A
স্বরভক্তি
B
স্বরসংগতি
C
অভিশ্রুতি
D
অপিনিহিতি
উত্তরের বিবরণ
সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি। যেমন - রত্ন > রতন, ধর্ম > ধরম, স্বপ্ন > স্বপন, হর্ষ > হরষ।

0
Updated: 1 day ago
'জনৈক' শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ-
Created: 5 days ago
A
জন + ইক
B
জন + এক
C
জনৈ + এক
D
জন + ঈক
সন্ধি কী
যখন দুটি ধ্বনি (অর্থাৎ উচ্চারণ) একসাথে মিলে একটি নতুন শব্দ তৈরি করে, তখন তাকে সন্ধি বলে।
বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ তৈরি করতে যেমন: উপসর্গ, প্রত্যয়, বা সমাস ব্যবহৃত হয়, তেমনই সন্ধি-ও একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম।
সন্ধির প্রকারভেদ:
সন্ধি মূলত তিন ধরনের হয়:
-
স্বরসন্ধি
-
ব্যঞ্জনসন্ধি
-
বিসর্গসন্ধি
উদাহরণ:
সূর্যোদয় = সূর্য + উদয় → এটা স্বরসন্ধির একটি উদাহরণ।
স্বরসন্ধি কী?
যখন দুটি স্বরধ্বনি (অর্থাৎ স্বরবর্ণ) একসাথে মিলিত হয়, তখন তাকে স্বরসন্ধি বলে।
কিছু উদাহরণ:
-
শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা
-
সূর্য + উদয় = সূর্যোদয়
-
মহা + ঋষি = মহর্ষি
-
শীত + ঋতু = শীতার্ত
-
জন + এক = জনৈক
-
বন + ওষধি = বনৌষধি
-
প্রতি + এক = প্রত্যেক
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 5 days ago
সন্ধির প্রধান সুবিধা কী?
Created: 1 month ago
A
পড়ার সুবিধা
B
লেখার সুবিধা
C
উচ্চারণের সুবিধা
D
শোনার সুবিধা
সন্ধি:
- পাশাপাশি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে।
- অন্য কথায়, সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে।
- সন্ধির প্রধান উদ্দেশ্য স্বাভাবিক উচ্চারণের সহজপ্রবণতা এবং ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন।
- সন্ধি শব্দ গঠনেরও একটি উপায়।
- তবে সন্ধির প্রধান সুবিধা হলো উচ্চারণের সুবিধা।
- তবে বাংলা ভাষায় উপসর্গ, প্রত্যয় ও সমাস প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে সন্ধির সূত্র কাজে লাগে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 month ago
'সন্ধি' ব্যাকরণের কোন অংশের আলোচ্য বিষয়?
Created: 1 month ago
A
রূপতত্ত্ব
B
ধ্বনিতত্ত্ব
C
পদক্রম
D
বাক্য প্রকরণ
সন্ধি হলো শব্দ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা মূলত ধ্বনির বিন্যাসের মাধ্যমে শব্দ তৈরি করে। ফলে এটি ধ্বনিতত্ত্ব শাখার অন্তর্গত বিষয়।
বাংলা ব্যাকরণকে প্রধানত চারটি মৌলিক শাখায় বিভক্ত করা যায়:
১. ধ্বনিতত্ত্ব
এই শাখায় ভাষার মৌলিক একক ধ্বনি নিয়ে আলোচনা করা হয়। যেহেতু লিখিত ভাষায় ধ্বনিকে বর্ণ দ্বারা প্রকাশ করা হয়, তাই বর্ণমালা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোও এর অন্তর্ভুক্ত।
ধ্বনিতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ:
-
বাগ্যন্ত্র ও তার উচ্চারণ প্রক্রিয়া
-
ধ্বনির প্রকারভেদ ও বিন্যাস
-
স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য
-
ধ্বনিদল
-
সন্ধি ও এর প্রকারভেদ
২. রূপতত্ত্ব
এই অংশে ভাষার শব্দ ও শব্দের গঠনরীতি নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া, ক্রিয়া বিশেষণ প্রভৃতি পদ এই আলোচনার অন্তর্ভুক্ত।
রূপতত্ত্বের মূল আলোচ্য বিষয়:
-
শব্দ গঠনের ধারা
-
উপসর্গ, প্রত্যয়, মূল শব্দ
-
পদ ও তার শ্রেণিবিন্যাস
৩. বাক্যতত্ত্ব
বাক্য কিভাবে গঠিত হয় এবং তার উপাদানগুলোর বিন্যাস কেমন হবে, তা এই অংশে আলোচিত হয়। বাক্যের কাঠামো বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভাষার গঠনশৈলী বোঝা যায়।
বাক্যতত্ত্বে আলোচ্য বিষয়:
-
বাক্যের শ্রেণিবিন্যাস
-
বাক্যের বাচ্য ও রূপান্তর
-
কারক নির্ণয়
-
বাক্যের যোগ্যতা ও উপাদান লোপ
-
যতিচিহ্ন ও তার ব্যবহার
৪. অর্থতত্ত্ব (বা বাগার্থ)
এই শাখায় শব্দ, পদ এবং বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভাষার অর্থবহ দিক বিশ্লেষণ করে অর্থতত্ত্ব।
অর্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়:
-
বিপরীত শব্দ
-
প্রতিশব্দ
-
শব্দজোড়
-
বাগধারা ও প্রবাদপ্রবচন
উপসংহার:
সন্ধি যে কেবল ধ্বনি নিয়ে কাজ করে তাই নয়, এটি শব্দ গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তাই এটি ধ্বনিতত্ত্ব শাখার আলোচ্য বিষয় হিসেবে বিবেচিত।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago