দ্বিপদ নামকরণে দ্বিতীয় নামটি নির্দেশ করে-
A
প্রজাতি
B
বর্গ
C
রাজ্য
D
শ্রেণি
উত্তরের বিবরণ
দ্বিপদ নামকরণ হলো জীবজগতের প্রতিটি প্রজাতিকে বৈজ্ঞানিকভাবে সনাক্ত ও শ্রেণিবদ্ধ করার একটি নির্ভুল ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। এই নামকরণ প্রথায় প্রতিটি জীবের নাম দুটি অংশে বিভক্ত থাকে— প্রথম অংশটি গণের নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতির নাম নির্দেশ করে। এর মাধ্যমে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ প্রাণী ও উদ্ভিদকে বৈজ্ঞানিকভাবে সনাক্ত করা সহজ হয় এবং বিভ্রান্তি এড়ানো যায়।
দ্বিপদ নামকরণের ধারণা ও ভিত্তি:
-
জীবজগতের বিপুল বৈচিত্র্যকে বোঝার জন্য বিজ্ঞানীরা শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
-
প্রাণীর দেহগঠন, বৈশিষ্ট্য, আচরণ এবং পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে জীবদের বিভিন্ন দলে ভাগ করা হয়।
-
এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় শ্রেণিবিন্যাস, যা জীববিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (Taxonomy) হিসেবে স্বতন্ত্র রূপ পেয়েছে।
-
শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে প্রতিটি জীবের অবস্থান ধাপে ধাপে নির্ধারণ করা হয়, যার সর্বনিম্ন ধাপ হলো প্রজাতি (Species)।
-
উদাহরণস্বরূপ, মানুষ, কুনোব্যাঙ, কবুতর প্রভৃতি আলাদা আলাদা প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃত।
দ্বিপদ নামকরণের নিয়ম ও কাঠামো:
-
জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ নিয়ে গঠিত হয়—
-
প্রথম অংশটি গণের নাম (Genus),
-
দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতির নাম (Species)।
-
-
এই নামগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোড অনুযায়ী নির্ধারিত হয়—
-
উদ্ভিদের নাম International Code of Botanical Nomenclature (ICBN) অনুসারে,
-
প্রাণীর নাম International Code of Zoological Nomenclature (ICZN) অনুসারে নির্ধারিত হয়।
-
-
বৈজ্ঞানিক নাম সর্বদা ল্যাটিন বা ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়।
-
নাম লেখার সময় গণের নামের প্রথম অক্ষর বড় হাতের (capital) হয় এবং প্রজাতির নাম ছোট হাতের অক্ষরে (small letter) লেখা হয়। পুরো নাম ইটালিক হরফে (italic) বা হাতে লেখার ক্ষেত্রে আন্ডারলাইন দিয়ে লিখতে হয়।
দ্বিপদ নামকরণের উদ্ভাবক:
-
এই পদ্ধতির প্রবর্তক হলেন সুইডিশ প্রকৃতিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস, যাকে “শ্রেণিবিন্যাসের জনক” বলা হয়।
-
তিনি প্রথম জীবদের বৈজ্ঞানিকভাবে শ্রেণিবিন্যাস করেন এবং দ্বিপদ নামকরণের নিয়ম প্রবর্তন করেন।
-
উদাহরণস্বরূপ, মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Homo sapiens, যেখানে “Homo” হলো গণের নাম এবং “sapiens” হলো প্রজাতির নাম।
দ্বিপদ নামকরণ প্রথা বিশ্বজুড়ে একক মানদণ্ডে জীবজগতকে চিহ্নিত করার সুযোগ দিয়েছে, ফলে কোনো জীবের পরিচয়ে ভাষাগত বা আঞ্চলিক বিভ্রান্তি থাকে না।
0
Updated: 1 week ago
দ্বিপদ নামকরণের বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশ কী নির্দেশ করে?
Created: 1 month ago
A
পরিবার
B
প্রজাতি
C
গণ
D
শ্রেণি
বিপুল সংখ্যক প্রাণীর গঠন, প্রকৃতি এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে শ্রেণিবিন্যাস প্রয়োজন। প্রাণীর দেহে বিদ্যমান বৈশিষ্ট্য, প্রাণীর মধ্যে মিল-অমিল এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে জীবজগতকে ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করা হয়, যাকে শ্রেণিবিন্যাস বলা হয়। জীববিজ্ঞানের এই বিশেষ শাখাটিকে শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা বলা হয়। ইতিহাসে অ্যারিস্টটল, জন রে এবং ক্যারোলাস লিনিয়াস এই ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ক্যারোলাস লিনিয়াসকে শ্রেণিবিন্যাসের জনক বলা হয়। তিনি প্রথমবার প্রজাতির বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করে দ্বিপদ নামকরণ বা বৈজ্ঞানিক নামকরণ প্রথা প্রবর্তন করেন।
দ্বিপদ নামকরণের মূল বৈশিষ্ট্য:
-
একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুই অংশে বিভক্ত থাকে।
-
প্রথম অংশে থাকে গণ (Genus) এবং দ্বিতীয় অংশে থাকে প্রজাতি (Species)।
-
বৈজ্ঞানিক নাম সাধারণত ল্যাটিন বা ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়।
-
উদাহরণ: মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens।
কিছু প্রাণী ও উদ্ভিদের দ্বিপদ নাম:
-
ধান ⇔ Oryza sativa
-
পাট ⇔ Corchorus capsularis
-
আম ⇔ Mangifera indica
-
কাঁঠাল ⇔ Artocarpus heterophyllus
-
শাপলা ⇔ Nymphaea nouchali
-
জবা ⇔ Hibiscus rosa-sinensis
-
কলেরা জীবাণু ⇔ Vibrio cholerae
-
ম্যালেরিয়া জীবাণু ⇔ Plasmodium vivax
-
আরশোলা ⇔ Periplaneta americana
-
মৌমাছি ⇔ Apis indica
-
ইলিশ ⇔ Tenualosa ilisha
-
কুনো ব্যাঙ ⇔ Duttaphrynus melanostictus (Bufo melanostictus)
-
দোয়েল ⇔ Copsychus saularis
-
রয়েল বেঙ্গল টাইগার ⇔ Panthera tigris
0
Updated: 1 month ago