পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ কোনটি?
A
সুন্দরবন
B
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপ
C
আমাজন ব-দ্বীপ
D
নীলনদ ব-দ্বীপ
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ হলো গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বা বাংলাদেশ ব-দ্বীপ। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি বিশাল অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। নদী, পলি এবং জোয়ার-ভাটার প্রভাবে গঠিত এই ব-দ্বীপটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, উর্বর মাটি ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। নিচে এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরা হলো—
• অবস্থান ও বিস্তৃতি: গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর মিলিত পলিতে গঠিত এই ব-দ্বীপের আয়তন প্রায় ১,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার। এর বড় অংশ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এবং কিছু অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত।
• গঠনের কারণ: হিমালয় পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন নদীগুলো যখন সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়, তখন তারা প্রচুর পলি বয়ে আনে। এই পলিগুলো বঙ্গোপসাগরের উপকূলে জমে গিয়ে ধীরে ধীরে একটি বিশাল ব-দ্বীপ তৈরি করে।
• প্রধান নদীসমূহ: গঙ্গা, পদ্মা, যমুনা, মেঘনা এবং ব্রহ্মপুত্র নদ এই ব-দ্বীপের মূল স্রোতধারা। এরা শত শত উপনদী ও শাখানদী তৈরি করে সারা অঞ্চলে বিস্তৃত জলপ্রবাহ সৃষ্টি করেছে।
• সুন্দরবন অঞ্চল: এই ব-দ্বীপের দক্ষিণাংশে অবস্থিত সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য। এটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যেখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ নানা বিরল প্রাণী বাস করে।
• উর্বরতা ও কৃষি: গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপের মাটি অত্যন্ত উর্বর কারণ এতে নিয়মিত নদীর পলি জমে। এজন্য এখানে ধান, পাট, গম, আখ ও বিভিন্ন সবজি চাষ ব্যাপকভাবে হয়। বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির মূল ভিত্তি এই অঞ্চল।
• জলবায়ু ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য: এ অঞ্চলের জলবায়ু আর্দ্র উষ্ণমণ্ডলীয়। প্রচুর বৃষ্টি ও নদীর স্রোতের কারণে এখানে ঘন সবুজ বন, জলাভূমি ও নদনদীপূর্ণ পরিবেশ গড়ে উঠেছে।
• জনবসতি ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব: বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এখানকার মানুষ নদীনির্ভর জীবনযাপন করে—মৎস্য আহরণ, কৃষিকাজ ও নদীপথে পরিবহন তাদের জীবিকার প্রধান উৎস।
• ভূতাত্ত্বিক দিক: এই ব-দ্বীপটি এখনো গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। প্রতি বছর নতুন পলি জমে ভূমি বৃদ্ধি পাচ্ছে, আবার বন্যা ও জোয়ারে কিছু অংশ ক্ষয়ও হচ্ছে। তাই এটি একটি জীবন্ত ব-দ্বীপ (active delta)।
• বিশ্বে স্বীকৃতি: গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা ব-দ্বীপকে পৃথিবীর বৃহত্তম ও সক্রিয় ব-দ্বীপ হিসেবে ভূগোলবিদরা স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটি “বাংলাদেশ ব-দ্বীপ” নামেও পরিচিত কারণ এর বৃহত্তম অংশ বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অবস্থিত।
সব মিলিয়ে, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপ শুধু বিশ্বের বৃহত্তম নয়, বরং এটি একটি অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ, যা বাংলাদেশের ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 1 week ago
‘প্রচ্ছন্ন’ শব্দটির অর্থ কি?
