একটি অপারেটিং সিস্টেম একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন symbols, icon অথবা visual metaphor এর মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ স্থাপনে ভূমিকা পালন করে। নিচের কোনটি এ শ্রেণির কাজকে নির্দেশ করে?
A
Command-Line Interface
B
Graphical User Interface
C
Block User Interface
D
Tap User Interface
উত্তরের বিবরণ
গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম হলো এমন এক ধরনের ব্যবহারবান্ধব অপারেটিং সিস্টেম, যেখানে ব্যবহারকারী কীবোর্ডের পরিবর্তে চিত্র, আইকন ও ভিজ্যুয়াল প্রতীক ব্যবহার করে কম্পিউটারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। এটি মূলত Graphical User Interface (GUI) ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি, যার ফলে ব্যবহারকারীকে জটিল কমান্ড মুখস্থ করতে হয় না। বরং মাউসের সাহায্যে আইকনে ক্লিক করলেই প্রোগ্রাম চালু করা বা কাজ সম্পন্ন করা যায়।
গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেমের ধারণা ও কাজের পদ্ধতি:
-
এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে কমান্ড বা নির্দেশনা প্রদান করা হয় চিত্র (graphics) ও আইকনের (icons) মাধ্যমে।
-
ব্যবহারকারী ডেস্কটপে থাকা বিভিন্ন আইকন ও পুল-ডাউন মেনুর সাহায্যে সহজে প্রোগ্রাম চালু, ফাইল ম্যানেজমেন্ট বা সিস্টেম কনফিগারেশন করতে পারে।
-
উদাহরণস্বরূপ, কোনো অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে মাউস দিয়ে তার আইকনের ওপর ডাবল ক্লিক করলেই প্রোগ্রামটি চালু হয়।
-
এই ধরণের সিস্টেম Windows 95, Windows 98, Windows XP, Windows 7 এবং Mac OS-এর মতো আধুনিক অপারেটিং সিস্টেমে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত।
গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:
-
কম্পিউটার চালু করার পর ডেস্কটপে বিভিন্ন প্রোগ্রামের আইকন বা প্রতীক প্রদর্শিত হয়, যা ব্যবহারকারীকে সহজভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।
-
বিভিন্ন আইকন ও পুল-ডাউন মেনু কমান্ড ব্যবহার করে ব্যবহারকারী প্রোগ্রাম পরিচালনা করতে পারে।
-
প্রতিটি মেনুতে একাধিক সাব-মেনু বা পুল-ডাউন অপশন থাকে, যা নির্দেশ দেওয়াকে সহজ করে।
-
মাউসের সাহায্যে সহজে আইকন নির্বাচন, টেনে নেওয়া বা ক্লিক করার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করা যায়।
-
নতুন কোনো হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার সংযুক্ত করা হলে সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি সনাক্ত করতে সক্ষম।
-
এতে নেটওয়ার্কিং, ফাইল শেয়ারিং ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর।
-
ব্যবহারকারীকে কোনো কমান্ড মুখস্থ রাখতে হয় না, ফলে এটি নবীন ব্যবহারকারীর জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক।
-
গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসের কারণে মাল্টিমিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন (অডিও, ভিডিও, গ্রাফিক্স) সহজে ব্যবহার করা যায়।
-
তবে, এই ধরণের সিস্টেম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য বেশি মেমোরি ও প্রসেসিং ক্ষমতা প্রয়োজন হয়।
সব মিলিয়ে, গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীর জন্য একটি সহজ, দ্রুত ও দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ তৈরি করে। এটি কম্পিউটার ব্যবহারের ধারণাকে সহজতর ও জনপ্রিয় করেছে, যার ফলে সাধারণ ব্যবহারকারীরাও প্রযুক্তির জগতে সহজে অংশ নিতে পারছে।
0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেম?
