বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-মেইল সার্ভিস কোনটি?
A
Yohoo mail
B
Gmail
C
Hotmail
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
বর্তমান যুগে যোগাযোগের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও দ্রুত মাধ্যমগুলোর একটি হলো ই-মেইল। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি তাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য ই-মেইল সার্ভিস ব্যবহার করে থাকে। অনেক কোম্পানি ই-মেইল সার্ভিস প্রদান করলেও এর মধ্যে Gmail বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত সেবা হিসেবে স্বীকৃত। এর ব্যবহার সহজ, নিরাপদ এবং বহুমুখী সুবিধার কারণে এটি বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
Gmail-এর জনপ্রিয়তার পেছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে যা একে অন্যান্য ই-মেইল সার্ভিস থেকে আলাদা করেছে।
সহজ ব্যবহারযোগ্যতা: Gmail-এর ইন্টারফেস খুবই সহজ ও ব্যবহারবান্ধব। নতুন ব্যবহারকারীও সহজে অ্যাকাউন্ট খুলে মেইল পাঠানো, গ্রহণ করা, ফাইল সংযুক্ত করা ইত্যাদি করতে পারেন।
বৃহৎ স্টোরেজ সুবিধা: Gmail ব্যবহারকারীদের জন্য Google 15 GB পর্যন্ত বিনামূল্যে স্টোরেজ প্রদান করে, যা অন্যান্য সার্ভিসের তুলনায় বেশি। এই জায়গায় ই-মেইল, ছবি, ডকুমেন্টসহ নানা ফাইল নিরাপদে রাখা যায়।
স্মার্ট সার্চ অপশন: Gmail-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর শক্তিশালী সার্চ সিস্টেম। ব্যবহারকারী কিওয়ার্ড বা নির্দিষ্ট নাম লিখে দ্রুত যেকোনো পুরোনো ই-মেইল খুঁজে পেতে পারেন।
নিরাপত্তা ও স্প্যাম ফিল্টার: Gmail উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও স্প্যাম ফিল্টার ব্যবহার করে। এটি সন্দেহজনক ই-মেইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্প্যাম ফোল্ডারে স্থানান্তর করে, ফলে ব্যবহারকারীর ইনবক্স থাকে পরিষ্কার ও নিরাপদ।
Google-এর অন্যান্য সেবার সঙ্গে সংযুক্তি: Gmail ব্যবহারকারীরা Google Drive, Google Meet, Google Calendar, Google Docs প্রভৃতি সেবা সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। একক লগইনের মাধ্যমে সব সেবায় প্রবেশ করার সুবিধা ব্যবহারকারীর সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচায়।
মোবাইল অ্যাপ ও মাল্টিপ্ল্যাটফর্ম সাপোর্ট: Gmail মোবাইল, ট্যাবলেট, কম্পিউটারসহ সব প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারযোগ্য। এর অ্যাপ্লিকেশনটি দ্রুত, হালকা ও বিজ্ঞাপনমুক্ত অভিজ্ঞতা দেয়।
বিনামূল্য ও বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ: Gmail সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া ব্যবহারকারী চাইলে বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ ও নোটিফিকেশন সেটিংসও কাস্টমাইজ করতে পারেন।
সবশেষে বলা যায়, Gmail তার উন্নত প্রযুক্তি, সহজ ব্যবহার, নিরাপত্তা এবং Google ইকোসিস্টেমের সঙ্গে সংযোগের কারণে আজ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-মেইল সার্ভিস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি শুধু ব্যক্তিগত ব্যবহারের ক্ষেত্রেই নয়, বরং অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
0
Updated: 1 week ago
নিচের কোন প্রটোকল ব্যবহার করে ইমেইল ক্লায়েন্টরা কারো কম্পিউটারে ই-মেইল ডাউনলোড করে?
