ফলা কয়টি?
A
৪ টি
B
৫ টি
C
৬ টি
D
৭ টি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার বর্ণবিন্যাসে ফলার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত বা রূপান্তরিত রূপ, যা অন্য বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন উচ্চারণ বা শব্দগঠন সৃষ্টি করে। ফলে ফলার ব্যবহার বাংলা লিপিকে আরও সহজ ও গতিময় করে তোলে। ফলার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো—
-
ফলার সংজ্ঞা: ব্যঞ্জনবর্ণ যখন কোনো স্বরবর্ণ বা অন্য ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তার আকারে পরিবর্তন আনে, তখন ব্যঞ্জনবর্ণের সেই সংক্ষিপ্ত রূপকে ফলা বলা হয়। এটি মূলত “যুক্তাক্ষর” গঠনে ব্যবহৃত হয়।
-
ফলার সংখ্যা: বাংলা ভাষায় মোট ৬টি ফলা রয়েছে।
-
এই ছয়টি ফলা হলো:
-
য-ফলা
-
ব-ফলা
-
ম-ফলা
-
র-ফলা
-
ল-ফলা
-
ন-ফলা
-
-
ফলার ব্যবহার:
-
ফলাগুলি কোনো ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তার উচ্চারণে ভিন্নতা আনে।
-
যেমন, “ক্য” (ক + য-ফলা), “দ্ব” (দ + ব-ফলা), “র্ম” (র + ম-ফলা) ইত্যাদি শব্দে ফলার প্রয়োগ দেখা যায়।
-
-
ফলার উদ্দেশ্য:
-
ভাষাকে ধ্বনিগতভাবে সঠিকভাবে প্রকাশ করা।
-
যুক্তাক্ষরের মাধ্যমে শব্দের অর্থ ও ধ্বনি ভেদ স্পষ্ট করা।
-
বাংলা বানানকে সংক্ষিপ্ত, মসৃণ ও ধ্বনিত উপযোগী করে তোলা।
-
-
ফলার ব্যঞ্জনধর্ম:
-
ফলাগুলি নিজেরা স্বতন্ত্র বর্ণ নয়, বরং কোনো ব্যঞ্জনবর্ণের নির্ভরশীল বা আশ্রিত রূপ।
-
ফলার অবস্থান সাধারণত যুক্তাক্ষরের নিচে, পাশে বা উপরেও হতে পারে (যেমন, র-ফলা কখনো নিচে, কখনো উপরে আসে)।
-
-
ফলার উৎপত্তি:
-
সংস্কৃত ও প্রাচীন নাগরী লিপি থেকে বাংলা বর্ণমালা বিকাশের সময় যুক্তাক্ষর প্রথার সঙ্গে ফলার ব্যবহারও গঠিত হয়।
-
ভাষার লিখনরীতি সহজ করতে ফলাগুলিকে পৃথক সংক্ষিপ্ত চিহ্ন হিসেবে স্থির করা হয়।
-
-
উদাহরণসহ প্রয়োগ:
-
য-ফলা: ক + য = ক্য, গ + য = গ্য
-
ব-ফলা: ক + ব = ক্ব, দ + ব = দ্ব
-
ম-ফলা: র + ম = র্ম, স + ম = স্ম
-
র-ফলা: প + র = প্র, ক + র = ক্র
-
ল-ফলা: ক + ল = ক্ল, প + ল = প্ল
-
ন-ফলা: দ + ন = দ্ন, প + ন = প্ন
-
সারসংক্ষেপে বলা যায়, ফলা ব্যঞ্জনবর্ণের রূপান্তরিত প্রতিরূপ, যা বাংলা ভাষার শব্দগঠন ও উচ্চারণে স্বতন্ত্র ছন্দ ও সাবলীলতা এনে দেয়। তাই বাংলা বর্ণমালার মোট ৬টি ফলা ভাষার শৈল্পিক সৌন্দর্য এবং ধ্বনিগত বিশুদ্ধতা রক্ষায় অপরিহার্য।
0
Updated: 1 week ago
শরীর>শরীল- শব্দটিতে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন ধরণের নিয়ম প্রযোজ্য?
Created: 2 months ago
A
সমীভবন
B
বিষমীভবন
C
অসমীভবন
D
ধ্বনিবিপর্যয়
দুটো সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে বিষমীভবন বলে। যেমন - শরীর > শরীল, লাল > নাল ইত্যাদি ।
0
Updated: 2 months ago
'অতি উচ্চ ধ্বনি' এর এক কথায় প্রকাশ কী হবে?
Created: 3 weeks ago
A
অত্যাসন্ন
B
উতরোল
C
মহানাদ
D
অট্টহাস্য
‘অতি উচ্চ ধ্বনি’-এর এক কথায় প্রকাশ হলো মহানাদ। এই শব্দ দ্বারা অত্যন্ত জোরালো বা তীব্র শব্দ বা ধ্বনিকে বোঝানো হয়, যা সাধারণত দূর পর্যন্ত শোনা যায়।
অন্যদিকে—
-
অতি উচ্চ বিকট হাসি — অট্টহাস্য
-
অতি উচ্চ রোল — উতরোল
-
অতি আসন্ন — অত্যাসন্ন
0
Updated: 3 weeks ago
চর্যাপদের কোন কবির প্রকৃত নাম 'শান্তিদেব'?
Created: 1 month ago
A
কাহ্নপা
B
লুইপা
C
ভুসুকুপা
D
ভাদেপা
চর্যাগীতির ইতিহাসে ভুসুকুপা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী হিসেবে পরিচিত এবং তাঁর রচিত পদগুলো চর্যাপদ গ্রন্থে সংরক্ষিত।
-
সংগ্রহিত পদ: মোট আটটি পদ চর্যাপদে অন্তর্ভুক্ত।
-
নামের ব্যাখ্যা: নানা কিংবদন্তি অনুযায়ী ভুসুকুপা নামটিকে ছন্দের নাম হিসেবে ধরা হয়। প্রকৃত নাম ছিল শান্তিদেব।
-
কালক্রম: ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, শান্তিদেব ভুসুকু সপ্তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জীবনযাপন করেছিলেন।
-
জীবনকাল: তাঁর জীবৎকালের শেষ সীমা ৮০০ সাল।
-
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: ধর্মপালের রাজত্বকালে (৭৭০-৮০৬ সাল) ভুসুকুপা সক্রিয় ছিলেন।
0
Updated: 1 month ago