Cellular Data Network এর ক্ষেত্রে GPRS বলতে কী বুঝায়?
A
Global Positioning Radio Service
B
General Positioning Radio Service
C
Global Packet Radio Service
D
General Packet Radio Service
উত্তরের বিবরণ
GPRS শব্দের পূর্ণরূপ হলো General Packet Radio Service, যা মোবাইল ফোন প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত একটি উচ্চগতির ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা। এটি মূলত GSM প্রযুক্তির একটি সম্প্রসারিত রূপ, যা মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে। GPRS প্রযুক্তি মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেটা প্যাকেট আকারে প্রেরণ ও গ্রহণ করে, ফলে ব্যবহারকারীরা সহজে ইমেইল পাঠানো, ওয়েব ব্রাউজিং, মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং ও অনলাইন যোগাযোগ করতে পারেন।
মোবাইল ফোন প্রযুক্তির প্রধান দুই প্রকার:
বর্তমানে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন প্রযুক্তিকে সাধারণত দুইটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়— GSM (Global System for Mobile Communication) এবং CDMA (Code Division Multiple Access)।
১. GSM (Global System for Mobile Communication):
-
GSM হলো বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত একটি জনপ্রিয় মোবাইল যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা TDMA (Time Division Multiple Access) এবং FDMA (Frequency Division Multiple Access)-এর সম্মিলিত চ্যানেল অ্যাকসেস পদ্ধতি ব্যবহার করে।
-
এই প্রযুক্তিতে উচ্চগতির ডেটা আদান-প্রদানের জন্য GPRS (General Packet Radio Service) ও EDGE (Enhanced Data Rate for GSM Evolution) প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
-
GSM-এর সেল কভারেজ এলাকা প্রায় ৩৫ কিলোমিটার, যা শহর ও জনবহুল অঞ্চলের জন্য উপযুক্ত।
-
এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা, অর্থাৎ ব্যবহারকারী বিদেশে থেকেও একই সিম ও নম্বর ব্যবহার করতে পারেন।
-
GSM নেটওয়ার্ক বিশ্বজুড়ে ৮০% এর বেশি মোবাইল ব্যবহারকারীর দ্বারা ব্যবহৃত।
২. CDMA (Code Division Multiple Access):
-
CDMA প্রযুক্তিতে ডেটা আদান-প্রদান করা হয় ইউনিক কোডিং পদ্ধতিতে, যেখানে প্রতিটি কল বা ডেটা ট্রান্সমিশন একটি নির্দিষ্ট কোড দ্বারা চিহ্নিত হয়।
-
এই প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিকে বলা হয় স্প্রেড স্পেকট্রাম (Spread Spectrum)।
-
CDMA নেটওয়ার্কের সেল কভারেজ এলাকা প্রায় ১১০ কিলোমিটার, যা বৃহত্তর এলাকা কভার করতে সক্ষম।
-
তবে, GSM-এর মতো CDMA নেটওয়ার্কে আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা সাধারণত পাওয়া যায় না।
-
বাংলাদেশে একসময় সিটিসেল (Citycell) নামক মোবাইল অপারেটর এই প্রযুক্তি ব্যবহার করত।
GPRS-এর গুরুত্ব ও ভূমিকা:
-
GPRS প্রযুক্তি মোবাইল ডেটা ব্যবহারে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
-
এটি ২.৫G প্রযুক্তি হিসেবে পরিচিত, যা ২G ও ৩G প্রযুক্তির মধ্যবর্তী ধাপ।
-
এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা মোবাইল ফোন দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ, অনলাইন ফাইল ডাউনলোড, ইমেইল পাঠানো এবং অ্যাপ চালাতে পারেন।
-
GSM নেটওয়ার্কে GPRS সংযুক্ত থাকার কারণে মোবাইল ডেটা পরিষেবা আরও গতিশীল ও সাশ্রয়ী হয়।
সব মিলিয়ে, GPRS হলো GSM প্রযুক্তিনির্ভর এমন এক ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি, যা মোবাইল ফোনকে শুধু ভয়েস কল নয়, বরং ইন্টারনেট ব্যবহারের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
0
Updated: 1 week ago
২১) দুটি ভিন্ন প্রোটোকল-ভিত্তিক নেটওয়ার্ককে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করার জন্য কোন নেটওয়ার্ক ডিভাইস ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
Hub
B
Switch
C
Router
D
Gateway
নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসগুলোর মধ্যে সুইচ, রাউটার এবং গেটওয়ে অন্যতম। গেটওয়ে এমন একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা ভিন্ন ভিন্ন প্রোটোকল ব্যবহারকারী নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করতে সক্ষম। এটি ডেটা ফরম্যাট, প্রোটোকল এবং আর্কিটেকচার পরিবর্তন করে এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদান নিশ্চিত করে।
সুইচ একটি ডিভাইস যা নেটওয়ার্কে প্রেরিত ডাটাকে বিভক্ত করে এবং নেটওয়ার্কের সকল সিস্টেমে না পাঠিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। হাবের মতো কাজ করলেও সুইচ প্রেরিত সিগন্যাল শুধুমাত্র টার্গেট কম্পিউটারে প্রেরণ করে। স্টার টপোলজিতে সুইচ কেন্দ্রিয় কানেকটিভ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
রাউটার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ব্যবহৃত হয়। এটি ছোট ছোট নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে এবং নেটওয়ার্কের মধ্যে একাধিক পথ সৃষ্টি করতে সক্ষম। রাউটার মূলত একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে।
