বৈশিক শান্তিসূচক ২০২৩ অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হলো -
A
আইসল্যান্ড
B
জাপান
C
সিংগাপুর
D
সুইজারল্যান্ড
উত্তরের বিবরণ
বৈশ্বিক শান্তি সূচক (Global Peace Index – GPI) ২০২৩ হলো একটি আন্তর্জাতিক সূচক যা বিশ্বের দেশগুলোর শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা Institute for Economics and Peace (IEP), যারা প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী শান্তি পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে।
গ্লোবাল পিস ইনডেক্স ২০২৩ প্রকাশিত হয় ২৮ জুন ২০২৩ তারিখে। এতে বিশ্বের ১৬৩টি দেশ ও অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং প্রতিটি দেশের অবস্থান নির্ধারণ করা হয় সহিংসতা, অপরাধ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক ব্যয় ও সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সূচকের ওপর ভিত্তি করে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল “Global Peace Index 2023”।
শীর্ষ শান্তিপূর্ণ দেশসমূহ:
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হলো আইসল্যান্ড, যা টানা কয়েক বছর ধরে প্রথম স্থানে রয়েছে। আইসল্যান্ডে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, ন্যূনতম অপরাধহার এবং সামাজিক নিরাপত্তার কারণে এটি শান্তির শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। এর পরে রয়েছে—
১. আইসল্যান্ড
২. ডেনমার্ক
৩. আয়ারল্যান্ড
৪. নিউজিল্যান্ড
৫. অস্ট্রিয়া
এই দেশগুলোতে সামাজিক আস্থা, আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ উচ্চমানের হওয়ায় এগুলো শান্তি সূচকে শীর্ষে অবস্থান করছে।
শান্তি সূচকে সর্বনিম্ন দেশসমূহ:
বিশ্বের সবচেয়ে অশান্ত দেশ হিসেবে তালিকার সর্বনিম্ন স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান (১৬৩তম), যা টানা কয়েক বছর ধরে শেষ স্থানে রয়েছে। এর পরেই অবস্থান করেছে—
১৬২. ইয়েমেন,
১৬১. সিরিয়া,
১৬০. দক্ষিণ সুদান,
১৫৯. গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র।
এই দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবাদ ও মানবিক সংকটে ভুগছে, যার ফলে তাদের শান্তি সূচক খুবই নিম্ন।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর অবস্থান:
-
ভুটান – ১৭তম
-
নেপাল – ৭৯তম
-
বাংলাদেশ – ৮৮তম
-
শ্রীলঙ্কা – ১০৭তম
-
ভারত – ১২৬তম
-
পাকিস্তান – ১৪৬তম
-
আফগানিস্তান – ১৬৩তম
এখানে ভুটান দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে, আর আফগানিস্তান সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের ৮৮তম অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে দেশটি মধ্যম পর্যায়ের শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত, যেখানে সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলেও আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে।
সব মিলিয়ে, গ্লোবাল পিস ইনডেক্স ২০২৩ বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতার মানদণ্ড নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, যা রাষ্ট্রগুলোর নীতি প্রণয়নে দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করে।
0
Updated: 1 week ago
চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের প্রধান নেতা কে ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
মাও সেতুং
B
ডেং জিয়াওপিং
C
চিয়াং কাইশেক
D
সান ইয়েৎ সেন
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আন্তর্জাতিক সংস্থা
মাও সেতুং
চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব (Cultural Revolution)
-
সময়কাল: ১৯৬৬ – ১৯৭৬
-
মূল নেতা: মাও সেতুং
-
কারণ:
-
সমগ্র চীনকে কমিউনিস্ট শাসনের আওতায় আনা
-
অর্থনৈতিক পুনর্গঠন
-
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার
-
কমিউনিস্ট বিরোধী ভাবধারা প্রতিহত করা
-
-
প্রভাব:
-
চীনের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক একীকরণ
-
কমিউনিস্ট পার্টির অবস্থান দৃঢ় করা
-
সমগ্র চীনকে একত্রিত করা
-
প্রেক্ষাপট
-
১৯৪৯ সালের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব:
-
মাও সেতুং নেতৃত্বে গণপ্রজাতন্ত্র চীন (People's Republic of China) প্রতিষ্ঠিত
-
১লা অক্টোবর, ১৯৪৯ সালে এক রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সূচনা
-
মাও সেতুংকে গণচীনের জনক বলা হয়
-
-
অন্য উল্লেখযোগ্য চীনা নেতা:
-
সান ইয়েৎ সেন – চীন প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
-
চিয়াং কাইশেক – চীনের পুঁজিবাদ তন্ত্রের প্রবর্তক
-
উৎস: Britannica
0
Updated: 2 months ago
EU কী ধরনের সংগঠন?
Created: 5 months ago
A
অর্থনৈতিক
B
রাজনৈতিক
C
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক
D
সামাজিক
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (EU)
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (EU) হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং প্রভাবশালী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জোট, যা ইউরোপীয় অঞ্চলের দেশসমূহ নিয়ে গঠিত।
🔹 প্রতিষ্ঠা:
-
তারিখ: ১ নভেম্বর, ১৯৯৩
-
চুক্তি: মাস্ট্রিচ চুক্তি
-
এই চুক্তির মাধ্যমেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় এবং এটি বিশ্বের বৃহত্তম ট্রেডিং ব্লকে পরিণত হয়।
সদর দপ্তর
-
ব্রাসেলস, বেলজিয়াম — এখানেই EU-এর প্রধান দপ্তর অবস্থিত।
সদস্য দেশসংখ্যা
-
মোট সদস্য দেশ: ২৭টি (এপ্রিল ২০২৫ অনুযায়ী)
সর্বশেষ যোগদানকারী দেশ
-
ক্রোয়েশিয়া — সর্বশেষ দেশ হিসেবে EU-তে যোগ দিয়েছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ
১. অস্ট্রিয়া
২. বেলজিয়াম
৩. বুলগেরিয়া
৪. ক্রোয়েশিয়া
৫. সাইপ্রাস
৬. চেক প্রজাতন্ত্র
৭. ডেনমার্ক
৮. এস্তোনিয়া
৯. ফিনল্যান্ড
১০. ফ্রান্স
১১. জার্মানি
১২. গ্রীস
১৩. হাঙ্গেরি
১৪. আয়ারল্যান্ড
১৫. ইতালি
১৬. লাটভিয়া
১৭. লিথুয়ানিয়া
১৮. লুক্সেমবার্গ
১৯. মাল্টা
২০. নেদারল্যান্ডস
২১. পোল্যান্ড
২২. পর্তুগাল
২৩. রোমানিয়া
২৪. স্লোভাকিয়া
২৫. স্লোভেনিয়া
২৬. স্পেন
27. সুইডেন
উৎস: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
0
Updated: 5 months ago
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৫১ সালে
B
১৯৫৭ সালে
C
১৯৬০ সালে
D
১৯৬৩ সালে
IOM হলো আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, যা প্রবাসী ও অভিবাসীদের নিরাপদ, নিয়মিত ও দায়িত্বশীল অভিবাসন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে।
-
পূর্ণরূপ: INTERNATIONAL ORGANIZATION FOR MIGRATION
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৯৫১
-
সদস্য দেশ: ১৭৫টি
-
পর্যবেক্ষক দেশ: ৮টি (সেপ্টেম্বর, ২০২৫)
-
প্রথম মহিলা মহাসচিব: অ্যামি ই. পোপ (সেপ্টেম্বর, ২০২৫)
-
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
0
Updated: 1 month ago