্ত: G₁, S, G₂, এবং M।
-
G₁ পর্যায়: কোষের বৃদ্ধি ও প্রোটিন সংশ্লেষণ ঘটে।
-
S পর্যায় (Synthesis phase): এখানে DNA-এর পূর্ণাঙ্গ রেপ্লিকেশন সম্পন্ন হয়, ফলে প্রতিটি ক্রোমোজোমের দ্বিগুণ কপি তৈরি হয়।
-
G₂ পর্যায়: DNA সংশ্লেষণের পর কোষ বিভাজনের প্রস্তুতি নেয়, এবং নতুন প্রোটিন ও অর্গানেল তৈরি হয়।
-
M পর্যায় (Mitosis): এই পর্যায়ে কোষ বিভাজন ঘটে এবং ক্রোমোজোম দুই নতুন কোষে বিভক্ত হয়।
অতএব, DNA সংশ্লেষণ বা রেপ্লিকেশন S-দশায় (S-phase) সম্পন্ন হয়।
0
Updated: 6 days ago