বাহিরের আক্রমণ থেকে প্রাইভেট নেটওয়ার্ক রক্ষার্থে নিচের কোনটি ব্যবহৃত হয়?
A
Antivirus
B
Digital Signature
C
Encryption
D
Firewall
উত্তরের বিবরণ
ফায়ারওয়াল (Firewall) হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা অননুমোদিত প্রবেশ (Unauthorized Access) প্রতিরোধ করে এবং প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ককে বাইরের হুমকি, বিশেষ করে সাইবার আক্রমণ (Cyber Attack) থেকে সুরক্ষিত রাখে। এটি একধরনের Gate Keeper বা প্রহরীর মতো কাজ করে, যা ডেটা প্রবেশ ও বহির্গমনের সময় প্রতিটি তথ্য প্যাকেট যাচাই করে এবং শুধুমাত্র অনুমোদিত যোগাযোগকেই অনুমতি দেয়।
ফায়ারওয়ালের প্রধান বৈশিষ্ট্য ও কার্যপ্রণালী:
-
ফায়ারওয়াল একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা প্রোগ্রাম, যা কোনো প্রতিষ্ঠানের ইন্ট্রানেট (Intranet) ও ইন্টারনেট (Internet)-এর মধ্যে অবৈধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
এটি Unauthorized ব্যবহারকারী বা হ্যাকারদের হাত থেকে নেটওয়ার্ক রিসোর্স রক্ষা করে এবং সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
-
সাধারণত ফায়ারওয়াল দুটি উপায়ে কাজ করে—
১. Software Firewall: এটি একটি নিরাপত্তা প্রোগ্রাম, যা কম্পিউটার বা সার্ভারের অপারেটিং সিস্টেমে ইনস্টল করা থাকে।
২. Hardware Firewall: এটি একটি ফিজিক্যাল ডিভাইস, যা সাধারণত রাউটার (Router) বা ডেডিকেটেড সার্ভার (Dedicated Server)-এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। -
ফায়ারওয়াল নেটওয়ার্কে প্রবেশ করা প্রতিটি ডেটা প্যাকেট (Data Packet) পর্যবেক্ষণ করে এবং নীতিমালা অনুযায়ী তা গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করে।
-
এটি ডেটা ফিল্টার হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ অনুমোদিত ডেটাকে প্রবেশ করতে দেয় এবং সন্দেহজনক ডেটাকে আটকায়।
-
ফায়ারওয়াল হ্যাকিং প্রতিরোধে বাধা সৃষ্টি করে, তবে জটিল আক্রমণ প্রতিহত করতে এটি সর্বদা সক্ষম নয়, তাই অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে একত্রে ব্যবহৃত হয়।
ফায়ারওয়ালের গুরুত্ব:
-
নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
-
স্প্যাম, ভাইরাস, ও ম্যালওয়্যার আক্রমণ সীমিত রাখে।
-
ব্যবহারকারীর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও লগ রেকর্ড রাখে, যাতে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা সহজে শনাক্ত করা যায়।
-
কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এটি অপরিহার্য উপাদান।
অন্যান্য অপশন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা:
এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার:
-
এটি কম্পিউটারকে ভাইরাস, ট্রোজান, স্পাইওয়্যার, ওয়ার্ম ইত্যাদি ক্ষতিকর সফটওয়্যার থেকে রক্ষা করে।
-
এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার সংক্রমণের আগে ভাইরাস শনাক্ত ও অপসারণ করে অথবা ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে দেয়।
-
জনপ্রিয় এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে রয়েছে Norton, Avast, McAfee, Kaspersky ইত্যাদি।
ডাটা এনক্রিপশন (Data Encryption):
-
এটি ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি, যেখানে তথ্যকে একটি গোপন কোড বা সাংকেতিক রূপে রূপান্তর করা হয়।
-
উৎস থেকে গন্তব্যে তথ্য প্রেরণের আগে এনক্রিপশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা এমনভাবে পরিবর্তন করা হয় যাতে তৃতীয় পক্ষ সহজে তথ্য পড়তে না পারে।
-
গন্তব্য প্রান্তে ডিক্রিপশন (Decryption) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূল তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ফায়ারওয়াল হলো নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার প্রথম স্তর, যা প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও সিস্টেমকে বহিরাগত হুমকি থেকে সুরক্ষিত রাখে। পাশাপাশি এন্টিভাইরাস ও ডেটা এনক্রিপশন প্রযুক্তি একত্রে ব্যবহৃত হলে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
0
Updated: 1 week ago
একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে একটি LAN-এর একাধিক ডিভাইসকে একটি WAN-এর সাথে সংযুক্ত করে এমন ডিভাইস কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
রাউটার
B
ওয়েব সার্ভার
C
ব্রীজ
D
হাব
রাউটার হলো একটি বুদ্ধিমান নেটওয়ার্ক ডিভাইস, যা একই প্রটোকল ব্যবহার করা দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করার কাজ করে। এটি নেটওয়ার্ক ট্রাফিককে স্মার্টলি রাউটিং করে, যাতে ডেটা দ্রুত ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
-
রাউটার উৎস কম্পিউটার থেকে গন্তব্য কম্পিউটারে ডেটা প্যাকেট (data packets) পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে কম দূরত্বের বা অপ্টিমাল পথ ব্যবহার করে।
-
নেটওয়ার্কে যদি ডেটার লোড বা ব্যস্ততা বেশি থাকে, রাউটার সেই পথ এড়িয়ে অন্য উপযুক্ত রুট বা path নির্বাচন করে ডেটা পাঠাতে পারে।
-
একাধিক LAN সংযুক্ত করতে বা WAN এর সঙ্গে LAN সংযোগ স্থাপন করতে রাউটার ব্যবহার করা হয়।
-
এটি NAT (Network Address Translator) ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের ঠিকানা চিহ্নিত ও মানেজ করে।
0
Updated: 3 weeks ago
একটি হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে, যদি ডিভাইস A তথ্য প্রেরণ করছে, ডিভাইস B-এর কী হবে?
