যোজক কাকে বলে?
A
পদ
B
বর্গ
C
বাক্য
D
সবগুলোই
উত্তরের বিবরণ
যোজক এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ, যা ভাষার গঠনকে সংযোজিত ও অর্থবহ করে তোলে। এটি বাক্যের মধ্যে বিভিন্ন পদ, বাক্যাংশ বা বাক্যকে যুক্ত করে অর্থের ঐক্য সৃষ্টি করে। বাংলা ভাষায় যোজকের ব্যবহার বাক্যের সুষমা ও যুক্তির ধারাবাহিকতা বজায় রাখে। যোজক সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ:
-
সংজ্ঞা: যেসব শব্দ একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য বাক্য বা বাক্যের অংশবিশেষের সংযোজন, বিয়োজন বা সম্পর্ক স্থাপন করে, তাদের যোজক বলা হয়।
-
মূল কাজ: যোজকের প্রধান কাজ হলো দুটি বা ততোধিক শব্দ, পদবন্ধ, উপবাক্য বা বাক্যকে যুক্ত করা, যাতে বাক্যের মধ্যে সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।
-
ব্যবহারিক দিক: এটি বাক্যকে জটিল না করে, বরং অর্থগতভাবে আরও সম্পূর্ণ ও সুন্দর করে তোলে।
-
যোজকের প্রকারভেদ:
-
সমুচ্চয় যোজক: দুটি সমপদ বা সমার্থক অংশ যুক্ত করে। যেমন— এবং, আর, ও, কিংবা, অথবা।
-
অধোজ্ঞাপক যোজক: একটি অংশ অপর অংশের অধীনতা প্রকাশ করে। যেমন— যদিও, যদি, কারণ, যেন, যাতে।
-
-
উদাহরণ:
-
রবি এবং রিমা আজ স্কুলে গেছে।
-
তুমি এলে আর আমি গেলাম।
-
যদি বৃষ্টি হয় তবে মাঠে খেলা হবে না।
-
-
ব্যাকরণে গুরুত্ব:
যোজক ছাড়া বাক্যের ভাব অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এটি ভাষার গঠন ও ভাব প্রকাশের ভারসাম্য রক্ষা করে। -
বাক্যে অবস্থান: সাধারণত দুই পদের বা বাক্যের মাঝখানে ব্যবহৃত হয়, তবে কখনও কখনও বাক্যের শুরুতেও আসতে পারে।
-
অর্থগত ভূমিকা: যোজক শুধু সংযোগ নয়, বাক্যের আবেগ, কারণ, ফলাফল, তুলনা ও শর্ত প্রকাশেও ভূমিকা রাখে।
-
ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধি: যোজকের সঠিক প্রয়োগ ভাষাকে সাবলীল, সংগঠিত ও শ্রুতিমধুর করে তোলে।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, যোজক হলো এমন এক পদ যা শব্দ, পদবন্ধ ও বাক্যকে যুক্ত করে সম্পূর্ণ অর্থবোধক বাক্য রচনা করতে সহায়তা করে। এটি ভাষার কাঠামোগত ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ভাব প্রকাশকে প্রাঞ্জল করে তোলে।
0
Updated: 1 week ago
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন MCQ সমাধানঃ কোনটির মধ্য দিয়ে একটি দেশ এবং দেশের মানুষকে জানা যায়?
Created: 1 week ago
A
সাহিত্যচর্চা
B
ইতিহাসচর্চা
C
ধর্মচর্চা
D
শিল্পকলাচর্চা
একটি দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, বিশ্বাস ও মানুষের জীবনধারার প্রতিফলন ঘটে তার শিল্পকলার মাধ্যমে। শিল্প শুধু সৌন্দর্য প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি জাতির মানসিকতা, চিন্তাধারা ও জীবনের অভিজ্ঞতাকে রূপ দেয়। তাই শিল্পকলাচর্চার মাধ্যমে আমরা একটি দেশের প্রকৃতি, সমাজ ও মানুষের অন্তরজগৎ সম্পর্কে গভীর ধারণা লাভ করতে পারি।
শিল্পকলার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় প্রকাশ: প্রতিটি দেশের নিজস্ব শিল্পরূপ থাকে—যেমন চিত্রকলা, সংগীত, নৃত্য, ভাস্কর্য বা স্থাপত্য। এসব শিল্পকর্মে ফুটে ওঠে দেশের ঐতিহ্য ও জীবনধারা। যেমন বাংলাদেশের পটচিত্র, নকশিকাঁথা, বাউলগান আমাদের সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি।
