জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক (Biosafety to the Convention on Biological Diversity) হচ্ছে-
A
কার্টাগেনা প্রটোকল
B
মন্ট্রিল প্রটোকল
C
কিয়াটো প্রটোকল
D
প্যারিস চুক্তি
উত্তরের বিবরণ
কার্টাগেনা প্রটোকল (Cartagena Protocol on Biosafety to the Convention on Biological Diversity) হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা জৈব নিরাপত্তা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছে। এটি মূলত এমন একটি প্রটোকল যা জিনগতভাবে পরিবর্তিত জীব (Genetically Modified Organisms - GMOs) বা Living Modified Organisms (LMOs) পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব না ফেলে তা নিশ্চিত করার জন্য তৈরি করা হয়।
কার্টাগেনা প্রটোকলের মূল তথ্যসমূহ:
-
প্রোটোকলটির পূর্ণরূপ হলো “Cartagena Protocol on Biosafety to the Convention on Biological Diversity।”
-
এটি জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক প্রটোকল, যার লক্ষ্য জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জিনগতভাবে পরিবর্তিত জীবের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
-
এই প্রটোকলের খসড়া কলম্বিয়ার কার্টাগেনা শহরে অনুমোদিত হয়, যেখান থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে।
-
স্বাক্ষরিত হয় ২৯ জানুয়ারি ২০০০ সালে, এবং কার্যকর হয় ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৩ সালে।
-
প্রাথমিকভাবে ১০৩টি দেশ প্রোটোকলে স্বাক্ষর করে, এবং পরবর্তীতে ১৭৩টি দেশ এটি অনুমোদন করে।
-
বাংলাদেশ ২০০০ সালে এই প্রোটোকলে স্বাক্ষর করে এবং ২০০৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন প্রদান করে।
প্রটোকলের উদ্দেশ্য:
-
জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা।
-
জিনগতভাবে পরিবর্তিত জীব (GMOs) আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা মান বজায় রাখা।
-
পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের সম্ভাব্য ঝুঁকি কমিয়ে আনা।
-
জীববৈচিত্র্য কনভেনশনের (Convention on Biological Diversity – CBD) অধীনে জীবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
অন্যান্য আন্তর্জাতিক পরিবেশগত চুক্তিসমূহ:
১. মন্ট্রিল প্রটোকল (Montreal Protocol):
-
গৃহীত হয় ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ সালে কানাডার মন্ট্রিলে।
-
কার্যকর হয় ১ জানুয়ারি ১৯৮৯ সালে।
-
এর লক্ষ্য হলো পৃথিবীর ওজোন স্তর রক্ষায় ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের (যেমন CFCs) উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা।
-
এই প্রটোকলকে পরিবেশ সুরক্ষার সবচেয়ে সফল আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২. কিয়োটো প্রটোকল (Kyoto Protocol):
-
এটি একটি বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের জন্য রাষ্ট্রগুলোকে বাধ্যবাধকতা আরোপ করে।
-
চুক্তিটি গৃহীত হয় ১১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে জাপানের কিয়োটো শহরে।
-
পরবর্তীতে এটি ২০০৫ সালে কার্যকর হয় এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
৩. প্যারিস চুক্তি (Paris Agreement):
-
প্যারিসে স্বাক্ষরিত কয়েকটি ঐতিহাসিক চুক্তির মধ্যে একটি হলো পিস অব প্যারিস (Peace of Paris), যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে স্বাক্ষরিত হয়।
-
আধুনিক কালের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ “প্যারিস চুক্তি” হলো ২০১৫ সালের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যারিস চুক্তি, যেখানে দেশগুলো গ্লোবাল ওয়ার্মিং ২°C এর নিচে রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়।
সব মিলিয়ে, কার্টাগেনা প্রটোকল জীববৈচিত্র্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা পরিবেশ, কৃষি ও মানবস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈজ্ঞানিক নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেয়।
0
Updated: 1 week ago
'ইন্টারফ্যাক্স' কোন দেশের সংবাদ সংস্থা?
