নিচের কোন নেটওয়ার্কটি সবচেয়ে বেশি জায়গা ব্যাপ্তি হয়?
A
LAN
B
WAN
C
MAN
D
PAN
উত্তরের বিবরণ
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলো এমন একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে বিভিন্ন কম্পিউটার ও ডিভাইস একে অপরের সঙ্গে তথ্য ও সম্পদ বিনিময় করতে পারে। নেটওয়ার্ক সাধারণত এর ভৌগোলিক বিস্তৃতি ও কাভারেজ এলাকা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকারে ভাগ করা হয়— যেমন PAN, LAN, MAN ও WAN। এর মধ্যে WAN (Wide Area Network) সবচেয়ে বড় পরিসরের নেটওয়ার্ক, যার পরিধি পুরো দেশ থেকে শুরু করে সারা বিশ্ব পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
WAN (Wide Area Network):
-
WAN এর পূর্ণরূপ হলো Wide Area Network।
-
এটি একাধিক LAN (Local Area Network) ও MAN (Metropolitan Area Network)-এর সমন্বয়ে গঠিত এক বিশাল নেটওয়ার্ক।
-
WAN-এর বিস্তৃতি ভৌগোলিকভাবে অনেক বড় এলাকা জুড়ে হতে পারে — যেমন একটি দেশ, মহাদেশ এমনকি পুরো পৃথিবীও এর আওতায় আসতে পারে।
-
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় WAN হলো ইন্টারনেট, যা বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি কম্পিউটার ও ডিভাইসকে সংযুক্ত করেছে।
-
WAN-এর মাধ্যমে মানুষ ই-মেইল আদান-প্রদান, ওয়েবসাইট ব্রাউজিং, ফাইল ডাউনলোড, অনলাইন কেনাকাটা, ভিডিও কনফারেন্সিং ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
-
এটি সাধারণত স্যাটেলাইট লিংক, ফাইবার অপটিক কেবল, মাইক্রোওয়েভ ও টেলিফোন লাইন ব্যবহার করে সংযোগ স্থাপন করে।
LAN (Local Area Network):
-
LAN-এর পূর্ণরূপ হলো Local Area Network।
-
এটি সীমিত এলাকা যেমন একটি অফিস, প্রতিষ্ঠান বা ভবনের মধ্যে ১ কিলোমিটার বা তার কম দূরত্বের কম্পিউটার ও ডিভাইসগুলোকে সংযুক্ত করে।
-
LAN নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রিন্টার, ফাইল, ডেটা এবং ইন্টারনেট সংযোগ একাধিক ব্যবহারকারীর মধ্যে ভাগ করে নেওয়া যায়।
PAN (Personal Area Network):
-
PAN-এর পূর্ণরূপ হলো Personal Area Network।
-
এটি কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, স্মার্টওয়াচ, ব্লুটুথ হেডসেট ইত্যাদির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
-
এর বিস্তৃতি সাধারণত কয়েক মিটার পর্যন্ত, অর্থাৎ এটি একেবারেই ব্যক্তিগত সীমার মধ্যে থাকে।
-
PAN-এর মাধ্যমে স্বল্প দূরত্বে ডেটা স্থানান্তর ও ওয়্যারলেস সংযোগ বজায় রাখা যায়।
MAN (Metropolitan Area Network):
-
MAN-এর পূর্ণরূপ হলো Metropolitan Area Network।
-
এটি একটি শহরের মধ্যে অবস্থিত একাধিক LAN নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে গঠিত হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, কোনো শহরের বিভিন্ন অফিস, বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি প্রতিষ্ঠান একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য MAN নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে।
-
এই নেটওয়ার্কে টেলিফোন লাইন, মডেম, ফাইবার অপটিক বা মাইক্রোওয়েভ লিংক ব্যবহার করা হয়।
সব মিলিয়ে, WAN নেটওয়ার্কই সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, যা ভৌগোলিক সীমা ছাড়িয়ে পুরো পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে আছে। এর মাধ্যমেই আজকের আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা এবং বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো গড়ে উঠেছে।
0
Updated: 1 week ago
কোন নেটওয়ার্ক মডেলে সব কম্পিউটার সমান ক্ষমতাসম্পন্ন এবং একে অপরের সাথে সরাসরি রিসোর্স শেয়ার করে?
