কাজের এস.আই. একক কোনটি?
A
ওয়াট
B
নিউটন
C
জুল
D
পাস্কাল
উত্তরের বিবরণ
পদার্থবিজ্ঞানে “কাজ” এমন একটি পরিমাপ যা বলে দেয় কোনো বল প্রয়োগে একটি বস্তুকে নির্দিষ্ট দূরত্বে সরাতে কত শক্তি ব্যয় হয়েছে। কাজের পরিমাণ নির্ভর করে বলের মান এবং বলের অভিমুখে বস্তুটির সরণের উপর। কাজ ও শক্তি পরস্পর সম্পর্কিত, তাই তাদের এস.আই. এককও একই। নিচে কাজ ও এর একক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো—
-
কাজের সংজ্ঞা: যখন কোনো বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করা হয় এবং বস্তুটি সেই বলের অভিমুখে কিছু দূরত্ব অতিক্রম করে, তখন কাজ সম্পাদিত হয়।
-
কাজের সূত্র:
কাজ (W) = বল (F) × সরণ (S)
অর্থাৎ, -
একক নির্ণয়: বলের একক হলো নিউটন (N) এবং সরণের একক হলো মিটার (m)।
তাই, কাজের একক = নিউটন × মিটার = জুল (J) -
১ জুলের সংজ্ঞা: যদি ১ নিউটন বল প্রয়োগে কোনো বস্তুকে বলের অভিমুখে ১ মিটার সরানো যায়, তবে সম্পাদিত কাজের পরিমাণ হবে ১ জুল।
-
গাণিতিকভাবে: ১ জুল = ১ নিউটন × ১ মিটার = ১ N·m
-
জুল নামকরণ: কাজ ও শক্তির এই এককের নামকরণ করা হয়েছে ইংরেজ পদার্থবিদ জেমস প্রেসকট জুল (James Prescott Joule)-এর নামানুসারে। তিনি ১৮১৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৮৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
-
জুলের অন্যান্য ব্যবহার: শুধু কাজ নয়, শক্তি (Energy) এবং তাপ (Heat)-এর ক্ষেত্রেও জুল একক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
সম্পর্কিত এককসমূহ:
-
১ কিলোজুল (kJ) = ১০০০ জুল
-
১ মেগাজুল (MJ) = ১০⁶ জুল
-
-
প্রয়োগ:
-
বিদ্যুৎশক্তি, যান্ত্রিক কাজ, এবং তাপশক্তি মাপার ক্ষেত্রে জুল ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র ১ সেকেন্ডে ১ ওয়াট শক্তি ব্যবহার করলে, তা ১ জুল কাজ সম্পাদন করে।
-
সুতরাং, জুল হলো কাজ এবং শক্তির এস.আই. একক, যা শক্তির ব্যবহারের একটি মৌলিক ও সর্বজনস্বীকৃত পরিমাপ একক।
0
Updated: 1 week ago
পরিবাহিতার একক কী?
Created: 2 weeks ago
A
কুলম্ব
B
সিমেন্স
C
ওম
D
ভোল্ট
পরিবাহিতা (Conductance) হলো কোনো পরিবাহীর এমন একটি ধর্ম, যার দ্বারা এটি তড়িৎ প্রবাহকে চলাচলের সুযোগ দেয়। অর্থাৎ, কোনো নির্দিষ্ট বিভব পার্থক্যে কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যত বেশি তড়িৎ প্রবাহিত হয়, তার পরিবাহিতা তত বেশি হয়। এটি মূলত রোধের বিপরীত ধর্ম।
-
স্থির তাপমাত্রায় কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য (V) প্রয়োগ করলে এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ (I) ঘটে।
-
ওহমের সূত্র অনুযায়ী, I ∝ V, অর্থাৎ V এবং I পরস্পরের সমানুপাতিক।
-
সমানুপাতিক ধ্রুবক হিসেবে যদি G ধরা হয়, তবে
I = GV, যেখানে G = পরিবাহিতা (Conductance)। -
পরিবাহিতার একক হলো সিমেন্স (Siemens), প্রতীক S।
অর্থাৎ, ১ S = ১ Ω⁻¹ (রোধের বিপরীত একক)। -
পরিবাহিতা ও রোধের মধ্যে সম্পর্ক হলো:
G = 1/R এবং R = 1/G। -
একই বিভব পার্থক্যে যে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বেশি তড়িৎ প্রবাহিত হয়, তার পরিবাহিতা বেশি; আর যে পরিবাহীতে তড়িৎ প্রবাহ কম, তার রোধ বেশি।
-
পরিবাহিতার মান নির্ভর করে—
১। পদার্থের প্রকৃতি (ধাতব বা অধাতব)
২। তাপমাত্রা
৩। আকৃতি ও দৈর্ঘ্য-এর উপর। -
তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সাধারণত ধাতুর তড়িৎ পরিবাহিতা হ্রাস পায়, কারণ তাপ বৃদ্ধি অণুর কম্পন বাড়িয়ে ইলেকট্রনের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।
-
রূপা (Silver) হলো সর্বোত্তম পরিবাহী, যার পরিবাহিতা সবচেয়ে বেশি।
-
অপরদিকে জার্মেনিয়াম ও সিলিকন সাধারণ তাপমাত্রায় খুবই কম পরিবাহী, কারণ এগুলো অর্ধপরিবাহী (Semiconductor) পদার্থ।
0
Updated: 2 weeks ago
‘বেকেরেল’ কিসের একক?
Created: 6 days ago
A
লেন্সের ক্ষমতা
B
এক্সরে
C
দীপন ক্ষমতা
D
তেজস্ক্রিয়তা
0
Updated: 6 days ago
রোধের এস.আই একক কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ভোল্ট
B
ও'ম
C
সিমেন্স
D
অ্যাম্পিয়ার
রোধ (Resistance):
-
বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি হয় ইলেকট্রনের প্রবাহের জন্য।
-
কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য থাকলে এই প্রবাহ শুরু হয়।
-
এ ক্ষেত্রে ইলেকট্রন নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
ইলেকট্রন পরিবাহীর ভেতর দিয়ে চলার সময় অণু-পরমাণুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
-
সংঘর্ষের কারণে ইলেকট্রনের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয়।
-
পরিবাহীর এই বাধাদানের ধর্মকে রোধ (Resistance) বলে।
-
রোধের এস.আই. একক হলো ওম (Ω)।
-
সংজ্ঞা: কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য ১ ভোল্ট এবং এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ ১ অ্যাম্পিয়ার হলে, ঐ পরিবাহীর রোধ হবে ১ ওম।
অন্যদিকে:
-
তড়িৎ প্রবাহের একক → অ্যাম্পিয়ার (A)
-
তড়িৎ পরিবাহিতার একক → সিমেন্স (S)
-
বিভব পার্থকের একক → ভোল্ট (V)
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago