‘নির্মোক’ কোন শব্দগুচ্ছের সংকুচিত রূপ?
A
পশুর খোলস
B
নির্মোহ লোক
C
নিমোক রাখার পাত্র
D
সাপের খোলস
উত্তরের বিবরণ
“নির্মোক” শব্দের অর্থ হলো এমন একটি খোলস বা আবরণ যা সরীসৃপ (বিশেষ করে সাপ) শরীর থেকে ঝরে পড়ে। এটি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত শব্দ।
0
Updated: 3 months ago
দুটি বিশেষণ পদে গঠিত কর্মধারয় সমাসের দৃষ্টান্ত কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কাঁচকলা
B
চালাকচতুর
C
দুঃশাসন
D
মহাত্মা
• দুটি বিশেষণ পদে গঠিত কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ: চালাকচতুর।
--------------------
• কর্মধারয় সমাস:
বিশেষ্য ও বিশেষণ পদে বা বিশেষ্য ও বিশেষণ ভাবাপন্ন পদে যে সমাস হয় এবং যেখানে পরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রাধান্য পায় তাকে 'কর্মধারয়' সমাস বলে। কর্মধারয় সমাসে সাধারণত বিশেষণ পদ আগে বসে।
যেমন:
- ফুলের মতো কুমারী = ফুলকুমারী,
- নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম।
সমাসবদ্ধ শব্দে বিশেষ্য ও বিশেষণের অবস্থানগত পার্থক্য নির্দেশ করে কিছু উদাহরণ:
(বিশেষণ+ বিশেষ্য):
কাঁচা যে কলা = কাঁচকলা;
দুঃ যে শাসন = দুঃশাসন;
মহৎ যে আত্মা = মহাত্মা।
(বিশেষণ+ বিশেষণ):
যে চালাক সেই চতুর = চালাকচতুর,
যা কাঁচা তা-ই মিঠা = কাঁচামিঠা (কাঁচামিঠে)।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 1 month ago
কাকে 'চলিষ্ণু অভিধান' বলা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
চন্দ্রকুমার দে
C
দীনেশচন্দ্র সেন
D
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের এক অসাধারণ বাঙালি ব্যক্তিত্ব— একজন বহুভাষাবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষক, দার্শনিক ও গবেষক। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যচর্চায় যুগান্তকারী অবদান রাখেন এবং ভাষাতত্ত্বে তাঁর অনুসন্ধানমূলক কাজ তাঁকে সর্বজনস্বীকৃত মর্যাদা এনে দেয়।
জীবনপরিচয়:
-
জন্ম: ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে।
-
তিনি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর অনুরাগী একজন গবেষক ছিলেন।
-
ভাষা, সাহিত্য ও দর্শনের গভীর অধ্যয়নের জন্য তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ নামে পরিচিতি পান।
-
তাঁকে আরও বলা হয় ‘চলিষ্ণু অভিধান’, কারণ তিনি অসংখ্য ভাষায় পারদর্শী ছিলেন এবং তাঁর জ্ঞানের পরিধি ছিল অত্যন্ত বিস্তৃত।
ভাষা ও জাতিসত্তা বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি:
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি আজও স্মরণীয়—
“আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।”
এই বক্তব্যে তিনি ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে জাতিসত্তার ঐক্য ও মানবতার বার্তা প্রকাশ করেছিলেন।
গবেষণা ও সাহিত্যকর্ম:
-
১৯৫৯ সালে তিনি রচনা করেন অমূল্য ভাষাতাত্ত্বিক গ্রন্থ ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’, যা বাংলা ভাষার উৎপত্তি, বিকাশ ও ধ্বনিগত বিশ্লেষণে এক প্রামাণ্য দলিল।
-
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
বাংলা সাহিত্যের কথা
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
-
অন্যান্য অবদান:
-
তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন, যা বাংলা উপভাষার সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 3 weeks ago
'ঘাড়ের ভূত নামানো' প্রবাদটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
নিজেকে সংশ্লিষ্ট না করা
B
দুর্বুদ্ধি ত্যাগ করা
C
অপ্রাসঙ্গিক কাজ করা
D
কোনো না কোনোভাবে কার্যসিদ্ধি
'ঘাড়ের ভূত নামানো' প্রবাদের অর্থ হলো দুর্বুদ্ধি ত্যাগ করা। এর alongside আরও কিছু প্রবাদ রয়েছে যেগুলোর অর্থ ভিন্ন।
-
কানে দিয়েছি তুলো পিঠে বেঁধেছি কুলো: নিজেকে সংশ্লিষ্ট না করা
-
ধান ভানতে শিবের-গীত্র / ধেনো হাটে ওল নামানো: অপ্রাসঙ্গিক কাজ করা
-
ধারে না হলে ভারে কাটে: কোনো না কোনোভাবে কার্যসিদ্ধি
উৎস:
0
Updated: 1 month ago