Created: 1 month ago
A
যুক্তরাজ্য
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
কানাডা
D
রাশিয়া
বিভিন্ন দেশের সংবাদ সংস্থা আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংবাদ সংগ্রহ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
বাংলাদেশ: বাসস, এনা, আইএসপিআর, ইউএনবি, আবাস, পিআইবি
-
যুক্তরাষ্ট্র: এপি, ভয়েস অব আমেরিকা (VOA), CNN
-
যুক্তরাজ্য: রয়টার্স, বিবিসি
-
পাকিস্তান: এপিপি, পিপিআই, ইউপিপি
-
চীন: সিনহুয়া
-
ফ্রান্স: এএফপি
-
অষ্ট্রেলিয়া: অষ্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এবিসি)
-
কানাডা: কানাডিয়া প্রেস (সিপি)
-
সিরিয়া: সানা
-
লিবিয়া: জানা
-
মালয়েশিয়া: বারনামা
-
মিশর: মেনা (Middle East News Agency)
-
পর্তুগাল: লুসা
-
বেলজিয়াম: বেলজা
-
ভারত: PTI, ইউএনআই
-
রাশিয়া: ITAR-TASS, Rossiya Segodnya, ইন্টারফ্যাক্স
-
ইন্দোনেশিয়া: আনতারা
-
ইরান: ইরনা, আইএনএ
-
ইরাক: নিউজ এজেন্সি (ইনা)
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
Most Favored Nation (MFN)' নীতি কোন সংস্থার সাথে সম্পর্কিত?
Created: 3 weeks ago
A
World Bank
B
WTO
C
IMF
D
United Nation
মোস্ট-ফেভারড-নেশন (Most-Favored-Nation - MFN) নীতি হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি, যা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্যহীন বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। এই নীতি অনুযায়ী, কোনো দেশ যদি একটি বাণিজ্যিক অংশীদারকে বিশেষ সুবিধা দেয়, তবে অন্যান্য সদস্য দেশকেও সেই একই সুবিধা দিতে হবে। এর ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে সমতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত হয়।
-
নীতি অনুসারে: কোনো দেশ তার বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে বৈষম্য করতে পারবে না। একটি দেশকে যে শুল্ক বা বাণিজ্য সুবিধা দেওয়া হবে, তা অন্যান্য দেশকেও সমানভাবে দিতে হবে।
-
WTO-এর অধীনে: MFN নীতি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্যহীন বাণিজ্যিক আচরণ নিশ্চিত করে।
-
নীতির লক্ষ্য: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সমতা, ন্যায্যতা ও প্রতিযোগিতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা।
-
বিশেষ সুবিধা না দেওয়া: এ নীতির আওতায় কোনো সদস্য রাষ্ট্রকে আলাদা করে বিশেষ সুবিধা দেওয়া যায় না।
-
চুক্তিভুক্ত পণ্যের সমতা: সদস্য দেশের উৎপাদিত পণ্য ও সামগ্রীকে একই পর্যায়ে বিবেচনা করা হয়, যা বাণিজ্যিক বৈষম্য হ্রাসে সহায়তা করে।
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: প্রথমে এই নীতি GATT (General Agreement on Tariffs and Trade)-এর অধীনে কার্যকর ছিল, পরবর্তীতে এটি WTO (World Trade Organization)-এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
কোন সম্মেলনে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠনের অঙ্গীকার করা হয়?
Created: 2 months ago
A
কোপেনহেগেন সম্মেলন
B
কানকুন সম্মেলন
C
ডারবান সম্মেলন
D
স্টকহোম সম্মেলন
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আন্তর্জাতিক সংস্থা
গ্রিন হাউস
Green Climate Fund (GCF)
-
প্রতিষ্ঠা: ২০১০, কানকুন, মেক্সিকো (COP-16)
-
সংশ্লিষ্ট সংস্থা: UNFCCC
-
সদর দপ্তর: ইয়েনচিয়ন, দক্ষিণ কোরিয়া
-
উদ্দেশ্য:
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান
-
কার্বন নির্গমন কমানো
-
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১.৫°C মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
২০০৯ সালে কোপেনহেগেন (COP-15) সম্মেলনে গঠনের অঙ্গীকার করা হয়।
-
উন্নত দেশগুলোর প্রদত্ত চাঁদার মাধ্যমে তহবিল পরিচালিত হয়।
-
তহবিলের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোকে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
উৎস: Green Climate Fund ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago