বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল -
A
সৌদি আরব
B
কুয়েত
C
ওমান
D
জর্দান
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বিদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তারা শুধু নিজেদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা উন্নত করছেন না, বরং প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখছেন। নারী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের প্রধান ক্ষেত্র হলো গৃহকর্ম, সেবা খাত ও পোশাক শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত কাজ, যা মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাহিদাসম্পন্ন।
- 
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। সেখানে নারী শ্রমিকদের জন্য তুলনামূলকভাবে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বিদ্যমান। 
- 
এর মধ্যে সৌদি আরবই বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্যস্থল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট নারী অভিবাসীর প্রায় ৬৫ শতাংশ সৌদি আরবে কর্মরত। 
- 
সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকা, কেয়ারটেকার, শিশু ও বয়স্কদের পরিচর্যা, রান্না-বান্না ও ঘরসংক্রান্ত অন্যান্য কাজে নারী শ্রমিকদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। 
- 
দ্বিতীয় সর্বাধিক গন্তব্য হলো জর্ডান, যেখানে প্রায় ২৪ শতাংশ নারী শ্রমিক কাজ করেন। জর্ডানে মূলত পোশাক শিল্প, গৃহকর্ম এবং হোটেল সেবাখাতে নারীদের কর্মসংস্থান হয়। 
- 
এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী শ্রমিক কাজ করছেন। 
বাংলাদেশ সরকার নারী অভিবাসীদের নিরাপদ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব প্রশিক্ষণ, বিদেশগামী শ্রমিকদের নিবন্ধন, দূতাবাসে সুরক্ষা সেল গঠন এবং নারী অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন।
সব মিলিয়ে, বলা যায় যে সৌদি আরব বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল, যেখানে তারা কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করছে।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে একজন আমেরিকান ঐতিহাসিক মন্তব্য করেছেন; 'বাংলাদেশের রাজনীতি ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, ধারনা বা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নয়" এই ঐতিহাসিকের নাম কি?
Created: 2 weeks ago
A
এন্থনি মাসকারেনহাস
B
লরেঞ্চ জিরিং
C
লরেঞ্চ লিফশূলজ্
D
হেনরি কিসিঞ্জার
অধ্যাপক লরেঞ্চ জিরিং মন্তব্য করেছিলেন যে, বাংলাদেশের রাজনীতি ব্যক্তিত্বনির্ভর, ধারণা বা প্রতিষ্ঠাননির্ভর নয়। এই বক্তব্য তিনি তাঁর গ্রন্থ ‘বাংলাদেশ: মুজিব থেকে এরশাদ: একটি বিশ্লেষণধর্মী ইতিহাস’-এ উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নেতৃত্বের চরিত্র বিশ্লেষণ করেছেন।
- 
তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার প্রথম বিশ বছরে বাংলাদেশের রাজনীতি মূলত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, যারা জনগণের অনুভূতি প্রকাশে সচেষ্ট ছিলেন, কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি বা ধারণাগত কাঠামো তৈরি করতে ব্যর্থ হন। 
- 
বইটি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ হিসেবে রচিত, যেখানে ১৯৪০–১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক নেতা, তাঁদের শাসনকাল, সাফল্য-ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। 
- 
লরেঞ্চ জিরিং আরও “মুজিব, এরশাদ ও হাসিনা: রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ইতিহাস” নামের গ্রন্থের লেখক। 
- 
সূত্র: বাংলাদেশ: মুজিব থেকে এরশাদ: একটি বিশ্লেষণধর্মী ইতিহাস, Lawrence Ziring; Link: core.ac.uk, page 124. 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 weeks ago
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া পাকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী, ইসহাক দার পাকিস্তানের কোন্ রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত?
Created: 2 weeks ago
A
পাকিস্তান পিপলস পাটি (PPP)
B
পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (PTI)
C
পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ)
D
জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন। তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলের প্রধান নওয়াজ শরীফের বেয়াই।
- ইসহাক দার একজন অভিজ্ঞ পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ, বর্তমানে তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন (২০২৪ সাল থেকে)। 
- 
তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) দলের কেন্দ্রীয় নেতা। 
- 
২৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে তিনি দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন। 
- 
১৩ বছর পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর এটি। এর আগে ২০১৩ সালে হিনা রব্বানি খার ঢাকায় এসেছিলেন। 
- 
এই সফরটি মূলত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উভয় উদ্দেশ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। 
- 
সফরকালে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। 
- 
আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সার্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয় গুরুত্ব পায়। 
- 
সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 weeks ago
প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন বলতে কি বুঝায়?
Created: 1 week ago
A
কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব
B
প্রদেশের সকল বিষয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ
C
কেন্দ্রে ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতার বণ্টন
D
শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ
প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক বা রাজ্য সরকার—দুই স্তরের সরকারের মধ্যে দায়িত্ব ও ক্ষমতার সুষম বণ্টন থাকে। এর উদ্দেশ্য হলো প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা।
প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
- 
ক্ষমতার বণ্টন: রাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতা ভাগ করা হয়। যেমন—প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি ও মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে কেন্দ্রের হাতে; অন্যদিকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ইত্যাদি স্থানীয় বিষয়ে প্রদেশের হাতে থাকে। 
- 
স্বাধীন সিদ্ধান্তের অধিকার: প্রদেশগুলোর নিজস্ব আইন প্রণয়ন, বাজেট তৈরি এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকে, তবে এগুলো কেন্দ্রীয় সংবিধান বা নীতির বিরোধী হতে পারে না। 
- 
কেন্দ্রের তত্ত্বাবধান: প্রাদেশিক সরকারের কার্যক্রম কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা বা তত্ত্বাবধানে চলে, যাতে জাতীয় ঐক্য বজায় থাকে এবং সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম না করে। 
- 
অর্থনৈতিক সম্পর্ক: প্রদেশগুলো সাধারণত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বাজেট অনুদান বা আর্থিক সহায়তা পায়। একইভাবে তারা কেন্দ্রকে বার্ষিক রাজস্ব বা কর প্রদান করে। 
- 
উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব: - 
স্থানীয় সমস্যার দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করা। 
- 
প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা। 
- 
জাতীয় ঐক্যের পাশাপাশি আঞ্চলিক উন্নয়ন ঘটানো। 
- 
জনগণের অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। 
 
- 
- 
উদাহরণ: ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ইত্যাদি দেশে এই ধরনের প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন বা ফেডারেল ব্যবস্থা বিদ্যমান, যেখানে প্রতিটি রাজ্য বা প্রদেশ নিজস্ব সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়। 
সারসংক্ষেপে, প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন হলো এমন একটি সাংবিধানিক ব্যবস্থা যেখানে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া হয়, যাতে উভয় স্তরের সরকার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারে। এটি প্রশাসনিক ভারসাম্য, আঞ্চলিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক শাসনের ভিত্তি তৈরি করে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 week ago