Created: 1 month ago
A
Client-Server Network
B
Peer-to-Peer Network
C
Hybrid Network
D
Metropolitan Area Network
Peer-to-Peer (P2P) Network হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক যেখানে প্রতিটি কম্পিউটার (Peer) সমান ক্ষমতাসম্পন্ন থাকে এবং অন্যদের সাথে সরাসরি ফাইল, প্রিন্টার বা অন্যান্য রিসোর্স শেয়ার করতে পারে। এখানে কোনো কেন্দ্রীয় সার্ভারের প্রয়োজন হয় না।
-
কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রধান ধরন:
১. ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক (Client-Server Network)
২. পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক (Peer-to-Peer Network)
৩. হাইব্রিড নেটওয়ার্ক (Hybrid Network) -
ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক:
-
কেন্দ্রীয়ভাবে ডেটা স্টোর, নিরাপত্তা এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন পরিচালনার জন্য উপযোগী।
-
একটি কম্পিউটারে সকল রিসোর্স থাকে এবং অন্যান্য কম্পিউটারগুলো সেগুলো ব্যবহার করে।
-
-
পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক:
-
প্রতিটি কম্পিউটার রিসোর্স শেয়ার করতে পারে।
-
প্রতিটি কম্পিউটার একই সাথে সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট হিসেবে কাজ করে।
-
-
হাইব্রিড নেটওয়ার্ক:
-
ক্লায়েন্ট সার্ভার এবং পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত।
-
সার্ভার অংশের প্রাধান্য থাকে, তবে অল্প পরিসরে পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কের অংশও থাকে।
-
0
Updated: 1 month ago
নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন রেট বোঝাতে ব্যবহৃত 'MbPS' এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 1 week ago
A
Megabytes per second
B
Megabits per second
C
Milibits per second
D
কোনোটিই নয়
MbPS এর পূর্ণরূপ হলো Megabits per second, যা ডেটা স্থানান্তরের গতি বা ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড প্রকাশের একটি মানক একক। এটি বোঝায়, প্রতি সেকেন্ডে কত মেগাবিট (Megabit) পরিমাণ তথ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে প্রেরণ করা হচ্ছে। এই গতি নির্ধারণের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ বা ডেটা ট্রান্সফারের কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়।
ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড ও ব্যান্ডউইডথ:
-
ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড হলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কত দ্রুত ডেটা স্থানান্তরিত হচ্ছে তার পরিমাপ।
-
এই গতি সাধারণত bit per second (bps) এককে মাপা হয়।
-
প্রতি সেকেন্ডে যত সংখ্যক বিট (bit) স্থানান্তর হয়, সেটিই হলো ডেটা ট্রান্সমিশন রেট বা ব্যান্ডউইডথ (Bandwidth)।
-
অনেক সময় ট্রান্সমিশন স্পিড ও ব্যান্ডউইডথ শব্দ দুটি একে অপরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়।
বিভিন্ন ডেটা মাপের একক:
-
bps (bit per second): প্রতি সেকেন্ডে ১ বিট ডেটা স্থানান্তর। (১ বিট মানে ০ বা ১)।
-
kbps (kilobits per second): ১,০০০ বিট = ১ কিলোবিট → অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ১,০০০ বিট স্থানান্তর।
-
Mbps (megabits per second): ১,০০০ কিলোবিট = ১ মেগাবিট → অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ১,০০০,০০০ বিট স্থানান্তর।
-
Gbps (gigabits per second): ১,০০০ মেগাবিট = ১ গিগাবিট → অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ১,০০০,০০০,০০০ বিট স্থানান্তর।
-
Tbps (terabits per second): ১,০০০ গিগাবিট = ১ টেরাবিট → অত্যন্ত দ্রুত ডেটা ট্রান্সমিশনের একক।
-
Pbps (petabits per second): ১,০০০ টেরাবিট = ১ পেটাবিট → সাধারণত বৃহৎ ডেটা সেন্টার বা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক অবকাঠামোতে ব্যবহৃত হয়।
bps এবং Bps এর পার্থক্য:
-
bps এর “b” ছোট হাতের হলে বোঝায় bit per second — অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে স্থানান্তরিত বিটের সংখ্যা।
-
Bps এর “B” বড় হাতের হলে বোঝায় Byte per second, যা বিটের তুলনায় আটগুণ বড় একক, কারণ ১ Byte = ৮ bits।
-
উদাহরণস্বরূপ, 1 MBps (Megabyte per second) গতি মানে প্রায় 8 Mbps (Megabit per second) ডেটা গতি।
সব মিলিয়ে, Mbps (Megabits per second) হলো ডেটা ট্রান্সফারের মান নির্ধারণের সবচেয়ে প্রচলিত একক, যা ইন্টারনেটের গতি, ফাইল ডাউনলোড বা ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মান পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 week ago
ফায়ারওয়াল কি?
Created: 1 month ago
A
একটি ইমেইল সার্ভিস ব্যবস্থা
B
একটি নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা
C
একটি অপারেটিং সিস্টেম
D
একটি ডাটাবেজ সিস্টেম
ফায়ারওয়াল – একটি নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা
-
ফায়ারওয়াল (Firewall) হলো একটি শক্তিশালী কম্পিউটার সুরক্ষা প্রণালী, যা কম্পিউটার ডিভাইস এবং নেটওয়ার্ককে হ্যাকার, ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাস থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
-
এটি কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ প্রতিরোধ করে এবং একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ভাইরাসের স্থানান্তর রোধ করে।
-
হ্যাকারদের অনুরোধ ব্লক করে ফায়ারওয়াল কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বজায় রাখে।
ফায়ারওয়ালের মূল কাজ:
-
নির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক সংযোগ (ওয়েবসাইট, ইমেইল, ফাইল ট্রান্সফার) অনুমোদন বা ব্লক করা।
-
অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক ও ব্যক্তিগত/সংবেদনশীল তথ্য সুরক্ষা করা।
-
নেটওয়ার্ক ট্রাফিকের তথ্য লগ আকারে সংরক্ষণ, যা প্রশাসককে আক্রমণ বোঝা ও প্রতিরোধে সহায়তা করে।
উৎস: ব্রিটানিকা
0
Updated: 1 month ago