‘লালসালু’ উপন্যাসের রচনাকাল কোনটি?
A
১৯৪৩ সালে
B
১৯৪৮ সালে
C
১৯৫২ সালে
D
১৯৭০ সালে
উত্তরের বিবরণ
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তিনটি উপন্যাস রচনা করেন। যথা - লালসালু (১৯৪৮), চাঁদের অমাবস্যা (১৯৬৪) ও কাঁদো নদী কাঁদো (১৯৬৮)। লালসালু তার শ্রেষ্ঠ রচনা। উপন্যাসটি ফরাসি ভাষায় L Arbre Sams Maeme নামে ও ইংরেজি ভাষায় Tree Without Roots নামে প্রকাশিত হয়।
0
Updated: 3 months ago
'পল্লীসমাজ' উপন্যাসের মূল বিষয় কী?
Created: 1 month ago
A
শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা
B
ঐতিহাসিক যুদ্ধের কাহিনি
C
বাংলার শহরজীবনের সমস্যা
D
যুবক-যুবতীর অভিশপ্ত প্রেমকাহিনি
‘পল্লীসমাজ’ (১৯১৬) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। এই উপন্যাসে বাংলার পল্লীসমাজের নীচতা ও ক্ষুদ্র রাজনীতির পটভূমিকায় একটি আদর্শবাদী যুবক-যুবতীর সম্পর্ক এবং তাদের অভিশপ্ত প্রেমকাহিনীকে কেন্দ্র করে কাহিনী এগিয়ে চলে। উপন্যাসটি ১৯১৫ সালে ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রধান চরিত্রগুলো হলো রমা, রমেশ, বেণী, বলরাম।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কিছু তথ্য:
-
জন্ম: ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, হুগলি জেলার দেবানন্দপুর।
-
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: বড়দিদি (১৯০৭, ভারতী পত্রিকা)।
-
প্রথম প্রকাশিত গল্প: মন্দির, যার জন্য ১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
তাঁর রচিত বিখ্যাত উপন্যাসসমূহ:
-
দেনা-পাওনা
-
বড়দিদি
-
বিরাজবৌ
-
পন্ডিতমশাই
-
পরিণীতা
-
চন্দ্রনাথ
-
দেবদাস
-
চরিত্রহীন
-
গৃহদাহ
-
পথের দাবী
-
শেষ প্রশ্ন
-
শেষের পরিচয়
0
Updated: 1 month ago
কোনটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 2 months ago
A
মনোরমা
B
কাপালিক
C
হেমচন্দ্র
D
ভ্রমর
‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাস
-
‘কপালকুণ্ডলা’ (১৮৬৬) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস।
-
উপন্যাসটিকে রোমান্স বলা যায়, কারণ এতে নিগূঢ় ভাবসঙ্গতি প্রতিফলিত হয়েছে।
-
কাহিনী গড়ে উঠেছে এক কাপালিক-পালিতা নারী কপালকুণ্ডলার চারপাশে।
-
মূল ঘটনা: সামাজিক সংস্কারের সঙ্গে অপরিচিতা নারীর নবকুমারের সঙ্গে বিয়ে এবং কপালকুণ্ডলার সমাজবদ্ধনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব।
-
কাহিনিতে থাকা রহস্য উদ্ঘাটনই উপন্যাসের প্রধান বিষয়।
-
কাহিনিতে একদিকে আছে সম্রাট জাহাঙ্গিরের সময়কার আগ্রার নগর ও স্থাপত্য, অন্যদিকে অরণ্য ও সমুদ্র।
-
প্রকৃতির সৌন্দর্য, রহস্যময়তা, কপালকুণ্ডলার চরিত্র এবং কাহিনির ট্র্যাজিক পরিণতি এই তিন কারণে উপন্যাসটি বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যতম স্মরণীয় রচনা।
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
অন্য উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র
-
কৃষ্ণকান্তের উইল → রোহিনী
-
মৃণালিনী → হেমচন্দ্র, মনোরমা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি জসীম উদ্দীন রচিত ভ্রমণকাহিনি?
Created: 3 weeks ago
A
দেশে বিদেশে
B
চলে মুসাফির
C
ইউরোপের পথে ঘাটে
D
ভলগার তীরে
জসীমউদ্দীন ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন প্রগতিশীল কবি ও নাট্যকার, যিনি 'পল্লীকবি' নামে সুপরিচিত। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী এবং গ্রামীণ জীবন ও মানবিক মূল্যবোধকে তাঁর রচনায় ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্মে কাব্য, নাটক এবং ভ্রমণকাহিনী সবই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
-
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন: ১৯০৩ সালের ১লা জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামের মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আনসারউদ্দীন মোল্লা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক।
-
প্রগতিশীল চেতনা: জসীমউদ্দীন ছিলেন প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার অধিকারী।
-
ভ্রমণকাহিনী: তিনি ভ্রমণকাহিনীর লেখক হিসেবেও পরিচিত। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণকাহিনী হলো 'চলে মুসাফির', 'হলদে পরীর দেশ', এবং 'যে দেশে মানুষ বড়'।
-
অন্যান্য ভ্রমণলেখক: দেশভ্রমণ ও বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রেও সমকালীন সাহিত্যকর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো 'দেশে বিদেশে' (সৈয়দ মুজতবা আলী) এবং 'ভল্গার তীরে' (নির্মলেন্দু গুণ)।
কাব্যগ্রন্থ:
-
নকশী কাঁথার মাঠ
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
মাটির কান্না
-
ভয়াবহ সেই দিনগুলিতে
-
বালুচর
-
রাখালী (প্রথম কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত ১৯২৭ সালে)
-
রূপবতী
নাটক:
-
পদ্মাপাড়
-
বেদের মেয়ে
-
পল্লীবধূ
-
মধুমালা
-
গ্রামের মায়া
0
Updated: 3 weeks ago