বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি কে?
A
বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ
B
বিচারপতি মোস্তফা কামাল
C
বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম
D
বিচারপতি এসকে সিনহা
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের বিচারব্যবস্থাকে নতুনভাবে সাজানোর প্রয়োজন দেখা দেয়। সেই সময়ে একজন যোগ্য, অভিজ্ঞ ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির প্রয়োজন ছিল, যিনি নতুন রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার ভিত গড়ে তুলবেন। এই দায়িত্ব পান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, যিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নেন।
তিনি শুধু একজন দক্ষ বিচারপতি নন, বরং একজন প্রশাসনিক দূরদর্শী ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর নেতৃত্বে নবগঠিত বাংলাদেশে বিচার বিভাগের কার্যক্রম গঠিত হয় ও স্বাধীনতার চেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি আইনি কাঠামো তৈরি হয়।
-
বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতির পদে আসীন হন।
-
তিনি নতুন সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম শুরু করেন, যা দেশের বিচারব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে।
-
তাঁর সময়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ভবিষ্যতের বিচার ব্যবস্থার জন্য পথপ্রদর্শক ছিল।
-
তিনি অত্যন্ত সততা, প্রজ্ঞা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন, যা তাঁকে জনগণের শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত করে।
-
পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন, যা তাঁর বহুমাত্রিক নেতৃত্বগুণের পরিচয় বহন করে।
-
তাঁর চিন্তা ও পদক্ষেপ বিচার ব্যবস্থায় স্থায়িত্ব ও আস্থার পরিবেশ তৈরি করে, যা আজও বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
সব মিলিয়ে বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ছিলেন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার স্থপতিদের একজন। তাঁর অবদান শুধু প্রথম প্রধান বিচারপতি হিসেবেই নয়, বরং স্বাধীনতার পর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক অগ্রদূত হিসেবেও জাতির ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।
0
Updated: 1 week ago
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
B
আরিস্টোফার্মা লিমিটেড
C
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড
D
রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরে মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহের জন্য এটি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে।
-
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হলো এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)।
-
১৯৬২ সালে গভর্নমেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস ল্যাবরেটরি (GPL) নামে কার্যক্রম শুরু করে।
-
১৯৭৯ সালে নাম পরিবর্তন করে ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাকশন ইউনিট (PPU) রাখা হয়।
-
১৯৮৩ সালে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও মানসম্মত ওষুধ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে এটি আধুনিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সরকারি হাসপাতাল, সিভিল সার্জন অফিস, ইউনিসেফ, WHO, আইসিডিডিআরবিসহ বিভিন্ন সংস্থায় মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহ করে।
-
এটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশে চা বোর্ড কোথায় অবস্থিত ?
Created: 4 days ago
A
শ্রীমঙ্গল
B
ঢাকা
C
চট্রগ্রাম
D
পঞ্চগড়
বাংলাদেশে চা বোর্ড চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের চা শিল্পের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এবং দেশের চা উৎপাদন এবং বিপণন সংক্রান্ত নীতি ও কার্যক্রমের তদারকি করে থাকে।
-
চট্টগ্রাম শহরের অবস্থান: চট্টগ্রাম বাংলাদেশের প্রধান বন্দর নগরী এবং চা বোর্ড এখানে অবস্থিত হওয়ায়, এটি চা ব্যবসায়ের কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
চা উৎপাদন ও বিপণন: চট্টগ্রাম শহরের চা বোর্ড চা উৎপাদন, বিক্রি, রফতানি, এবং শিল্পের উন্নতি নিয়ে কাজ করে। এটি দেশের চা শিল্পের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নীতি নির্ধারণে সহায়তা করে।
-
চা বাগান: চট্টগ্রামের আশপাশে অনেক চা বাগান রয়েছে, বিশেষ করে কক্সবাজার, বান্দরবন এবং শ্রীমঙ্গল এলাকা। চট্টগ্রাম চা বোর্ডের মাধ্যমে এসব বাগানের চা উৎপাদন এবং মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
-
অন্য স্থান: চট্টগ্রামের চা বোর্ড দেশের অন্যান্য শহরগুলোর তুলনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং এর মাধ্যমে পুরো দেশের চা শিল্প পরিচালিত হয়। ঢাকায় এবং অন্যান্য স্থানে চা বোর্ড নেই।
এই কারণে, চট্টগ্রাম হচ্ছে বাংলাদেশের চা বোর্ডের প্রধান অবস্থান।
0
Updated: 4 days ago
দেশের মোট রপ্তানিকৃত আলুর বেশিরভাগ কোন দেশে রপ্তানি হয়? [অক্টোবর, ২০২৫]
Created: 3 weeks ago
A
সিঙ্গাপুর
B
ভুটান
C
শ্রীলঙ্কা
D
মালয়েশিয়া
বাংলাদেশ দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে আলু রপ্তানি করছে এবং দেশের মোট রপ্তানিকৃত আলুর বড় অংশ মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাজারে আলুর চাহিদা রয়েছে এবং এটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
-
রপ্তানি প্রধান দেশ: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের আলুর প্রায় ৮০ শতাংশ মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হয়।
-
অন্যান্য গন্তব্য: সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন এবং মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে আলু রপ্তানি করা হচ্ছে। পূর্বে রাশিয়াতেও রপ্তানি হতো, কিন্তু বর্তমানে সেখানে আলুর চাহিদা কমেছে। এখন পর্যন্ত মোট ১৪টি দেশে বাংলাদেশের আলু পৌঁছেছে।
-
রপ্তানির পরিমাণ: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে মোট ৬২,১৩৫ টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে।
-
চাষের এলাকা: একই অর্থবছরে আলু চাষ হয়েছে রেকর্ড ৫.২৪ লাখ হেক্টর জমিতে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।
-
রপ্তানিযোগ্য জাত: রপ্তানির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত আলুর জাত হলো ‘গ্রানোলা’, ‘ডায়মন্ড-৭’ এবং ‘ম্যাজেস্টিক’।
0
Updated: 3 weeks ago