Created: 1 month ago
A
একসাথে ডেটা পাঠাতে পারবে
B
B এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে
C
A এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে
D
B স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে চলে যাবে
হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেম
হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে তথ্য আদানপ্রদান দুই দিকেই হয়, কিন্তু এক সময়ে কেবল একটি দিকেই ডেটা প্রেরণ সম্ভব। অর্থাৎ, একই মুহূর্তে দুইটি ডিভাইস একসাথে ডেটা প্রেরণ করতে পারে না। সুতরাং, যদি ডিভাইস A তথ্য প্রেরণ করছে, ডিভাইস B কে অপেক্ষা করতে হবে যতক্ষণ না A-এর প্রেরণ সম্পন্ন হয়। এই কারণে, B-এর তথ্য প্রেরণ তখনই শুরু করা যায় যখন চ্যানেল খালি হয়। হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে এক সময়ে এক পক্ষই প্রেরণকারী এবং অন্য পক্ষ গ্রাহক থাকে, যা সম্পূর্ণ ডুপ্লেক্সের থেকে আলাদা। তাই সঠিক উত্তর হবে: গ) A এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ডাটা ট্রান্সমিশন মোড
উৎস থেকে গন্তব্যে ডাটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডাটা প্রবাহের দিককে বিবেচনা করে ডাটা পাঠানোর পদ্ধতিকে ডাটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। ডাটা প্রবাহের দিকের উপর ভিত্তি করে ডাটা ট্রান্সমিশন মোডকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১. সিমপ্লেক্স (Simplex)
-
শুধুমাত্র একদিকে ডাটা প্রেরণের মোড বা পদ্ধতিকে বলা হয় সিমপ্লেক্স।
-
এক্ষেত্রে গ্রাহক যন্ত্রটি কখনোই প্রেরক যন্ত্রটিতে ডাটা পাঠাতে পারে না।
-
উদাহরণ: রেডিও, টিভি, কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডাটা প্রেরণ।
২. হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-Duplex)
-
হাফ-ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে যে কোন প্রান্ত ডাটা গ্রহণ অথবা প্রেরণ করতে পারে কিন্তু গ্রহণ এবং প্রেরণ একই সাথে করতে পারে না।
-
উদাহরণ: ওয়াকিটকি।
৩. ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex)
-
ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে একই সময়ে উভয় দিক হতে ডাটা প্ররণের ব্যবস্থা থাকে।
-
যে কোন প্রান্ত প্রয়োজনে ডাটা প্রেরণ করার সময় ডাটা গ্রহণ অথবা ডাটা গ্রহণের সময় প্রেরণও করতে পারবে।
-
উদাহরণ: টেলিফোন, মোবাইল ফোন।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটানিকা।
0
Updated: 1 month ago
মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত টপোলজির নাম কী?
Created: 1 month ago
A
রিং টপোলজি
B
মেশ টপোলজি
C
স্টার টপোলজি
D
কোনোটিই নয়
মোবাইল নেটওয়ার্কের কাঠামো মূলত স্টার টপোলজি-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে কেন্দ্রীয় হাবের সঙ্গে প্রতিটি মোবাইল ডিভাইস সরাসরি সংযুক্ত থাকে।
-
মোবাইল ফোন:
-
মোবাইল ফোনের জনক হলেন মার্টিন কুপার।
-
যুক্তরাষ্ট্রে Motorola DynaTAC (Total Access Communication System) নামে প্রথম হ্যান্ড-মোবাইল সেট চালু করা হয়।
-
১৯৭৯ সালে জাপানের NTTC (Nippon Telegraph and Telephone Corporation) প্রথম বাণিজ্যিকভাবে অটোমেটেড সেলুলার নেটওয়ার্ক চালু করে, যা 1G-এর সূচনা।
-
মোবাইল ফোনের প্রজন্মকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম প্রজন্ম।
-
-
স্টার টপোলজি:
-
একটি কেন্দ্রীয় নোড বা হাব থাকে এবং প্রতিটি ডিভাইস সেই কেন্দ্রীয় নোডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে।
-
মোবাইল নেটওয়ার্কে প্রতিটি বেস স্টেশন বা সেল টাওয়ার কেন্দ্রীয় হাব হিসেবে কাজ করে।
-
বেস স্টেশনের আওতাধীন প্রতিটি মোবাইল ফোন সেই কেন্দ্রীয় হাবের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে।
-
সেলুলার নেটওয়ার্কের মৌলিক কাঠামো স্টার টপোলজির মতো, যেখানে বেস স্টেশন কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago