প্রকৃতিতে মৌলিক বল কয়টি?
A
2 টি
B
3 টি
C
4 টি
D
5 টি
উত্তরের বিবরণ
বল হলো এমন একটি ভৌত রাশি, যা কোনো বস্তুর গতি বা অবস্থার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। এটি স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে পারে অথবা গতিশীল বস্তুর গতি পরিবর্তন করতে পারে। বলের কারণে বস্তু একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট বা বিকর্ষিত হয়, এবং এটি সর্বদা জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে। প্রকৃতিতে বলের বিভিন্ন ধরন থাকলেও মূলত চার প্রকার মৌলিক বল বিদ্যমান, যা সমগ্র মহাবিশ্বের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে।
-
বল হলো এমন একটি প্রভাব, যা কোনো স্থির বস্তুকে গতিশীল করে বা গতিশীল বস্তুর গতিতে পরিবর্তন আনে।
-
বল সবসময় জোড়ায় ক্রিয়া করে, অর্থাৎ এক বস্তু অন্য বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করলে বিপরীত দিকেও সমান বল কাজ করে।
-
প্রকৃতির চারটি মৌলিক বল হলো মহাকর্ষ বল, তাড়িতচৌম্বক বল, দুর্বল নিউক্লীয় বল এবং সবল নিউক্লীয় বল।
মহাকর্ষ বল:
যে বলের মাধ্যমে সমস্ত ভরযুক্ত বস্তু একে অপরকে আকর্ষণ করে, সেটিই মহাকর্ষ বল। এটি মহাবিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বল। গ্যালাক্সিতে নক্ষত্রদের পরিক্রমণ, সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর ঘূর্ণন কিংবা পৃথিবীকে কেন্দ্র করে চাঁদের আবর্তন—সবই এই বলের প্রভাবে ঘটে। পৃথিবীর মহাকর্ষ বল আমাদের দেহের ওপর কাজ করে, যাকে বলা হয় মধ্যাকর্ষণ বল। এই বল আমাদের নিচের দিকে টেনে রাখে, ফলে আমরা ওজন অনুভব করতে পারি। যেকোনো ভরযুক্ত বস্তু অন্য বস্তুকে এই বলের মাধ্যমে আকর্ষণ করতে সক্ষম।
তাড়িতচৌম্বক বা বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় বল:
দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরের ওপর যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল প্রয়োগ করে তাকে তাড়িতচৌম্বক বল বলা হয়। এই বল বিদ্যুৎ ও চৌম্বকতার পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে কাজ করে এবং এটি দৈনন্দিন জীবনের অনেক ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণ করে যেমন চুম্বকের আকর্ষণ, বৈদ্যুতিক প্রবাহ, আলোর বিস্তার ইত্যাদি।
দুর্বল নিউক্লীয় বল:
এই বলকে দুর্বল বলা হয় কারণ এটি তাড়িতচৌম্বক বলের তুলনায় অনেক দুর্বল, প্রায় ট্রিলিয়ন গুণ কম শক্তিশালী। তবে এটি মহাকর্ষ বলের চেয়ে দুর্বল নয়। দুর্বল নিউক্লীয় বল খুব ক্ষুদ্র দূরত্বে কাজ করে, প্রায় ১০⁻¹⁸ মিটার পর্যন্ত। এটি মূলত পরমাণুর কেন্দ্রকে প্রভাবিত করে এবং বিকিরণ ও তেজস্ক্রিয় ক্ষয় প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সবল নিউক্লীয় বল:
সবল নিউক্লীয় বল হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বল, যা তাড়িতচৌম্বক বলের চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। তবে এটি খুব অল্প দূরত্বে, প্রায় ১০⁻¹⁵ মিটার, কাজ করে। এই বলই পরমাণুর নিউক্লিয়াসের প্রোটন ও নিউট্রনকে একত্রে ধরে রাখে, যাতে তারা বিচ্ছিন্ন না হয়ে স্থিতিশীল থাকে। সূর্যে সংঘটিত নিউক্লীয় বিক্রিয়ার মাধ্যমে যে আলো ও তাপ উৎপন্ন হয়, তার উৎস এই সবল নিউক্লীয় বল।
সবশেষে বলা যায়, এই চারটি মৌলিক বলই মহাবিশ্বের প্রতিটি গতিবিধি ও পারস্পরিক ক্রিয়ার ভিত্তি গড়ে তোলে। এগুলোর ভারসাম্যই বস্তুজগতের স্থিতি ও গতিশীলতার মূল কারণ।
0
Updated: 1 week ago
ফোটন কণা কোন ধরনের বল বহন করে?
Created: 1 month ago
A
তড়িৎ বল
B
চৌম্বক বল
C
তড়িৎচৌম্বক বল
D
মাধ্যাকর্ষণ বল
ফোটন (Photon)
-
সংজ্ঞা ও প্রকৃতি:
-
ফোটন হলো তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের কণা (Quantum of Electromagnetic Radiation)।
-
ফোটনের নিশ্চল ভর শূন্য (0)।
-
প্রতিটি ফোটন কণার শক্তি তার কম্পাংকের উপর নির্ভরশীল।
-
প্রতিটি ফোটন তড়িৎ নিরপেক্ষ।
-
-
কোয়ান্টাম তত্ত্বের প্রাসঙ্গিকতা:
-
তাড়িতচৌম্বক বিকিরণ শুধু তরঙ্গ নয়, বরং কণার স্রোত হিসেবে আচরণ করে।
-
নিউটনীয় বলবিদ্যায় ফোটনের ভর ব্যাখ্যা করা যায় না।
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago