"পরীক্ষা" এর সন্ধি বিচ্ছেদ
A
পরি + এক্ষা
B
পরি + ঈক্ষা
C
পরি + ইক্ষা
D
পর + ঈক্ষা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় সন্ধি হলো এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে দুটি শব্দ বা ধাতু মিলিত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে এবং মিলনের সময় তাদের স্বর বা ব্যঞ্জনধ্বনিতে পরিবর্তন ঘটে। “পরীক্ষা” শব্দটি এমনই এক সন্ধির ফল, যা মূলত “পরি” ও “ঈক্ষা” শব্দের মিলনে গঠিত। এখানে স্বরসন্ধির মাধ্যমে শব্দের ধ্বনি পরিবর্তিত হয়েছে।
‘পরি’ উপসর্গ: ‘পরি’ একটি সাধারণ উপসর্গ, যার অর্থ “চারপাশে”, “সম্পূর্ণভাবে” বা “বিশেষভাবে”। এটি প্রায়ই মূল শব্দের অর্থকে আরও জোরালো করে তোলে।
-
‘ঈক্ষা’ ধাতু: ‘ঈক্ষা’ শব্দের অর্থ হলো দেখা বা পর্যবেক্ষণ করা। সংস্কৃত মূল “ईक्ष” (īkṣa) ধাতু থেকে এর উৎপত্তি।
-
সন্ধির ধরন: “পরি” এবং “ঈক্ষা” যোগে “পরীক্ষা” শব্দে স্বরসন্ধি ঘটেছে। এখানে প্রথম শব্দের ‘ই’ এবং দ্বিতীয় শব্দের ‘ঈ’ মিলিত হয়ে দীর্ঘ স্বর ‘ঈ’ রূপে প্রকাশিত হয়েছে।
-
রূপান্তর ব্যাখ্যা:
-
পরি + ঈক্ষা → পরি + ঈক্ষা (স্বরসন্ধির ফলে উচ্চারণে একীভূত হয়)
-
মিলিত শব্দের রূপ দাঁড়ায় পরীক্ষা
-
-
অর্থগত বিশ্লেষণ:
-
“পরি” অর্থে “চারপাশ থেকে” এবং “ঈক্ষা” অর্থে “দেখা” — এই দুটি মিলিয়ে “পরীক্ষা” অর্থ দাঁড়ায় ‘চারপাশ থেকে দেখা’ বা ‘নিরীক্ষণ করা’।
-
তাই বর্তমান ব্যবহারে “পরীক্ষা” মানে হচ্ছে “নিরীক্ষণ বা যাচাই প্রক্রিয়া।”
-
-
ব্যাকরণগত দৃষ্টিতে:
-
এটি স্বরসন্ধির অন্তর্গত, বিশেষ করে ই + ঈ = ঈ ধরনের সন্ধি।
-
এই নিয়ম অনুযায়ী ‘ই’ ধ্বনি এবং ‘ঈ’ ধ্বনি একত্র হলে উচ্চারণে দীর্ঘ ‘ঈ’ রূপে থাকে।
-
-
আরও কিছু উদাহরণ:
-
নিঃ + ঈশ্বর = নীশ্বর → নিঃঈশ্বর (অর্থ: ঈশ্বরহীন)
-
প্রতি + ইন্দ্রিয় = প্রত্যেন্দ্রিয় → প্রতি + ইন্দ্রিয় (অর্থ: প্রতিটি ইন্দ্রিয়)
-
সুতরাং, “পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা” একটি স্বরসন্ধিজাত শব্দ, যার অর্থ দাঁড়ায় ‘নিরীক্ষা’ বা ‘পর্যবেক্ষণ’। এই সন্ধির মাধ্যমে শব্দের ধ্বনি মসৃণ ও উচ্চারণে সহজ হয়েছে, যা বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক সৌন্দর্যের একটি উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
0
Updated: 1 week ago
'শিরশ্ছেদ' শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ -
Created: 3 months ago
A
শির + ছেদ
B
শিরঃ + ছেদ
C
শিরশ্ + ছেদ
D
শির + উচ্ছেদ
• 'শিরশ্ছেদ' শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ - 'শিরঃ + ছেদ'।
• বিসর্গ সন্ধির নিয়ম:
বিসর্গের পর অঘােষ অল্পপ্রাণ কিংবা মহাপ্রাণ তালব্য ব্যঞ্জন থাকলে বিসর্গের স্থলে তালব্য শিশ ধ্বনি হয়, অঘােষ অল্পপ্রাণ কিংবা অঘােষ মহাপ্রাণ মূর্ধন্য ব্যঞ্জন থাকলে বিসর্গ স্থলে মূর্ধন্য শিশ ধ্বনি হয়, অঘােষ অল্পপ্রাণ কিংবা অঘােষ মহাপ্রাণ দন্ত্য ব্যঞ্জনের স্থলে দন্ত্য শিশ ধ্বনি হয়।
যেমন:
• সূত্র: ( ঃ + চ / ছ = শ + চ / ছ),
- নিঃ + চয় = নিশ্চয়।
- শিরঃ + ছেদ = শিরশ্ছেদ।
• সূত্র: (ঃ + ট / ঠ = ষ + ট/ ঠ),
- ধনুঃ + টঙ্কার = ধনুষ্টঙ্কার।
- নিঃ + ঠুর = নিষ্ঠুর।
• সূত্র: (ঃ + ত / থ = স + ত / থ),
- দুঃ +তর = দুস্তর।
- দুঃ +থ = দুস্থ।
0
Updated: 3 months ago
'ভাস্কর’ - এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ভাস + কর
B
ভাস + অর
C
ভাস্ + বর
D
ভাঃ + কর
• ‘ভাস্কর’ শব্দের শুদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ:
-
ভাঃ + কর = ভাস্কর
• বিসর্গ সন্ধি:
সংস্কৃত সন্ধির নিয়ম অনুযায়ী পদের অন্তস্থিত র্ ও স্ অনেক ক্ষেত্রে অঘোষ উষ্মধ্বনি অর্থাৎ হ ধ্বনিরূপে উচ্চারিত হয় এবং তা বিসর্গ (ঃ) হিসেবে লেখা হয়।
-
র্ ও স্ বিসর্গ ব্যঞ্জনধ্বনিমালার অন্তর্গত, তাই বিসর্গ সন্ধি ব্যঞ্জনসন্ধির অন্তর্গত।
-
বিসর্গ আসলে র্ এবং স্ এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
-
বিসর্গকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
১. র্-জাত বিসর্গ
২. স্-জাত বিসর্গ
বিসর্গের সাথে স্বর বা ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি ঘটে তাকে বিসর্গ সন্ধি বলা হয়।
• কিছু বিশেষ বিসর্গ সন্ধির উদাহরণ:
-
বাচঃ + পতি = বাচস্পতি
-
ভাঃ + কর = ভাস্কর
-
অহঃ + নিশা = অহর্নিশ
-
অহঃ + অহ = অহরহ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 1 month ago
'সন্ধি' ব্যাকরণের কোন তত্ত্বে আলোচিত হয়?
Created: 2 months ago
A
ধ্বনিতত্ত্ব
B
রূপতত্ত্ব
C
বাক্যতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
ধ্বনিতত্ত্ব
ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় হলো ধ্বনি। লিখিত ভাষায় ধ্বনি প্রকাশ পায় বর্ণের মাধ্যমে। তাই বর্ণমালা সম্পর্কিত আলোচনা ধ্বনিতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত। ধ্বনিতত্ত্ব মূলত আলোচনা করে বাগ্যন্ত্র, উচ্চারণ প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য এবং ধ্বনিদল নিয়ে।
ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়সমূহ
১. ধ্বনি
২. বর্ণ
৩. ধ্বনির উচ্চারণ প্রণালি
৪. উচ্চারণের স্থান
৫. ধ্বনি পরিবর্তন ও লোপ
৬. ষ-ত্ব বিধান
৭. ণ-ত্ব বিধান
৮. সন্ধি
0
Updated: 2 months ago