উন্নয়নশীল দেশসমূহের বৈশ্বিক জোট 'জি-৭৭' এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত?
A
১০৫
B
১১৫
C
১২৫
D
১৩৫
উত্তরের বিবরণ
জি-৭৭ (Group of 77) হলো জাতিসংঘের অধীনে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক জোট, যা মূলত উন্নয়নশীল দেশসমূহের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রযুক্তিগত স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে। এটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ন্যায্যতা, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে (South-South Cooperation) উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৩৫টি দেশ, যদিও প্রাথমিকভাবে ৭৭টি দেশ নিয়ে এটি গঠিত হয়েছিল।
জি-৭৭ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
-
পূর্ণরূপ: Group of 77
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৫ জুন, ১৯৬৪
-
প্রতিষ্ঠার স্থান: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ: ৭৭টি
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ১৩৫টি দেশ
-
উদ্যোক্তা সংস্থা: The United Nations Conference on Trade and Development (UNCTAD)
-
মূল উদ্দেশ্য: উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বৈশ্বিক বাণিজ্যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সমান মর্যাদার সম্পর্ক গড়ে তোলা।
প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ও লক্ষ্য:
১৯৬০-এর দশকে উন্নয়নশীল দেশগুলো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়ার কারণে একত্রিত হয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এর ফলেই ১৯৬৪ সালে UNCTAD-এর উদ্যোগে জি-৭৭ গঠিত হয়। এই সংগঠন জাতিসংঘের ফোরামে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সম্মিলিত কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করে, যাতে তারা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর সংক্রান্ত আলোচনায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
জি-৭৭ এর কার্যক্রম ও গুরুত্ব:
-
উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
-
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নীতিমালা প্রণয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্থানকে শক্তিশালী করা।
-
জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা (South-South Cooperation) প্রসারে ভূমিকা রাখা।
-
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাস এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করা।
জি-৭৭ প্লাস চীন শীর্ষ সম্মেলন (২০২৩):
২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, কিউবার রাজধানী হাভানায় অনুষ্ঠিত হয় জি-৭৭ প্লাস চীন (G77+China) শীর্ষ সম্মেলন। এতে সদস্য দেশগুলোর নেতারা বৈশ্বিক বৈষম্য, প্রযুক্তি প্রবেশাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। চীন যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য নয়, তবে এটি “বিশেষ সহযোগী দেশ” হিসেবে জোটের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।
সব মিলিয়ে, জি-৭৭ বর্তমানে উন্নয়নশীল বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক জোট, যা উন্নয়ন, ন্যায্য বাণিজ্য ও বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
0
Updated: 1 week ago
Lions Club International-এর প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 1 month ago
A
পিটার ইজেন
B
রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েল
C
হেনরি ডুনান্ট
D
মেলভিন জোন্স
লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল (Lions Club International):-
-
একটি অরাজনৈতিক সেবামূলক সংগঠন।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯১৭ সালে।
-
প্রতিষ্ঠাতা: মেলভিন জোন্স (Melvin Jones)।
-
সদরদপ্তর: ইলিয়ন্স, যুক্তরাষ্ট্র।
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: প্রায় ১.৪ মিলিয়ন, যারা বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
-
মূলমন্ত্র: “We Serve” (আমরা সেবা করি)।
🔹 মূল লক্ষ্য ও কার্যক্রম:
-
সমাজসেবা
-
চক্ষু সেবা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ
-
যুব উন্নয়ন
-
দুর্যোগ ত্রাণ কার্যক্রম
উৎস: Lions Club International ওয়েবসাইট।
0
Updated: 1 month ago
'Greenpeace' কোন দেশভিত্তিক বৈশ্বিক পরিবেশবাদী সংগঠন?
Created: 1 month ago
A
সুইজারল্যান্ড
B
জার্মানি
C
ফ্রান্স
D
নেদারল্যান্ড
গ্রিনপিস (Greenpeace)
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৭১ সালে, আলাস্কার আমচিটকা দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় পারমাণবিক পরীক্ষার প্রতিবাদে
-
প্রতিষ্ঠাতা: বব হান্টার প্রথম গ্রিনপিস সমুদ্রযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন
-
প্রধান কার্যক্রম: ৫৫টি দেশে পরিবেশবাদী কার্যক্রম পরিচালনা
-
সদর দপ্তর: আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস্
-
মূল বিষয়সমূহ:
-
জলবায়ু ও শক্তি
-
জীববৈচিত্র্য
-
সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
-
0
Updated: 1 month ago
The Common Market for Eastern and Southern Africa(COMESA)- কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৮১ সালে
B
১৯৯২ সালে
C
১৯৯৪ সালে
D
১৯৯৯ সালে
COMESA (Common Market for Eastern and Southern Africa) গঠিত হয় ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে, পূর্ববর্তী প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড এরিয়া (PTA) প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলির একটি সংগঠন’ হিসেবে। সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্মত হয় তাদের প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে সকল জনগণের মঙ্গল নিশ্চিত করতে।
-
COMESA-এর বিস্তৃত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রচার করা।
-
মূল লক্ষ্য: একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য ইউনিট গঠন করা এবং পৃথক রাষ্ট্রগুলোর মুখোমুখি হওয়া কিছু বাধা অতিক্রম করা।
-
বর্তমান কৌশল সংক্ষেপ: ‘আঞ্চলিক একীকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি’
-
সদস্য রাষ্ট্র সংখ্যা: ২১টি
-
মোট জনসংখ্যা: ৬৪ কোটিরও বেশি
-
মোট দেশজ উৎপাদন (GDP): প্রায় ১.০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার
-
বিশ্বব্যাপী পণ্য রপ্তানি/আমদানি বাণিজ্যের মূল্য: প্রায় ৩৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
-
COMESA অভ্যন্তরীণ এবং বহিরাগত বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার তৈরি করে
-
ভৌগোলিক বিস্তৃতি: আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ
-
মোট আয়তন: প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ বর্গ কিমি
0
Updated: 1 month ago