বহুনির্বাচনী প্রশ্নঃ 'আমার পথ' প্রবন্ধে ফুটে উঠেছে-
A
সৌন্দর্যের রূপ
B
প্রকৃতির সৌন্দর্য
C
সত্যের স্বরূপ
D
মানবপ্রেমের বার্তা
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলামের ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কবি ব্যক্ত করেছেন মানুষের আত্মবিশ্বাস, নৈতিক দৃঢ়তা ও সত্যের প্রতি অনড় বিশ্বাসের কথা। এখানে তিনি বলেন, মানুষের জীবনের প্রকৃত পথনির্দেশক কোনো বাইরের শক্তি নয়—নিজের অন্তর্গত সত্যই তার পথপ্রদর্শক। প্রবন্ধটি মূলত সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্বে মানুষের সঠিক অবস্থান নির্ধারণের আহ্বান জানায়। প্রবন্ধের মূল ভাব প্রকাশিত হয়েছে নিচের দিকগুলোয়—
-
নিজস্ব সত্যের প্রতি বিশ্বাস: লেখক মনে করেন, মানুষ যদি নিজের অন্তরের সত্যকে চেনে, তাহলে বাহ্যিক কোনো ভয়, প্রলোভন বা প্রভাব তাকে বিপথে নিতে পারে না।
-
ভয় ও মিথ্যার সম্পর্ক: যে মানুষের মনে মিথ্যা থাকে, তার মধ্যেই ভয় জন্মে। কিন্তু যে সত্যে স্থিত, সে নির্ভয়ে নিজের পথে এগিয়ে যায়।
-
আত্মনির্ভরতার বার্তা: “আমার কর্ণধার আমি”—এই কথার মাধ্যমে নজরুল বোঝাতে চেয়েছেন, জীবনের দিকনির্দেশনা অন্যের হাতে নয়; নিজের বিবেকই হলো প্রকৃত পথপ্রদর্শক।
-
নৈতিক সাহসের আহ্বান: প্রবন্ধে রাজভয় বা লোকভয়—কোনো কিছুকেই সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত করার কারণ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। সত্যনিষ্ঠ মানুষ সমাজের মিথ্যা প্রথা বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে দাঁড়াতে পারে।
-
সত্যকে সালাম জানানো: প্রবন্ধের শুরুতেই লেখক তাঁর “সত্যকে সালাম” জানান—যা প্রতীকীভাবে নৈতিক জাগরণের প্রতিফলন।
-
মিথ্যার পরাজয়: লেখকের মতে, যে ব্যক্তি নিজের অন্তরের সত্যকে জানে, সে মিথ্যাকে ভয় পায় না; বরং মিথ্যাকে চিনেই তার ওপর বিজয় অর্জন করে।
-
মানবমুক্তির দর্শন: সত্যের পথে চলা মানুষই প্রকৃত মুক্ত মানুষ। কারণ সত্য মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে, তাকে দাসত্ব বা ভয় থেকে মুক্ত করে।
-
চিন্তাশক্তির জাগরণ: প্রবন্ধটি পাঠককে আত্মবিশ্লেষণের আহ্বান জানায়—নিজেকে চিনতে পারলেই মানুষ তার জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও পথ খুঁজে পায়।
সবশেষে বলা যায়, ‘আমার পথ’ শুধু একটি প্রবন্ধ নয়; এটি সত্য, সাহস ও আত্মনির্ভরতার এক দার্শনিক ঘোষণা। এখানে নজরুল দেখিয়েছেন, মানুষের মুক্তি ও সঠিক পথের দিশা লুকিয়ে আছে নিজের অন্তরের সত্যে। তাই প্রবন্ধে সত্যের স্বরূপই প্রধানভাবে ফুটে উঠেছে।
0
Updated: 1 week ago
জীবনানন্দ দাশের রচনা — "কবিতার কথা" কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম?
Created: 3 weeks ago
A
প্রবন্ধগ্রন্থ
B
কবিতা
C
কাব্যগ্রন্থ
D
কাব্যনাট্য
ChatGPT said:
0
Updated: 3 weeks ago
'আমার পথ' প্রবন্ধের মূল উপজীব্য কোনটি?
