SIM-এর পূর্ণরূপ কী?
A
Subscriber International Module
B
Subscriber Identification Module
C
Subscriber Identification Module
D
Subscriber Information Memory
উত্তরের বিবরণ
SIM বা Subscriber Identification Module হলো একটি ছোট চিপ, যা মোবাইল ফোনের অপরিহার্য অংশ। এটি মূলত ব্যবহারকারীর পরিচয় এবং নেটওয়ার্ক তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করে। সহজভাবে বলা যায়, এই চিপ ছাড়া মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারে না। নিচে এর প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো।
-
অর্থ ও সংজ্ঞা: SIM হলো একটি Integrated Circuit (IC), যা মোবাইল ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষণ করে এবং নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন নিশ্চিত করে। এর পূর্ণরূপ Subscriber Identification Module।
-
মূল কাজ: এটি ব্যবহারকারীর IMSI (International Mobile Subscriber Identity) এবং Authentication Key ধারণ করে, যা নেটওয়ার্কের সাথে যোগাযোগের সময় পরিচয় যাচাই করতে সাহায্য করে।
-
গঠন ও উপাদান: SIM কার্ড সাধারণত একটি Microcontroller এবং Memory Chip নিয়ে তৈরি। এতে EEPROM মেমরি থাকে যেখানে ডেটা যেমন ফোন নম্বর, বার্তা ও কনট্যাক্ট সংরক্ষিত থাকে।
-
ব্যবহার ও কার্যপ্রণালী: ফোন চালু হলে SIM নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। নেটওয়ার্ক তখন IMSI যাচাই করে এবং গ্রাহকের বৈধতা নিশ্চিত করে। এভাবেই কল করা, বার্তা পাঠানো ও ডেটা ব্যবহার সম্ভব হয়।
-
ধরন: বর্তমানে বিভিন্ন আকারের SIM ব্যবহৃত হয় — Standard SIM, Micro SIM, Nano SIM এবং eSIM (Embedded SIM)। নতুন প্রজন্মে eSIM সবচেয়ে আধুনিক, যা আলাদা কার্ড ছাড়াই ফোনে যুক্ত থাকে।
-
প্রযুক্তিগত গুরুত্ব:
SIM কার্ড GSM, CDMA, LTE এবং 5G নেটওয়ার্কে যোগাযোগের জন্য অপরিহার্য। এটি ডেটা এনক্রিপশন করে ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখে। -
সুবিধা:
এটি সহজে পরিবর্তনযোগ্য, ফলে ব্যবহারকারী অন্য ফোনে স্থানান্তর করতে পারেন। এছাড়াও বিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে। -
উদাহরণ ও পরিসংখ্যান:
২০২5 সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ৬ বিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় SIM ব্যবহার হচ্ছে, যা মোবাইল যোগাযোগের বিস্তারকে প্রমাণ করে।
SIM হলো মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থার হৃদয়। এটি ব্যবহারকারীর পরিচয় সংরক্ষণ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং নেটওয়ার্ক সংযোগের মূল মাধ্যম। সহজভাবে বলতে গেলে, SIM ছাড়া কোনো মোবাইল ফোন কার্যকর হয় না।
0
Updated: 1 week ago
নারিকা–১ কি?
Created: 1 week ago
A
উন্নত জাতের পেয়ারা
B
খরা সহিষ্ণু ধান
C
উন্নত জাতের কলা
D
খরা সহিষ্ণু গম
নারিকা–১ হলো একটি খরা সহিষ্ণু ধানের জাত, যা কম পানি ও প্রতিকূল আবহাওয়ায়ও ফলন দিতে সক্ষম। এটি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 1 week ago
কোন প্রাণী নিজের শরীরের চেয়ে পঞ্চাশ গুন বেশি ভরের বস্তু বহন করতে পারে ?
Created: 10 hours ago
A
ঘোড়া
B
হাতি
C
পিঁপড়া
D
গাধা
পিঁপড়া পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম কিন্তু সবচেয়ে পরিশ্রমী ও শক্তিশালী প্রাণীদের একটি। আকারে ছোট হলেও এর শক্তি ও সংগঠনের ক্ষমতা বিস্ময়কর। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, একটি পিঁপড়া নিজের শরীরের ওজনের ৫০ গুণ পর্যন্ত ভার বহন করতে পারে। এই আশ্চর্য ক্ষমতাই তাকে অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় ব্যতিক্রমী করে তুলেছে। নিচে এই বিষয়টি সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো।
• পিঁপড়ার শারীরিক গঠন অত্যন্ত মজবুত। তাদের দেহে শক্ত এক্সোস্কেলেটন (বাহ্যিক কঙ্কাল) থাকে যা প্রচণ্ড চাপ সহ্য করতে পারে। এর ফলে তারা নিজের ওজনের বহু গুণ বেশি ভারও তুলতে পারে।
• তাদের ছোট আকারই শক্তির উৎস। জীববিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী, আকার ছোট হলে পেশির অনুপাত বেশি থাকে। ফলে পিঁপড়ার মতো ক্ষুদ্র প্রাণী তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তিশালী হয়।
• গঠনগত ভারসাম্য ও জৈব বলবিদ্যা তাদের সক্ষমতা বাড়ায়। পিঁপড়ার ঘাড় ও বুকে বিশেষ ধরনের পেশি থাকে, যা ওজন বহনের সময় ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
