নিচের কোনটি কম্পিউটার সিস্টেমের কর্মক্ষমতায় কোনো ভূমিকা রাখে না?
A
Size of RAM
B
Size of ROM
C
Size of Cache Memory
D
Size of Register
উত্তরের বিবরণ
কম্পিউটার সিস্টেমের কর্মক্ষমতা মূলত নির্ভর করে এর RAM, Cache Memory এবং Register-এর গতি ও ধারণক্ষমতার উপর। কিন্তু ROM (Read Only Memory)-এর আকার বা পরিমাণ কম্পিউটারের কর্মক্ষমতায় কোনো প্রভাব ফেলে না। কারণ ROM শুধুমাত্র তথ্য পড়ার (Read) কাজ করতে পারে, এতে নতুন কিছু লিখা, পরিবর্তন বা সংযোজন করা যায় না। তাই এর আকার বৃদ্ধি পেলেও কম্পিউটারের গতি বা পারফরম্যান্সে কোনো পরিবর্তন ঘটে না।
ROM-এর বৈশিষ্ট্য:
-
ROM (Read Only Memory) একটি স্থায়ী মেমোরি বা নন-ভোলাটাইল মেমোরি, যেখানে তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে।
-
এটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের স্টোরেজ সিস্টেম হিসেবে কাজ করে।
-
কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় ROM-এ সংরক্ষিত প্রোগ্রামগুলো (যেমন BIOS বা Boot Program) কম্পিউটারকে প্রাথমিকভাবে চালু করতে সহায়তা করে।
-
বিদ্যুৎ চলে গেলেও ROM-এর তথ্য অক্ষত থাকে।
-
যেহেতু ROM-এ তথ্য পরিবর্তন করা যায় না, তাই এর আকার বা পরিমাণ সিস্টেমের কর্মক্ষমতায় কোনো ভূমিকা রাখে না।
অন্যদিকে, কম্পিউটারের পারফরম্যান্স বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নিম্নলিখিত মেমোরিগুলো—
RAM (Random Access Memory):
-
এটি মাদারবোর্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত একটি অস্থায়ী মেমোরি।
-
RAM-এ তথ্য শুধু তখনই সংরক্ষিত থাকে, যতক্ষণ কম্পিউটার চালু থাকে; বিদ্যুৎ বন্ধ হলে সমস্ত তথ্য মুছে যায়।
-
এতে পঠন ও লিখন উভয় কাজই করা যায়।
-
RAM-এর পরিমাণ যত বেশি হবে, কম্পিউটারের মাল্টি-টাস্কিং ও ডেটা প্রক্রিয়াকরণ তত দ্রুত হবে।
-
তাই RAM-এর আকার সরাসরি কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
Cache Memory:
-
Cache Memory হলো এমন একটি দ্রুতগতির মেমোরি, যা RAM ও CPU-এর মধ্যে অবস্থিত।
-
কম্পিউটার যেসব ডেটা বারবার ব্যবহার করে, সেগুলো Cache-এ অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
-
Cache-এর গতি বেশি হওয়ায় CPU-কে RAM থেকে বারবার ডেটা আনতে হয় না, ফলে ডেটা প্রক্রিয়াকরণে সময় কম লাগে।
-
Cache Memory যত দ্রুত ও বড় হবে, কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা তত বৃদ্ধি পাবে।
Register:
-
Register হলো মাইক্রোপ্রসেসরের অভ্যন্তরীণ অস্থায়ী মেমোরি, যা ফ্লিপ-ফ্লপ সার্কিট দ্বারা গঠিত।
-
এর কাজ হলো CPU-তে চলমান প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত ডেটা সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করা।
-
Register-এর গতি অন্যান্য মেমোরির তুলনায় অনেক বেশি, কারণ এটি সরাসরি প্রসেসরের ভেতরে অবস্থিত।
-
মাইক্রোপ্রসেসর যখন গাণিতিক বা যৌক্তিক কাজ সম্পাদন করে, তখন ডেটা দ্রুত প্রক্রিয়া করার জন্য Register ব্যবহার করা হয়।
সব মিলিয়ে, কম্পিউটারের পারফরম্যান্স নির্ভর করে মূলত RAM, Cache Memory ও Register-এর উপর, কিন্তু ROM-এর আকার বা ক্ষমতা কম্পিউটারের গতি বা দক্ষতায় কোনো প্রভাব ফেলে না।
0
Updated: 1 week ago
কম্পিউটারের সবচেয়ে নিচের স্তরের ভাষাকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
প্রাকৃতিক ভাষা
B
উচ্চস্তরের ভাষা
C
অ্যাসেম্বলি ভাষা
D
মেশিন ভাষা
মেশিন ভাষা হলো কম্পিউটারের সবচেয়ে নিচের স্তরের ভাষা, যা কম্পিউটারের নিজস্ব ভাষা বা নিম্নস্তরের ভাষা হিসেবে পরিচিত। এটি কম্পিউটারের মৌলিক ভাষা এবং শুধুমাত্র এই ভাষাতেই কম্পিউটার কার্যনির্বাহ করতে পারে।
-
গঠন: বাইনারি সংখ্যা (1 ও 0) বা হেক্সাডেসিম্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করে লেখা হয়
-
বৈশিষ্ট্য: কম্পিউটার শুধুমাত্র মেশিন ভাষা বুঝতে পারে
-
অনুবাদ: অন্য কোনো উচ্চ স্তরের ভাষায় প্রোগ্রাম লেখা হলে, কম্পিউটার কার্যনির্বাহের আগে অনুবাদক (Translator) ব্যবহার করে তা মেশিন ভাষায় রূপান্তরিত হয়
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
আধুনিক কম্পিউটারে CPU সাধারণত কোথায় থাকে?
Created: 1 month ago
A
আলাদা আলাদা সার্কিট বোর্ডে
B
ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট চিপে
C
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটে
D
র্যাম চিপে
সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU)
-
সংজ্ঞা: CPU হলো যেকোনো ডিজিটাল কম্পিউটার সিস্টেমের প্রধান অংশ এবং এটি কম্পিউটারের "ফিজিক্যাল হার্ট" হিসেবে কাজ করে।
-
গঠন:
১. প্রধান মেমরি (Main Memory)
২. কন্ট্রোল ইউনিট (Control Unit)
৩. অ্যারিথমেটিক-লজিক ইউনিট (ALU – Arithmetic Logic Unit) -
কাজ:
-
কন্ট্রোল ইউনিট কম্পিউটারের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় করে।
-
প্রধান মেমরি থেকে নির্দেশাবলী নির্বাচন, পুনরুদ্ধার ও ব্যাখ্যা করে সিস্টেমের অন্যান্য অংশ সক্রিয় করে।
-
ALU মৌলিক গাণিতিক ফাংশন (যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ) এবং লজিক অপারেশন সম্পাদন করে।
-
-
আধুনিক রূপ: আধুনিক কম্পিউটারে CPU সাধারণত একটি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC) চিপে থাকে, যাকে মাইক্রোপ্রসেসর বলা হয়।
-
সংযুক্তি: CPU বিভিন্ন ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস এবং সহায়ক স্টোরেজ ইউনিটের সাথে সংযুক্ত থাকে।
উৎস: ব্রিটানিকা
0
Updated: 1 month ago