গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী, ইউটিলিটি-ভিত্তিক কম্পিউটিং পরিষেবা প্রদানের জন্য কোন প্রযুক্তিটি Distributed Computing এর একটি দৃষ্টান্ত? 

A

Remote Sensing 

B

Cloud Computing 

C

Remote Invocation 

D

Private Computing

উত্তরের বিবরণ

img

ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing) হলো এমন একটি আধুনিক কম্পিউটিং প্রযুক্তি, যেখানে ইন্টারনেট ও কেন্দ্রীয় রিমোট সার্ভার ব্যবহার করে তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশন সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনা করা যায়। অর্থাৎ, ব্যবহারকারীকে নিজস্ব কম্পিউটার বা সার্ভারে ডেটা সংরক্ষণের পরিবর্তে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন সার্ভার ব্যবহার করে কাজ করার সুযোগ দেয় এই প্রযুক্তি। এটি বর্তমানে ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং (Distributed Computing)-এর অন্যতম বাস্তব উদাহরণ।

ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সংজ্ঞা (NIST অনুযায়ী):
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি (NIST) অনুসারে, ক্লাউড কম্পিউটিং হলো এমন একটি মডেল যা ব্যবহারকারীকে তার প্রয়োজনীয় তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশন কোনো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে সংরক্ষণ ও পরিচালনার সুযোগ দেয়। এতে তিনটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে:

১. Resource Flexibility/Scalability (যত চাহিদা, তত সেবা):

  • গ্রাহক বা ব্যবহারকারী তার প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা নিতে পারে এবং প্রয়োজন বাড়লে বা কমলে সেটি সহজেই পরিবর্তন করা যায়।

  • ক্লাউড সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সার্ভার ক্ষমতা, স্টোরেজ বা ব্যান্ডউইথ বাড়াতে বা কমাতে পারে।

  • ফলে এটি অত্যন্ত স্থিতিস্থাপক (Flexible)স্কেলেবল (Scalable) একটি সেবা ব্যবস্থা।

২. On Demand Service (যখন চাহিদা, তখন সেবা):

  • ব্যবহারকারী যখনই সেবা প্রয়োজন মনে করবে, তখনই সেটি ব্যবহার করতে পারবে।

  • কোনো নির্দিষ্ট সময় বা স্থানে সীমাবদ্ধ না থেকে এটি ২৪/৭ অনলাইন সেবা প্রদান করে।

  • ব্যবহারকারী চাইলে সহজেই তার সার্ভিসের পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস করতে পারে।

৩. Pay as You Go (যখন ব্যবহার, তখন মূল্যশোধ):

  • ক্লাউড কম্পিউটিং-এ আগাম কোনো রিজার্ভেশন বা স্থায়ী বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না।

  • গ্রাহক শুধুমাত্র যতটুকু সেবা ব্যবহার করবে, ততটুকুর জন্যই মূল্য প্রদান (Payment) করবে।

  • এই মডেলটি ঠিক ইউটিলিটি বিলের মতো—যেমন বিদ্যুৎ বা পানির বিল ব্যবহার অনুযায়ী প্রদান করা হয়।

ক্লাউড কম্পিউটিং-এর বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা:

  • ডেটা স্টোরেজ ও ব্যাকআপ সহজে করা যায়, কারণ সমস্ত তথ্য অনলাইন সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে।

  • অ্যাক্সেসিবিলিটি: ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে ডেটা অ্যাক্সেস করা সম্ভব।

  • রিসোর্স শেয়ারিং: একাধিক ব্যবহারকারী একই সময়ে একটি সার্ভিস ব্যবহার করতে পারে।

  • খরচ সাশ্রয়ী: হার্ডওয়্যার ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমে যায়।

  • অটো আপডেট ও সিকিউরিটি ফিচার: ক্লাউড সেবাদাতারা নিয়মিত সিস্টেম আপডেট ও নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।

ক্লাউড কম্পিউটিং-এর উদাহরণ:

  • Google Drive, Dropbox, Microsoft OneDrive, Amazon Web Services (AWS), iCloud, Google Cloud Platform ইত্যাদি জনপ্রিয় ক্লাউড সেবা।

সব মিলিয়ে, ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি যা গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী অন-ডিমান্ড সার্ভিস, স্কেলেবল রিসোর্স ও ব্যবহারভিত্তিক বিলিং ব্যবস্থা প্রদান করে। এটি বর্তমান বিশ্বের ডিস্ট্রিবিউটেড ও ইউটিলিটি-ভিত্তিক কম্পিউটিং মডেল-এর এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

Unfavorite

0

Updated: 1 week ago

Related MCQ

ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম নয় কোনটি?

Created: 1 month ago

A

Google Drive

B

pCloud


C

Mega

D

Slack

Unfavorite

0

Updated: 1 month ago

নিচের কোনটি ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবার অন্তর্গত? 


Created: 1 month ago

A

Google Docs


B

EC2


C

Azure


D

Dropbox


Unfavorite

0

Updated: 1 month ago

ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের অবকাঠামোগত সেবা কোনটি?

Created: 1 month ago

A

SaaS

B

IaaS

C

PaaS

D

Raas

Unfavorite

0

Updated: 1 month ago

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD