আলেপ্পো শহরটি কোন দেশে অবস্থিত?
A
ইরান
B
ইরাক
C
জর্ডান
D
সিরিয়া
উত্তরের বিবরণ
আলেপ্পো হলো উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার একটি ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর, যা দীর্ঘকাল ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতির কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এটি সিরিয়ার বৃহত্তম শহরগুলোর একটি এবং তুর্কি সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ মাইল (প্রায় ৪৮ কিলোমিটার) দূরে অবস্থিত।
আলেপ্পোর ইতিহাস ও গুরুত্ব:
-
আলেপ্পো খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নগরী। খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ থেকে ৪র্থ শতাব্দী পর্যন্ত এটি ছিল পারস্যের আচেমেনীয় রাজবংশের নিয়ন্ত্রণে।
-
পরবর্তীতে, খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতাব্দীতে রোমান সাম্রাজ্য আলেপ্পো দখল করে নেয় এবং শহরটি বাণিজ্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে সমৃদ্ধ হয়।
-
৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে, আলেপ্পো আরবদের দ্বারা জয়লাভ করে এবং এর প্রাচীন নাম হালাব পুনরায় ব্যবহৃত হয়।
-
মধ্যযুগে এটি সিল্ক রোডের অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে, যা ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন করেছিল।
-
আলেপ্পো তার ঐতিহাসিক স্থাপনা, দুর্গ, মসজিদ ও বাজারগুলোর জন্য বিখ্যাত।
-
১৯৮৬ সালে শহরের পুরোনো অংশকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়, কারণ এটি ইসলামী ও রোমান স্থাপত্যের অনন্য সমন্বয় বহন করে।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট:
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ (২০১১–বর্তমান) চলাকালে আলেপ্পো শহরটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক সময়ের প্রাণবন্ত এই শহর এখনো পুনর্গঠনের পথে রয়েছে, তবে এর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
সিরিয়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
অবস্থান: পশ্চিম এশিয়ায়, ভূমধ্যসাগরের পূর্ব তীরে, আরব উপদ্বীপের উত্তরে।
-
স্বাধীনতা লাভ: ১৯৪৬ সালে, ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।
-
রাজধানী: দামেস্ক (Damascus)।
-
বিখ্যাত শহর: আলেপ্পো, ইদলিব, পালমিরা।
-
মুদ্রা: সিরীয় পাউন্ড (Syrian Pound)।
সব মিলিয়ে, আলেপ্পো কেবল সিরিয়ার নয়, বরং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, যার অতীত সভ্যতা, স্থাপত্য ও বাণিজ্য ইতিহাস আজও মানবসমাজের ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
0
Updated: 1 week ago
'গাবখান চ্যানেল' বাংলাদেশের কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 4 days ago
A
কুড়িগ্রাম
B
গাইবান্ধা
C
পটুয়াখালী
D
ঝালকাঠী
বাংলাদেশের নদী ও খাল-নালা ব্যবস্থাপনা দেশের ভূ-প্রকৃতি ও কৃষি জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। এর মধ্যে গাবখান চ্যানেল একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ, যা দক্ষিণাঞ্চলের নদীব্যবস্থায় পানি নিয়ন্ত্রণ ও নাব্যতা বজায় রাখতে সহায়ক। এই চ্যানেলটি ঝালকাঠী জেলায় অবস্থিত এবং স্থানীয় কৃষি, পরিবহণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
অবস্থান ও ভূ-প্রকৃতি: গাবখান চ্যানেল ঝালকাঠীর নদী ও খালজালার সঙ্গে যুক্ত, যা এলাকার জল সম্পদ পরিচালনা ও নাব্যতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
-
কৃষি ও পরিবহণ: চ্যানেলের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকরা সেচের পানি পায় এবং নদীপথ ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন সহজ হয়।
-
বন্যা নিয়ন্ত্রণ: চ্যানেলটি জল প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, যা বর্ষা মৌসুমে বন্যার প্রভাব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব: চ্যানেলের পানি ব্যবস্থা সমুদ্র এবং নদীর জোয়ার-ভাটার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৃষি ও মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
-
স্থানীয় জীবিকা: ঝালকাঠীর মানুষের জন্য চ্যানেল মাছ ধরা, নৌপরিবহন এবং সেচ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনরেখা হিসেবে কাজ করে।
সারসংক্ষেপে, গাবখান চ্যানেল ঝালকাঠী জেলায় অবস্থিত, যা স্থানীয় কৃষি, পরিবহণ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি কেবল একটি জলপথ নয়, বরং এলাকার অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক জীবনকে সমৃদ্ধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো।
0
Updated: 4 days ago
পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
সুন্দরবন
B
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপ
C
আমাজন ব-দ্বীপ
D
নীলনদ ব-দ্বীপ
বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ হলো গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বা বাংলাদেশ ব-দ্বীপ। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি বিশাল অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। নদী, পলি এবং জোয়ার-ভাটার প্রভাবে গঠিত এই ব-দ্বীপটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, উর্বর মাটি ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। নিচে এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরা হলো—
• অবস্থান ও বিস্তৃতি: গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর মিলিত পলিতে গঠিত এই ব-দ্বীপের আয়তন প্রায় ১,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার। এর বড় অংশ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এবং কিছু অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত।
• গঠনের কারণ: হিমালয় পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন নদীগুলো যখন সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়, তখন তারা প্রচুর পলি বয়ে আনে। এই পলিগুলো বঙ্গোপসাগরের উপকূলে জমে গিয়ে ধীরে ধীরে একটি বিশাল ব-দ্বীপ তৈরি করে।
• প্রধান নদীসমূহ: গঙ্গা, পদ্মা, যমুনা, মেঘনা এবং ব্রহ্মপুত্র নদ এই ব-দ্বীপের মূল স্রোতধারা। এরা শত শত উপনদী ও শাখানদী তৈরি করে সারা অঞ্চলে বিস্তৃত জলপ্রবাহ সৃষ্টি করেছে।
• সুন্দরবন অঞ্চল: এই ব-দ্বীপের দক্ষিণাংশে অবস্থিত সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য। এটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যেখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ নানা বিরল প্রাণী বাস করে।
• উর্বরতা ও কৃষি: গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপের মাটি অত্যন্ত উর্বর কারণ এতে নিয়মিত নদীর পলি জমে। এজন্য এখানে ধান, পাট, গম, আখ ও বিভিন্ন সবজি চাষ ব্যাপকভাবে হয়। বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির মূল ভিত্তি এই অঞ্চল।
• জলবায়ু ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য: এ অঞ্চলের জলবায়ু আর্দ্র উষ্ণমণ্ডলীয়। প্রচুর বৃষ্টি ও নদীর স্রোতের কারণে এখানে ঘন সবুজ বন, জলাভূমি ও নদনদীপূর্ণ পরিবেশ গড়ে উঠেছে।
• জনবসতি ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব: বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এখানকার মানুষ নদীনির্ভর জীবনযাপন করে—মৎস্য আহরণ, কৃষিকাজ ও নদীপথে পরিবহন তাদের জীবিকার প্রধান উৎস।
• ভূতাত্ত্বিক দিক: এই ব-দ্বীপটি এখনো গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। প্রতি বছর নতুন পলি জমে ভূমি বৃদ্ধি পাচ্ছে, আবার বন্যা ও জোয়ারে কিছু অংশ ক্ষয়ও হচ্ছে। তাই এটি একটি জীবন্ত ব-দ্বীপ (active delta)।
• বিশ্বে স্বীকৃতি: গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা ব-দ্বীপকে পৃথিবীর বৃহত্তম ও সক্রিয় ব-দ্বীপ হিসেবে ভূগোলবিদরা স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটি “বাংলাদেশ ব-দ্বীপ” নামেও পরিচিত কারণ এর বৃহত্তম অংশ বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অবস্থিত।
সব মিলিয়ে, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপ শুধু বিশ্বের বৃহত্তম নয়, বরং এটি একটি অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ, যা বাংলাদেশের ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
0
Updated: 1 week ago
'মেইন ক্যাম্প' এর লেখক-
Created: 4 days ago
A
রুজভেল্ট
B
এডলফ হিটলার
C
উড্রো উইলসন
D
ট্রু ম্যান
"মেইন ক্যাম্প" (Mein Kampf) বইটির লেখক হলেন এডলফ হিটলার। এটি হিটলারের আত্মজীবনী এবং তার রাজনৈতিক মতাদর্শের পরিচয় দেয়। এই বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে এবং এটি হিটলারের নাজি দলের আদর্শ প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
-
আত্মজীবনী: "মেইন ক্যাম্প" হিটলারের জীবন ও তার রাজনৈতিক সংগ্রামের বর্ণনা দেয়।
-
রাজনৈতিক আদর্শ: বইটিতে হিটলার তার জাতি, রাজনৈতিক দর্শন, ইহুদি বিদ্বেষ এবং আধিকারিক দর্শনের ওপর বিশদ আলোচনা করেছেন।
-
প্রকাশকাল: বইটি ১৯২৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং হিটলারের রাজনৈতিক অবস্থান প্রতিষ্ঠার একটি হাতিয়ার হয়ে ওঠে।
-
জাতীয় সমাজতন্ত্র: বইটির মাধ্যমে হিটলার তার নাজি আদর্শ প্রচার করেন এবং এটি তার রাজনীতির ভিত্তি গঠন করে।
-
আন্তর্জাতিক প্রভাব: "মেইন ক্যাম্প" বিশ্ব ইতিহাসের একটি বিতর্কিত বই হিসেবে বিবেচিত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পেছনে একটি তাত্ত্বিক ভিত্তি তৈরি করেছিল।
এডলফ হিটলারের এই বইটি তার ক্ষমতা লাভ এবং পরবর্তীতে নাজি জার্মানির প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 4 days ago