গেটওয়ে ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের পাশাপাশি ভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্কও সংযুক্ত করা যায়। গেটওয়ে এবং রাউটার একসাথে ব্যবহার করে ছোট নেটওয়ার্কগুলোকে সংযুক্ত করে বড় ধরনের নেটওয়ার্ক গঠন করা সম্ভব হয়। যদিও রাউটার শুধুমাত্র একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে, গেটওয়ে বিভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে সক্ষম।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
নেটওয়ার্কের মধ্যে ডিভাইস সংযোগের ধরনকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
প্রোটোকল
B
নোড
C
টপোলজি
D
প্যাকেজ
নেটওয়ার্ক টপোলজি (Network Topology) হলো একটি নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ডিভাইস যেমন কম্পিউটার, রাউটার, সুইচ ইত্যাদি কীভাবে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকবে তা বর্ণনা করার পদ্ধতি। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি নেটওয়ার্কের গঠন বা কাঠামো নির্দেশ করে।
-
নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ফিজিক্যাল ডিভাইস বা উপাদানগুলো যেভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে, তাকেই নেটওয়ার্ক টপোলজি বলা হয়।
-
সাধারণত নেটওয়ার্ক টপোলজি বলতে নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ফিজিক্যাল অবস্থার বা ডিজাইনের বর্ণনাই বোঝানো হয়।
নেটওয়ার্ক টপোলজির প্রধান ধরনগুলো হলো:
১। বাস টপোলজি
২। রিং টপোলজি
৩। স্টার টপোলজি
৪। ট্রি টপোলজি
৫। হাইব্রিড টপোলজি
৬। মেশ টপোলজি
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য নিচের কোন ডিভাইসটি ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
রাউটার
B
সুইচ
C
ব্রিজ
D
হাব
রাউটার, সুইচ, হাব, ব্রিজ এবং গেটওয়ে হলো নেটওয়ার্কিং-এ ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। প্রতিটি ডিভাইসের আলাদা ভূমিকা রয়েছে এবং এগুলো নেটওয়ার্কে তথ্য আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে তোলে। নিচে এগুলোর কাজ এবং বৈশিষ্ট্য বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো।
• Router
-
বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহার হয়।
-
এটি ডেটা প্যাকেটের গতি ও পথ (path) নির্ধারণ করে।
-
IP address এর ভিত্তিতে ডেটা ট্রান্সমিশন করে।
-
ছোট ছোট নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে।
-
ভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক যেমন Ethernet, Token Ring ইত্যাদি সংযুক্ত করতে পারে।
-
একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে কার্যকর।
• Switch
-
নেটওয়ার্কের ডেটা শুধু নির্দিষ্ট গন্তব্যে পাঠায়, সবার মধ্যে নয়।
-
হাব এবং সুইচের কাজ প্রায় একই, তবে হাব একসাথে সব কম্পিউটারে ডেটা পাঠায়, সুইচ শুধুমাত্র target computer এ পাঠায়।
-
স্টার টপোলজিতে সুইচ একটি কেন্দ্রীয় কানেক্টিভ ডিভাইস হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
• Hub
-
কম্পিউটারগুলিকে একসাথে যুক্ত করে।
-
মাল্টিপল পোর্ট থাকে, যেখানে একটি প্যাকেট এলে তা কপি করে সব পোর্টে পাঠায়।
-
স্টার টপোলজিতে কেন্দ্রীয় ডিভাইস হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
-
এর ক্ষমতার উপর নির্ভর করে কতগুলো কম্পিউটার যুক্ত করা যাবে।
কার্যকারিতার ভিত্তিতে হাব দুই প্রকার—
১. Active Hub-
সংকেতকে amplify করে মান উন্নত করে।
-
কিছু ক্ষেত্রে সংকেতকে আংশিকভাবে process করে।
-
মূল সংকেত থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় অংশ প্রেরণ করে।
২. Passive Hub
-
শুধু তথ্য আদান-প্রদানে সহায়তা করে।
-
সংকেত amplify করে না, এজন্য Active Hub এর সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করে।
-
• Bridge
-
একাধিক নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
ভিন্ন কাঠামো বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে, তবে ভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে না।
ব্রিজের প্রকারভেদ—
১. Local Bridge → সরাসরি LAN এর সাথে যুক্ত থাকে।
২. Remote Bridge → ভৌগোলিকভাবে আলাদা দুটি LAN সেগমেন্টকে সংযুক্ত করে।
৩. Wireless Bridge → একাধিক LAN যুক্ত করা বা LAN এর দূরবর্তী স্টেশনকে সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
• Gateway
-
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ব্যবহৃত হয়।
-
রাউটার একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে, কিন্তু গেটওয়ে different protocols বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে।
-
ছোট ছোট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করে বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সহায়তা করে।
0
Updated: 1 month ago