Created: 1 week ago
A
সমাজসংস্কার
B
ব্যক্তিসত্তার জাগরণ
C
ধর্মীয় অনুশাসন
D
মানবপ্রেম
কাজী নজরুল ইসলামের ‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি মূলত মানুষের অন্তর্গত শক্তি, আত্মবিশ্বাস এবং ব্যক্তিসত্তার জাগরণের প্রতিফলন। লেখক এখানে নিজের সত্য, নিজের বিবেক ও নিজের পথ সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাসের কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, মানুষের প্রকৃত মুক্তি আসে তখনই, যখন সে নিজের সত্যকে চেনে এবং তার ওপর ভরসা করে নিজের পথ নির্ধারণ করে। কোনো প্রকার ভয়, সমাজের চাপ বা ভ্রান্ত ধর্মীয় শৃঙ্খল তার স্বাধীন চিন্তাকে দমন করতে পারে না। প্রবন্ধের প্রধান ভাবধারা নিম্নরূপ—
-
নিজেকে চিনে নেওয়া: লেখক বলেন, যে মানুষ নিজের অন্তরের সত্যকে চিনে নিতে পারে, সে আর বাইরের কোনো ভয় বা প্রভাবের দ্বারা বিপথে যেতে পারে না। সত্যই তার পথপ্রদর্শক।
-
ভয় ও মিথ্যার সম্পর্ক: যাদের অন্তরে মিথ্যা থাকে, তারাই বাইরের ভয়কে অনুভব করে। কিন্তু সত্যনিষ্ঠ মানুষ কোনো ভয়কেই স্বীকার করে না। তাই তিনি বলেন, “যার ভিতরে ভয়, সেই বাইরে ভয় পায়।”
-
ব্যক্তিসত্তার স্বাধীনতা: প্রবন্ধে ব্যক্তিস্বাধীনতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নজরুল মনে করেন, মানুষকে নিজের বোধ, বিশ্বাস ও আত্মশক্তির ওপর নির্ভর করেই জীবন পরিচালনা করতে হবে। অন্যের পথে চললে তা হবে আত্মসমর্পণ, কিন্তু নিজের পথে চলাই প্রকৃত স্বাধীনতা।
-
সত্যের প্রতি আনুগত্য: লেখকের কাছে সত্য এক অবিচল দিকনির্দেশনা। তিনি নিজের সত্যকে সালাম জানিয়ে যাত্রা শুরু করেন, কারণ তাঁর কাছে সত্যই তাঁর একমাত্র গুরু।
-
সমাজ ও ধর্মের ভয় থেকে মুক্তি: নজরুল বলেন, রাজভয় বা লোকভয় মানুষকে দুর্বল করে। যারা নিজের সত্যে অটল, তারা এইসব ভয়ের ঊর্ধ্বে অবস্থান করে। সত্যকে ধারণ করলে মানুষ মিথ্যা বা অন্যায় শক্তির কাছে মাথানত করে না।
-
মানবমুক্তির ধারণা: লেখক মানবমুক্তিকে দেখেছেন আত্মমুক্তির আলোকে। মানুষের মন যদি মুক্ত হয়, তবে সমাজও মুক্ত হয়। আর এই মুক্তির পথই তাঁর ‘আমার পথ’।
-
আত্মনির্ভরতার আহ্বান: নজরুল পাঠকদের আহ্বান জানান নিজের অন্তরের শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে। তাঁর মতে, নিজের সত্য ও সত্তার ওপর আস্থা রাখাই জীবনের প্রকৃত সাফল্যের চাবিকাঠি।
সবশেষে বলা যায়, ‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি মানুষকে নিজের অন্তরের সত্যে বিশ্বাস করতে শেখায়। এটি কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক প্রবন্ধ নয়; বরং আত্ম-জাগরণের, আত্মবিশ্বাসের এবং ব্যক্তিসত্তার স্বাধীনতার এক শক্তিশালী আহ্বান। লেখকের উদ্দেশ্য— মানুষ যেন অন্যের ভয় বা প্রভাব নয়, বরং নিজের সত্য ও বিবেকের নির্দেশে পথ চলতে শেখে। তাই এর মূল উপজীব্য ব্যক্তিসত্তার জাগরণ।
0
Updated: 1 week ago
"শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থে সংকলিত আছে?
Created: 1 month ago
A
কালান্তর
B
শিক্ষা
C
ব্যক্তি ও বিশ্ব
D
সভ্যতার সংকট
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ ‘শিক্ষার হেরফের’
-
রচনাকাল: ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দ।
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: শিক্ষা গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত।
-
মূল বক্তব্য: রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধে বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম করার প্রস্তাব দেন।
-
এখানে তিনি বিদেশি ভাষাভিত্তিক শিক্ষার সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে মাতৃভাষাভিত্তিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।
"শিক্ষা" প্রবন্ধগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ
-
শিক্ষার হেরফের
-
ছাত্রদের প্রতি সম্ভাষণ
-
শিক্ষাসংস্কার
-
শিক্ষাসমস্যা
-
জাতীয় বিদ্যালয়
উৎস: বাংলাপিডিয়া; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা প্রবন্ধগ্রন্থ।
0
Updated: 1 month ago