• বিজ্ঞানীরা একে “প্রাকৃতিক ভারোত্তোলক” বলে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি পিঁপড়া প্রায় ৫,০০০ মিলিগ্রাম (৫ গ্রাম) পর্যন্ত বস্তু তুলতে পারে, যেখানে তার নিজের ওজন মাত্র ০.১ মিলিগ্রাম।
• এরা দলবদ্ধভাবে কাজ করে। একসাথে কাজ করার ফলে ভারী খাবার বা জিনিসপত্র বাসায় নিয়ে যাওয়া সহজ হয়। প্রতিটি পিঁপড়া নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করে, যেমন খাদ্য সংগ্রাহক, রক্ষী বা পরিচর্যাকারী।
• পিঁপড়ার প্রজাতি হাজারের বেশি। পৃথিবীতে প্রায় ১২,০০০টিরও বেশি প্রজাতির পিঁপড়া রয়েছে, যেগুলোর বাস বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলে। প্রতিটি প্রজাতির পেশিশক্তি ও কাজের ধরন কিছুটা ভিন্ন।
• তাদের জীবনযাপন অত্যন্ত সংগঠিত। প্রতিটি উপনিবেশে একটি রাণী পিঁপড়া থাকে, যার কাজ ডিম দেওয়া। অন্যরা খাবার জোগাড় ও বাচ্চাদের যত্ন নেয়। এই শৃঙ্খলা তাদের সফল সমাজিক প্রাণীতে পরিণত করেছে।
• পিঁপড়া পরিবেশের জন্যও উপকারী। তারা মাটিতে বায়ুচলাচল সৃষ্টি করে, মৃত প্রাণী ও গাছপালা পচিয়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে।
• অন্য প্রাণীর তুলনা:
-
ঘোড়া সাধারণত নিজের ওজনের প্রায় ১.৫ গুণ ভার টানতে পারে।
-
হাতি তার শরীরের প্রায় ১০-১২ গুণ পর্যন্ত ভার বহন করতে পারে।
-
গাধা তুলনামূলক দুর্বল, নিজের ওজনের সমান বা সামান্য বেশি ভার বহন করতে পারে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, পিঁপড়া হলো ক্ষুদ্র অথচ অসাধারণ শক্তিশালী প্রাণী, যার শারীরিক গঠন ও দলবদ্ধ কাজের দক্ষতা একে প্রকৃতির এক বিস্ময়কর উদাহরণে পরিণত করেছে।
0
Updated: 10 hours ago
নিচের কোন উদ্ভিদটিকে ‘সূর্যকন্যা’ বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
গোলাপ গাছ
B
সূর্যমুখী গাছ
C
তুলা গাছ
D
কচুরিপানা
তুলা গাছকে ‘সূর্যকন্যা’ বলা হয় তার অনন্য বৈশিষ্ট্য, উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং সূর্যের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের কারণে। এটি এমন একটি উদ্ভিদ যা কৃষি, অর্থনীতি এবং শিল্প—তিন ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সূর্যের সঙ্গে সম্পর্ক:
তুলা গাছ সূর্যের আলো ও তাপের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। এটি উষ্ণ ও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় ভালো জন্মে। পর্যাপ্ত সূর্যালোক ছাড়া তুলার ফুল ফোটে না এবং আঁশের মান নষ্ট হয়ে যায়। তাই কৃষকরা একে ভালোবেসে ‘সূর্যকন্যা’ বলে ডাকেন।
তুলা গাছের বৈজ্ঞানিক পরিচয়:
তুলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Gossypium herbaceum। এটি মালভেসি (Malvaceae) পরিবারের অন্তর্গত। এর আঁশ মূলত বীজের চারপাশে জন্মায়, যা থেকে সুতা ও কাপড় তৈরি হয়।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
তুলা পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান নগদ ফসল। এটি থেকে তৈরি সুতা, কাপড়, তেল ও পশুখাদ্য বহু শিল্পে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পোশাকশিল্প তুলার উপর নির্ভরশীল। তাই তুলা গাছ শুধু কৃষিতেই নয়, জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখে।
কৃষিগত বৈশিষ্ট্য:
তুলা গাছ সাধারণত ৩-৫ ফুট উঁচু হয়। এটি শুকনো, উষ্ণ, বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। বপনের সময় মে-জুন মাস এবং তুলা তোলা হয় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। এর জন্য নিয়মিত সূর্যালোক ও মাঝারি বৃষ্টিপাত প্রয়োজন।
প্রতীকী অর্থে সূর্যকন্যা:
তুলা গাছের ফুল ও ফল উজ্জ্বল রঙের হয় এবং এর বৃদ্ধি সূর্যের আলোয় সবচেয়ে ভালো হয়। সূর্যের কিরণে ফুল ফোটে, ফল পাকে, আর তুলা সাদা আঁশে ফুটে ওঠে যেন সূর্যের আলোয় জন্ম নেওয়া এক “কন্যা”। এজন্যই একে কাব্যিকভাবে “সূর্যকন্যা” বলা হয়।
পরিবেশগত গুরুত্ব:
তুলা গাছ মাটির উর্বরতা রক্ষা করে এবং কৃষিজ চক্রে ভারসাম্য রাখে। এর পাতা ও বীজপ্রক্রিয়াজাত অবশিষ্টাংশ পশুখাদ্য ও সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
তুলা গাছ প্রকৃত অর্থেই “সূর্যকন্যা” — কারণ এটি সূর্যের আলোয় বিকশিত হয়, মানুষের প্রয়োজন মেটায় এবং দেশের অর্থনীতিতে অমূল্য অবদান রাখে। এর প্রতিটি আঁশ সূর্যের আলোর মতোই উজ্জ্বল ও জীবনের জন্য অপরিহার্য।
0
Updated: 1 week ago