নজরুলের কোন গ্রন্থটি নিষিদ্ধ হয়েছিল?
A
বিষের বাঁশি
B
অগ্নিবীণা
C
মৃত্যুক্ষুধা
D
পুবের হাওয়া
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 1 week ago
'নূরনামা' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
দৌলত কাজী
B
সৈয়দ হামজা
C
আলাওল
D
আবদুল হাকিম
মধ্যযুগের মুসলিম কবি আবদুল হাকিম বাংলা সাহিত্যে নৈতিক ও ভাষা-সচেতন কাব্য রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
নূরনামা কাব্যগ্রন্থ:
-
রচয়িতা: আবদুল হাকিম।
-
কাব্যটি ফারসি নীতিকাব্য নূরনামাহ্ অবলম্বনে রচিত।
-
কাব্যের একটি শ্রদ্ধাশীল উক্তি:
-
"যেসব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী, সেসব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।"
-
এই উক্তির কারণে কাব্যটি বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবে বিশেষ প্রশংসিত।
-
আবদুল হাকিম:
-
তিনি সপ্তদশ শতাব্দীর মুসলিম কবি, জন্ম ১৬২০ খ্রিষ্টাব্দে সন্দ্বীপের সুধারামে।
-
মধ্যযুগে মুসলমানরা বাংলা ভাষাকে নিজের ভাষা মনে করতো না, বরং পারসি, আরবি ও উর্দুকে প্রাধান্য দিত। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল হাকিম 'নূরনামা' কাব্যে দু'টি প্রবাদতুল্য পঙ্ক্তি লিখে পরভাষাশ্রীতির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।
-
আবদুল হাকিমের পাঁচটি কাব্য সংরক্ষিত আছে:
-
ইউসুফ জোলেখা
-
নূরনামা
-
দুররে মজলিশ
-
লালমোতি সয়ফুলমুলুক
-
হানিফার লড়াই
-
0
Updated: 1 month ago
'সূর্য দীঘল বাড়ী' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জমিলা
B
জয়গুন
C
আমেনা
D
রহিমা
‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ উপন্যাস
১. রচয়িতা ও প্রকাশ
-
রচয়িতা: আবু ইসহাক
-
প্রকাশ: ১৯৫৫
-
ধারা: সামাজিক উপন্যাস
২. বিষয়বস্তু
-
বাংলাদেশের গ্রাম জীবনের বিশ্বস্ত চিত্রায়ন।
-
পটভূমি: বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও দেশবিভাগ।
-
উপন্যাসে এই ঐতিহাসিক ঘটনার প্রভাব গ্রামের মানুষের জীবনে কীভাবে প্রতিফলিত হয় তা চিত্রিত হয়েছে।
৩. প্রধান চরিত্র
-
জয়গুন
৪. অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র
-
হাসু, মায়মুন, শাফি, ডা. রমেশ চক্রবর্তী, মোরল গদু ইত্যাদি।
অন্যদিকে:
-
'লালসালু' উপন্যাসের চরিত্র: মজিদ, খালেক ব্যাপারি, জমিলা, রহিমা, আমেনা, আক্কাস, তাহেরের বাপ, হাসুনির মা।
0
Updated: 1 month ago
"আমার কবিতা আমি জানি গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী।" পঙ্ক্তিটির লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D
সুকান্ত ভট্টাচার্য
“আমার কবিতা আমি জানি, গেলেও বিচিত্র পথে হয় নাই সে সর্বত্রগামী।”—এই পঙ্ক্তিটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এটি তাঁর ঐকতান কবিতার অংশ, যা রচিত হয়েছিল তাঁর মৃত্যুর মাত্র চার মাস আগে।
ঐকতান কবিতা রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি মূলত কবির আত্মস্বীকারোক্তিমূলক ও আত্মপক্ষসমর্থনমূলক কবিতা, যেখানে তিনি নিজের সীমাবদ্ধতা ও সৃষ্টির বৈচিত্র্যের মধ্যকার অপূর্ণতা স্বীকার করেছেন। কবি মনে করেন, তাঁর কবিতা যদিও বিচিত্র পথে অগ্রসর হয়েছে, তবুও তা সর্বত্র পৌঁছাতে পারেনি।
ঐকতান কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য
-
কবি পৃথিবীর বিশালতা ও বৈচিত্র্যের কথা উল্লেখ করেছেন।
-
মানুষের সভ্যতা, নদী, গিরি, সিন্ধু, মরু, নগর ও কীর্তির বিপুলতা তিনি স্বীকার করেছেন।
-
সেই তুলনায় তাঁর সৃষ্টিকর্ম সীমাবদ্ধ ও একটি ক্ষুদ্র কোণেই আবদ্ধ।
-
কবি স্বীকার করেছেন যে, তাঁর সুরে অপূর্ণতা রয়েছে।
-
আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়েও তিনি শিল্পীর সত্য ও সততা প্রকাশ করেছেন।
এ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ শিল্পীর আত্মদর্শন ও আত্মবিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন, যা তাঁর সাহিত্যকর্মের গভীর মানবতাবোধকে প্রতিফলিত করে।
0
Updated: 1 month ago