বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০২৩ অনুযায়ী কোন দেশটি সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির মধ্যে?
A
আফগানিস্তান
B
মায়ানমার
C
পেরু
D
মালি
উত্তরের বিবরণ
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক (Global Terrorism Index – GTI) ২০২৩ হলো একটি আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব, তীব্রতা ও ঝুঁকির মাত্রা পরিমাপ করে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষণা সংস্থা Institute for Economics & Peace (IEP), যা প্রতি বছর এই সূচক প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে বোঝা যায় কোন দেশগুলো সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বেশি প্রভাবে রয়েছে এবং কোথায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম।
-
গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স ২০২৩ (GTI-2023) প্রকাশিত হয় মার্চ ২০২৩ সালে, শিরোনাম ছিল “Global Terrorism Index 2023: Measuring the Impact of Terrorism”।
-
সূচকটি মূলত সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা, মৃত্যুর হার, আহতের সংখ্যা এবং আর্থিক ক্ষতির ওপর ভিত্তি করে একটি স্কোর নির্ধারণ করে।
-
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিতে থাকা দেশ, যেখানে সন্ত্রাসবাদের প্রভাবের স্কোর ৮.৮২২। ২০১৫ সাল থেকে আফগানিস্তান প্রায় প্রতি বছরই তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
GTI ২০২৩ অনুযায়ী শীর্ষ ৫ দেশ:
১. আফগানিস্তান – স্কোর: ৮.৮২২
২. বুর্কিনা ফাসো – স্কোর: ৮.৫৬৪
৩. সোমালিয়া – স্কোর: ৮.৪৬৩
৪. মালি – স্কোর: ৮.৪১২
৫. সিরিয়া – স্কোর: ৮.১৬১
এই দেশগুলোতে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতি এবং দুর্বল প্রশাসনিক কাঠামোর কারণে সন্ত্রাসবাদ ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। আফগানিস্তানে তালেবান ও ইসলামিক স্টেট (আইএস)–এর মতো সংগঠনগুলোর কার্যক্রম সন্ত্রাসী হামলার মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে।
বাংলাদেশের অবস্থান:
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ তালিকার ৪৩তম স্থানে রয়েছে, যার স্কোর ৩.৮২৭। আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। দেশটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তদারকি, সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারণা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
সব মিলিয়ে, Global Terrorism Index 2023 বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের প্রবণতা ও পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিত্র তুলে ধরেছে। এতে দেখা যায়, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশ এখনো উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে, তবে বৈশ্বিকভাবে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা পূর্বের তুলনায় ধীরে ধীরে কমছে।
0
Updated: 1 week ago
উন্নয়নশীল দেশসমূহের বৈশ্বিক জোট 'জি-৭৭' এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত?
Created: 1 week ago
A
১০৫
B
১১৫
C
১২৫
D
১৩৫
জি-৭৭ (Group of 77) হলো জাতিসংঘের অধীনে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক জোট, যা মূলত উন্নয়নশীল দেশসমূহের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রযুক্তিগত স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে। এটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ন্যায্যতা, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে (South-South Cooperation) উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৩৫টি দেশ, যদিও প্রাথমিকভাবে ৭৭টি দেশ নিয়ে এটি গঠিত হয়েছিল।
জি-৭৭ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
-
পূর্ণরূপ: Group of 77
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৫ জুন, ১৯৬৪
-
প্রতিষ্ঠার স্থান: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ: ৭৭টি
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ১৩৫টি দেশ
-
উদ্যোক্তা সংস্থা: The United Nations Conference on Trade and Development (UNCTAD)
-
মূল উদ্দেশ্য: উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বৈশ্বিক বাণিজ্যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সমান মর্যাদার সম্পর্ক গড়ে তোলা।
প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ও লক্ষ্য:
১৯৬০-এর দশকে উন্নয়নশীল দেশগুলো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়ার কারণে একত্রিত হয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এর ফলেই ১৯৬৪ সালে UNCTAD-এর উদ্যোগে জি-৭৭ গঠিত হয়। এই সংগঠন জাতিসংঘের ফোরামে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সম্মিলিত কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করে, যাতে তারা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর সংক্রান্ত আলোচনায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
জি-৭৭ এর কার্যক্রম ও গুরুত্ব:
-
উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
-
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নীতিমালা প্রণয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্থানকে শক্তিশালী করা।
-
জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা (South-South Cooperation) প্রসারে ভূমিকা রাখা।
-
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাস এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করা।
জি-৭৭ প্লাস চীন শীর্ষ সম্মেলন (২০২৩):
২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, কিউবার রাজধানী হাভানায় অনুষ্ঠিত হয় জি-৭৭ প্লাস চীন (G77+China) শীর্ষ সম্মেলন। এতে সদস্য দেশগুলোর নেতারা বৈশ্বিক বৈষম্য, প্রযুক্তি প্রবেশাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। চীন যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য নয়, তবে এটি “বিশেষ সহযোগী দেশ” হিসেবে জোটের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।
সব মিলিয়ে, জি-৭৭ বর্তমানে উন্নয়নশীল বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক জোট, যা উন্নয়ন, ন্যায্য বাণিজ্য ও বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
0
Updated: 1 week ago
Greenpeace-এর প্রতিষ্ঠার মূল প্রেক্ষাপট কী ছিল?
Created: 3 weeks ago
A
জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প খোঁজা
B
পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধে প্রতিবাদ
C
পরিবেশ শিক্ষা বিস্তার
D
সবগুলো
গ্রিনপিস হলো একটি বৈশ্বিক পরিবেশবাদী সংগঠন, যা পরিবেশ সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে। এটি ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে এর সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম শহরে অবস্থিত। যদিও সংগঠনটির কার্যক্রমের কেন্দ্র আমস্টারডাম, এর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভ্যাঙ্কুভারে। গ্রিনপিস প্রতিষ্ঠিত হয় আলাস্কার আমচিটকা দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় পারমাণবিক পরীক্ষার প্রতিবাদ জানাতে।
• গ্রিনপিস মূলত জলবায়ু পরিবর্তন, বন ধ্বংস, অতিরিক্ত মাছ ধরা, প্লাস্টিক দূষণ, এবং পারমাণবিক অস্ত্র ও জ্বালানি বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
• সংগঠনটি শান্তিপূর্ণ ও অহিংস প্রতিবাদের মাধ্যমে পরিবেশবিষয়ক সমস্যা তুলে ধরে এবং সরকার ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ওপর নীতি পরিবর্তনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
• গ্রিনপিস বর্তমানে ৫০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং বিশ্বব্যাপী লক্ষাধিক সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে গঠিত।
• এর প্রতীকী জাহাজ “Rainbow Warrior” পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে সুপরিচিত।
• সংগঠনটি গণমাধ্যম ও ডিজিটাল প্রচারণার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জনগণকে পরিবেশ রক্ষায় সম্পৃক্ত করতে কাজ করে।
• গ্রিনপিস জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে বৈশ্বিক জলবায়ু নীতি প্রণয়নে সহায়তা করে।
0
Updated: 3 weeks ago
'ই-৮' কী-
Created: 4 days ago
A
৮ টি গরিব দেশ
B
৮ টি ধনী দেশ
C
৮টি পরিবেশ দুষণকারী দেশ
D
৮ টি শিল্পোন্নত দেশ
‘ই-৮’ একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যার সদস্য ৮টি পরিবেশ দুষণকারী দেশ। এই সংগঠনটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করার জন্য গঠিত হয়েছে।
-
সদস্য দেশ: ই-৮ এর সদস্য দেশগুলোতে রয়েছে এমন দেশগুলো যেগুলি পরিবেশে বেশি পরিমাণে দুষণ সৃষ্টি করে।
-
সংগঠনের উদ্দেশ্য: এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করা এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
-
দূষণের মূল উৎস: এই দেশগুলো অধিকাংশ সময় শিল্পায়ন, কার্বন নিঃসরণ এবং অন্যান্য পরিবেশ দূষণকারী কার্যক্রমের জন্য পরিচিত। তারা এই সমস্যা সমাধান করতে একে অপরকে সহায়তা করার চেষ্টা করে।
-
বিশ্বব্যাপী প্রভাব: ই-৮ দেশগুলোর কাজ শুধু নিজেদের দেশগুলোতে নয়, বরং বৈশ্বিক পরিবেশেও প্রভাব ফেলে। এই দেশগুলোর যৌথ উদ্যোগে পরিবেশ দুষণ কমানোর চেষ্টা করা হয়।
এছাড়া, ই-৮ এর সদস্য দেশগুলোতে প্রায়ই পরিবেশ সুরক্ষায় নতুন আইন ও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, যাতে তারা পরিবেশের জন্য আরও নিরাপদ এবং টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারে।
0
Updated: 4 days ago