মানুষের আবেগ ও ভাবপ্রকাশের মাধ্যম: শিল্পকলা মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশা প্রকাশের পথ। একজন শিল্পী তাঁর দেশের মানুষের অনুভূতি ও স্বপ্নকে শিল্পে রূপ দেন, যা দেশের মানসিক অবস্থা বুঝতে সহায়তা করে।
ইতিহাস ও সমাজের প্রতিফলন: একটি সময়ের শিল্পকর্ম দেখে আমরা সেই সময়ের সমাজব্যবস্থা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারি। যেমন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রকলা বা সংগীত আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরে।
সংস্কৃতির ধারক ও বাহক: শিল্পকলা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সংস্কৃতি স্থানান্তরের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। লোকগান, নাটক বা হস্তশিল্পের মাধ্যমে ঐতিহ্য টিকে থাকে এবং জাতিসত্তা দৃঢ় হয়।
আন্তর্জাতিক পরিচিতি গঠনে ভূমিকা: শিল্পকলার মাধ্যমেই একটি দেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করে। যেমন বাংলাদেশের শিল্পী জয়নুল আবেদিন বা রেনেসাঁর যুগের ইউরোপীয় শিল্পীরা তাঁদের দেশের সাংস্কৃতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সমাজসংস্কারের হাতিয়ার: শিল্প মানুষের চিন্তা বদলে দিতে পারে। নাটক, চলচ্চিত্র বা চিত্রকলার মাধ্যমে সমাজে অন্যায়, বৈষম্য বা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি হয়।
মানবিকতা ও সৌন্দর্যবোধ জাগিয়ে তোলে: শিল্পচর্চা মানুষকে সংবেদনশীল ও নৈতিক করে তোলে। এটি মানুষকে কেবল ভোগবাদ থেকে সরিয়ে মানবতার দিকে ফিরিয়ে আনে।
শিল্পকলাচর্চা কোনো দেশের কেবল সাংস্কৃতিক প্রকাশ নয়, এটি জাতির আত্মার প্রতিচ্ছবি। এর মাধ্যমে জানা যায় দেশের ইতিহাস, মানুষ, জীবনদর্শন ও সভ্যতার অগ্রযাত্রা। তাই একটি দেশ ও তার মানুষকে জানার শ্রেষ্ঠ পথ হলো শিল্পকলাচর্চা।
0
Updated: 1 week ago
বিভাঃকিরণঃঃসুবলিতঃ ?
Created: 1 week ago
A
সবিদিত
B
সুগঠিত
C
সুবিনীত
D
বিধিত
উ. খ) সুগঠিত
এই শব্দটি গঠিত হয়েছে ‘সু’ (অর্থে—ভালো) এবং ‘বলিত’ (অর্থে—গঠিত বা নির্মিত) শব্দের সমন্বয়ে। ফলে ‘সুবলিত’ শব্দের অর্থ দাঁড়ায় ভালোভাবে গঠিত, অর্থাৎ সুগঠিত।
– ‘সু’ উপসর্গ সাধারণত ভালো, সুন্দর, উত্তম ইত্যাদি অর্থ প্রকাশ করে।
– ‘বলিত’ শব্দটি ক্রিয়াপদ ‘বলা’ বা ‘গঠন করা’ থেকে উদ্ভূত।
– অন্য বিকল্পগুলোর মধ্যে ‘সবিদিত’ মানে সুপরিচিত, ‘সুবিনীত’ মানে ভদ্র বা শিষ্ট, এবং ‘বিধিত’ মানে নির্ধারিত।
– তাই প্রসঙ্গগত ও গঠনগত দিক থেকে ‘সুবলিত’ অর্থে ‘সুগঠিত’-ই সঠিক।
0
Updated: 1 week ago
প্রাণদঃজলঃঃমহীজঃ ?
Created: 1 week ago
A
সস্বর
B
গ্রহ
C
নিঃসর্গ
D
অশ্ব
উ. ঘ) অশ্ব
‘প্রাণদঃজলঃঃমহীজঃ’—এখানে একটি উপমা বা সম্পর্কসূচক ধারা আছে। ‘প্রাণদঃ’ অর্থ যে প্রাণ দেয়, অর্থাৎ জল; আবার ‘মহীজঃ’ অর্থ যে মাটি থেকে উৎপন্ন, অর্থাৎ অশ্ব বা ঘোড়া। উভয়ের মধ্যেই উৎপত্তিগত সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে।
-
প্রাণদঃ = জল, কারণ জল জীবজগতের প্রাণদাতা।
-
মহীজঃ = অশ্ব, কারণ ঘোড়াকে সংস্কৃতে “মহীজ” বলা হয়, যার অর্থ পৃথিবী বা ভূমি থেকে জন্ম নেওয়া।
-
উভয় শব্দেই তৎসম উৎসের যোগে গঠিত এবং সমাসজাত অর্থ প্রকাশ করেছে।
-
এই ধরনের সম্পর্ককে যৌগিক উপমা সম্পর্ক বলা হয়, যেখানে প্রথম শব্দের অর্থ দ্বিতীয়টির সাথে উৎপত্তিগতভাবে সম্পর্কিত।
0
Updated: 1 week ago