Created: 4 weeks ago
A
Windows 10
B
QNX
C
Ubuntu
D
macOS
QNX হলো একটি শক্তিশালী Real-Time Operating System (RTOS) যা বিশেষভাবে embedded systems এবং mission-critical applications এর জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি এমন সিস্টেমে ব্যবহৃত হয় যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি, যেমন গাড়ির কন্ট্রোল সিস্টেম, টেলিকম সিস্টেম, বা মেডিকেল ডিভাইস।
রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেম (RTOS):
-
রিয়েল টাইম সিস্টেমে কম্পিউটারকে নির্দিষ্ট ও পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে ফলাফল প্রদান করতে হয়।
-
এখানে সময়ের সীমাবদ্ধতা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে সামান্য বিলম্বও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
-
এটি মূলত অনলাইন প্রসেসিং এর মতো কাজ করে, তবে পার্থক্য হলো—অনলাইন প্রসেসিং-এ সামান্য দেরি ব্যবহারকারীর বড় ক্ষতি না করলেও রিয়েল-টাইম প্রসেসিং-এ দেরি হলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
-
এ ধরনের সিস্টেম সাধারণত ব্যবহৃত হয় এমবেডেড সিস্টেম, রোবোটিক্স, অটোমোটিভ কন্ট্রোল সিস্টেম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল সিস্টেম প্রভৃতিতে।
-
উদাহরণ: টিকেট বুকিং সিস্টেম, এয়ারক্রাফট কন্ট্রোল সিস্টেম, মেডিকেল লাইফ-সাপোর্ট ডিভাইস।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ Real-Time Operating System:
-
QNX
-
FreeRTOS
-
ThreadX
0
Updated: 4 weeks ago
নিচের কোনটি মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেমের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
Linux
B
CP/M
C
Windows 95
D
Palm OS
মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেম হলো এমন একটি সিস্টেম যা একাধিক ব্যবহারকারীকে একই সময়ে একটি কম্পিউটারে কাজ করার সুযোগ প্রদান করে।
• মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য:
-
ব্যবহারকারীরা আলাদা একাউন্টের মাধ্যমে লগইন করতে পারে
-
CPU, মেমরি ও ডাটা ফাইল শেয়ার করা যায়
-
একই সময়ে একাধিক ব্যবহারকারী কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে
-
উদাহরণ: Linux, Unix, Windows NT Server, Android, Windows 2003/2008 Server
• সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম:
-
একই সময়ে শুধুমাত্র একজন ব্যবহারকারীকে কাজ করার সুযোগ দেয়
-
অনেক সময় সিঙ্গেল টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম নামেও পরিচিত
-
উদাহরণ: CP/M, Symbian OS, Palm OS, MS-DOS, PC-DOS, Windows 95/98
• উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে Linux হলো মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেমের চমৎকার উদাহরণ
-
Palm OS, CP/M এবং Windows 95 মূলত সিঙ্গেল ইউজার সিস্টেম
• উৎস: মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
কোনটি অপারেটিং সিস্টেমের ফাইল সিস্টেম নয়?
Created: 3 weeks ago
A
FAT16
B
HTTP
C
NTFS
D
HPFS
HTTP কম্পিউটারের ফাইল সিস্টেম নয়। এটি একটি নেটওয়ার্ক প্রোটোকল, যা মূলত ওয়েব পেজ ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
• ফাইল ম্যানেজমেন্ট:
-
ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হলো কম্পিউটারের ফাইল এবং ডেটার সংরক্ষণ ও সংগঠনের পদ্ধতি।
-
অপারেটিং সিস্টেম মূলত ফাইল তৈরি, অ্যাক্সেস, কপি, ডিলিট ইত্যাদি কাজ করে থাকে।
-
অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো প্রধান মেমোরিতে ফাইল ও অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম আনা এবং তাদের কার্যকরভাবে পরিচালনা করা।
-
বর্তমান কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম সাধারণত চার ধরনের ফাইল সিস্টেমের যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারে।
• ফাইল সিস্টেমের উদাহরণ:
-
FAT16
-
FAT32
-
HPFS
-
NTFS
0
Updated: 3 weeks ago