Created: 2 days ago
A
TCP
B
FTP
C
POP
D
SMTP
ই-মেইল যোগাযোগে বিভিন্ন প্রটোকল ব্যবহৃত হয় যাতে বার্তা প্রেরণ ও গ্রহণ উভয় প্রক্রিয়া সহজ ও সুরক্ষিতভাবে সম্পন্ন হয়। POP (Post Office Protocol) হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রটোকল যা ব্যবহারকারীর ইমেইল সার্ভার থেকে বার্তাগুলো তাদের নিজস্ব কম্পিউটারে ডাউনলোড করার সুযোগ দেয়। এটি মূলত অফলাইন ইমেইল ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়, যাতে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও বার্তাগুলো পড়া যায়।
POP প্রটোকল সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিচে দেওয়া হলো—
-
POP এর পূর্ণরূপ Post Office Protocol। বর্তমানে এর সবচেয়ে প্রচলিত সংস্করণ POP3।
-
এটি এমন একটি প্রটোকল যা ইমেইল সার্ভার থেকে ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে ইমেইল ডাউনলোড করে, অর্থাৎ ইমেইলগুলো সার্ভারে না রেখে লোকাল ডিভাইসে সংরক্ষণ করে।
-
POP প্রটোকল মূলত “Store and Forward” পদ্ধতিতে কাজ করে। সার্ভার থেকে মেসেজ ডাউনলোডের পর তা সাধারণত সার্ভার থেকে মুছে ফেলা হয়।
-
এটি ইন্টারনেট মেইল অ্যাক্সেসের জন্য একটি ক্লায়েন্ট-সাইড প্রটোকল, যা ব্যবহারকারীকে ইমেইল পড়তে, সংরক্ষণ করতে এবং অফলাইনে অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করে।
-
POP সাধারণত পোর্ট নম্বর ১১০ ব্যবহার করে। তবে নিরাপদ সংযোগের জন্য POP3S (পোর্ট ৯৯৫) ব্যবহার করা হয়।
-
এই প্রটোকল ব্যবহারে মেইলগুলো সার্ভারে না থাকায় একাধিক ডিভাইসে একই ইমেইল দেখা যায় না, যা আধুনিক ক্লাউড-ভিত্তিক ইমেইল ব্যবস্থায় একটি সীমাবদ্ধতা।
অন্য বিকল্পগুলো ব্যাখ্যা করা যাক—
-
TCP (Transmission Control Protocol): এটি ইন্টারনেট যোগাযোগের একটি মৌলিক প্রটোকল, যা ডেটা প্যাকেট সঠিকভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। কিন্তু এটি ইমেইল ডাউনলোডের জন্য ব্যবহৃত হয় না।
-
FTP (File Transfer Protocol): এটি ফাইল স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়, ইমেইল আদান-প্রদানে নয়।
-
SMTP (Simple Mail Transfer Protocol): এটি মেইল পাঠানোর প্রটোকল। অর্থাৎ, SMTP ব্যবহৃত হয় ইমেইল প্রেরণের ক্ষেত্রে, গ্রহণের জন্য নয়।
সুতরাং, ইমেইল ক্লায়েন্ট যখন কোনো ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে ইমেইল ডাউনলোড করতে চায়, তখন POP প্রটোকলই ব্যবহার করে, কারণ এটি সার্ভার থেকে মেইল সংগ্রহের নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর পদ্ধতি।
0
Updated: 2 days ago
ই-মেইল পাঠানোর সময় অতিরিক্ত প্রাপককে কোন ফিল্ডে রাখা হয়?
Created: 1 month ago
A
From
B
CC
C
Subject
D
Body
ই-মেইল পাঠানোর সময় মূল প্রাপকের পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রাপককে CC (Carbon Copy) ফিল্ডে রাখা হয়। ই-মেইল পাঠানোর জন্য কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়।
ই-মেইল পাঠানোর ধাপসমূহ:
১। ই-মেইল কম্পোজ করা
২। ইন্টারনেটে সংযোগ স্থাপন করা
৩। ই-মেইল সেন্ড করা
ই-মেইল কম্পোজ করা:
-
প্রথমে ই-মেইল সফটওয়্যার ওপেন করতে হয় (যেমন: Outlook Express)।
-
এরপর Message → New Message বা To Mail এ ক্লিক করতে হয়।
-
প্রয়োজনীয় ঘরগুলো পূরণ করতে হয়:
-
To: প্রাপকের ঠিকানা
-
From: প্রেরকের ঠিকানা
-
CC, BCC: অতিরিক্ত প্রাপক (প্রয়োজন হলে)
-
Subject: মেইলের বিষয়
-
Attach: ফাইল সংযুক্ত করার জন্য
-
Body: মূল বার্তা লেখার স্থান
-
-
কম্পোজ করা মেইল চাইলে Outbox-এ সেভ করে রাখা যায়।
-
একসাথে অনেকগুলো ই-মেইল তৈরি করে পরবর্তীতে পাঠানো সম্ভব।
ইন্টারনেটে সংযোগ স্থাপন:
-
ডায়াল-আপ নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো সংযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশন নিতে হয়।
ই-মেইল সেন্ড করা:
-
ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়ার পর File → Send Queued Message অথবা Send and Receive বাটনে ক্লিক করলে মেইল পাঠানো হয়।
বর্তমানে ওয়েব-ভিত্তিক ই-মেইল সার্ভিস (যেমন Gmail, Yahoo, Outlook.com) ব্যবহারের ফলে প্রক্রিয়াটি আরও সহজ হয়েছে। শুধু ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই ব্রাউজারের মাধ্যমে সরাসরি ই-মেইল পাঠানো যায়।
0
Updated: 1 month ago