স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য কতজন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধি দেয়া হয়?
A
৭ জন
B
৬ জন
C
২ জন
D
৫ জন
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 1 week ago
১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে আফসার ব্যাটালিয়ন কোথায় গড়ে উঠে?
Created: 1 month ago
A
টাঙ্গাইল
B
সিরাজগঞ্জ
C
পাবনা
D
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার নিভৃত পল্লী মল্লিকবাড়ী গ্রামে মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ একটি পার্টি গঠন করেন, যা একমাত্র রাইফেল দিয়ে পরিচালিত হত। তিনি পাকবাহিনী ও দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে লড়াই করে তার পার্টির সদস্যদের নেতৃত্ব দেন এবং শত্রুদের যথাযথ শিক্ষা প্রদান করেন। আফসার ব্যাটালিয়ন তার পার্টি থেকে আড়াই হাজারেরও অধিক রাইফেল, ব্রেটাগান, রকেট লান্সার, স্টেনগান, এমএমজি ইত্যাদি উদ্ধার করে। এই বাহিনীতে মোট প্রায় সাড়ে চার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
-
আফসার ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে রোগাক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা ও বিপর্যস্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য ১৩ জন ডাক্তার এবং ৩ জন নার্স নিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল স্থাপিত হয়।
-
মুক্ত এলাকা পরিচালনা ও সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়, যা শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আঞ্চলিক পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর এলাকার বাইরে গড়ে ওঠা উল্লেখযোগ্য বাহিনীসমূহ:
-
কাদেরিয়া বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
আফসার ব্যাটালিয়ন (ভালুকা, ময়মনসিংহ)
-
বাতেন বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
হেমায়েত বাহিনী (গোপালগঞ্জ, বরিশাল)
-
হালিম বাহিনী (মানিকগঞ্জ)
-
আকবর বাহিনী (মাগুরা)
-
লতিফ মীর্জা বাহিনী (সিরাজগঞ্জ, পাবনা)
-
জিয়া বাহিনী (সুন্দরবন)
এছাড়া ঢাকা শহরে ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে পরিচিত গেরিলা দল শহরের বড় স্থাপনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শত্রুর ক্ষতি সাধন করেছিল।
0
Updated: 1 month ago
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ কোন সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন?
Created: 1 month ago
A
১নং সেক্টর
B
২নং সেক্টর
C
৫নং সেক্টর
D
১১নং সেক্টর
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ
-
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিপ্রাপ্ত সাতজন বীরের একজন।
-
সেক্টর: ১ নম্বর সেক্টর।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা
-
স্বাধীনতাযুদ্ধের আগে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) কর্মরত ছিলেন।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন।
-
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ইপিআরের ১১ নম্বর উইং-এ চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন।
-
৮ এপ্রিল ১৯৭১ রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাটে পাকিস্তানি সেনাদের সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
-
সহযোদ্ধাদের কৌশলগতভাবে পিছু হটার নির্দেশ দিয়ে একাই শত্রুর মোকাবেলা করেন।
-
শহীদ হওয়ার পর সহযোদ্ধারা তাঁর দেহ চিংড়িখাল সংলগ্ন এক টিলায় সমাহিত করেন।
সম্মাননা
-
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য প্রথম শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ হিসেবে স্বীকৃতি পান।
-
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ রাইফেলস তাঁকে মরণোত্তর অনারারি ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি দেয়।
অন্যান্য বীরশ্রেষ্ঠ (সেক্টর অনুযায়ী)
-
সিপাহী মোস্তফা কামাল – ২ নম্বর সেক্টর।
-
সিপাহী হামিদুর রহমান – ৪ নম্বর সেক্টর।
-
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর – ৭ নম্বর সেক্টর।
-
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ – ৮ নম্বর সেক্টর।
-
ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার রুহুল আমিন – ১০ নম্বর সেক্টর।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন?
Created: 3 months ago
A
শেখ মুজিবুর রহমান
B
জেনারেল আতাউল গণি ওসমানি
C
তাজউদ্দিন আহমেদ
D
ক্যাপটেন মনসুর আলী
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।
-
১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
-
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠনের পর, তাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
-
স্বাধীনতা লাভের পর, ২৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তিনি "জেনারেল" পদে উন্নীত হন, যা কার্যকর ধরা হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে।
অন্যদিকে:
-
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
-
উপ-সেনাপতির দায়িত্বে ছিলেন এ কে খন্দকার।
-
আর মুক্তিযুদ্ধের সময় চিফ অব স্টাফ ছিলেন কর্নেল এম এ রব।
তথ্যসূত্র:বাংলাপিডিয়া, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
0
Updated: 3 months ago