Created: 5 days ago
A
ফর্সা
B
কুৎসিত
C
গোপন
D
অন্ধকার
বাংলা শব্দ ‘প্রচ্ছন্ন’ এর অর্থ হলো গোপন বা ঢেকে রাখা। এটি এমন কিছু বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা প্রকাশ্যে নয় বা আড়ালে লুকানো আছে। তাই সঠিক উত্তর হলো (গ) গোপন।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
১. শব্দের অর্থ ও ব্যবহার:
- 
প্রাচীন ও আধুনিক বাংলা উভয় সাহিত্যেই প্রচ্ছন্ন শব্দটি গোপন, আড়ালে রাখা বা ছদ্মবেশে থাকা অর্থে ব্যবহৃত হয়। 
- 
উদাহরণ: সে তার প্রচ্ছন্ন উদ্দেশ্য কাউকে জানায়নি। → এখানে উদ্দেশ্যটি গোপন রাখা হয়েছে। 
২. অন্যান্য বিকল্পের বিশ্লেষণ:
- 
ফর্সা (ক): রঙ বা ত্বকের রঙ বোঝায়, প্রচ্ছন্নের সাথে সম্পর্ক নেই। 
- 
কুৎসিত (খ): সৌন্দর্যের অভাব বোঝায়, প্রচ্ছন্নের অর্থ নয়। 
- 
অন্ধকার (ঘ): আলো বা আলোশূন্য পরিস্থিতি বোঝায়, কিন্তু প্রচ্ছন্ন শব্দের অর্থ শুধুমাত্র গোপন বা আড়াল। 
সারসংক্ষেপ:
- 
প্রচ্ছন্ন শব্দটি যে কিছু লুকানো বা আড়ালে রয়েছে, তা বোঝায়। 
- 
এটি সাধারণত গোপন তথ্য, উদ্দেশ্য বা অনুভূতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। 
উপসংহার:
‘প্রচ্ছন্ন’ শব্দের অর্থ হলো গোপন, তাই সঠিক উত্তর হলো (গ) গোপন।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 5 days ago
প্রাচীনকালে কোন দেশে সিভিল সার্ভিসের ধারণা প্রথম উদ্ভূত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
মিশর
B
গ্রীস
C
চীন
D
রোম
প্রাচীন যুগে সিভিল সার্ভিসের ধারণা প্রথম বিকশিত হয় চীনে, যদিও এর প্রাথমিক রূপ দেখা যায় আরও আগে বিভিন্ন সভ্যতায়। সিভিল সার্ভিস মূলত একটি রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক কাঠামো,
যার মাধ্যমে সরকার দক্ষ ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রশাসন পরিচালনা করে এবং নাগরিকদের সেবা প্রদান করে।
- সিভিল সার্ভিস হলো একটি পেশাদার, অরাজনৈতিক ও দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী বাহিনী, যারা সংবিধান ও সরকারের নীতিমালার আলোকে কাজ করে। 
- 
এ ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার তার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে ও জনগণের কাছে নীতিমালা বাস্তবায়ন করে। 
- 
এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনুসারে, প্রাচীন মিশর ও গ্রীক সভ্যতায় এই ধারণার সূচনা দেখা যায়। 
- 
পরবর্তীতে রোমান সাম্রাজ্য প্রশাসনিক দপ্তর গঠন করে একটি সংগঠিত নেটওয়ার্ক তৈরি করে, যা পরে রোমান ক্যাথলিক চার্চও অনুসরণ করে। 
চীনের অবদান:
- 
খ্রিষ্টপূর্ব ২ অব্দে চীনে সিভিল সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটে, যা দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। 
- 
মেধাভিত্তিক নিয়োগের প্রাচীনতম উদাহরণ হলো চীনের ইম্পেরিয়াল আমলাতন্ত্র, যেখানে পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ করা হতো। 
- 
চীনে সিভিল সার্ভিসের চাকরিকে বলা হয় “Iron Rice Bowl”, যার মাধ্যমে চাকরির স্থায়িত্ব ও উচ্চ বেতন বোঝানো হয়। 
- 
সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার স্থানীয় নাম ছিল “Guako” (পরবর্তীতে “Keju” নামে পরিচিত)। 
- 
খ্রিষ্টপূর্ব ২০৬ অব্দে হান রাজবংশের সম্রাট গাওজু (Gaozu) পরীক্ষার মাধ্যমে রাজকর্মচারী নিয়োগের ব্যবস্থা চালু করেন। 
- 
পরবর্তী সুই (৫৮১–৬১৮) ও তাং (৬১৮–৯০৭) রাজবংশে এই পদ্ধতি আরও উন্নত হয়। 
- 
সং রাজবংশ (৯৬০–১২৭৯) প্রথমবারের মতো “jinshi degree” নামক যোগ্যতা ও পরীক্ষা পদ্ধতির প্রচলন করে। 
- 
মিং (১৩৬৮–১৬৪৪) ও কিং (১৬৪৪–১৯১১) রাজবংশে সিস্টেমটি পূর্ণাঙ্গ রূপ নেয়। 
- 
কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম ছিল—নিজ এলাকায় পোস্টিং না পাওয়া, তিন বছরের বেশি এক জায়গায় না থাকা, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য শাস্তির বিধান ইত্যাদি। 
- 
১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর বর্তমান রাষ্ট্রীয় সিভিল সার্ভিস ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, যেখানে সাধারণত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরাই নিয়োগ পান। 
অতএব, বিশ্বে সিভিল সার্ভিসের উদ্ভব চীনেই হয়েছে বলে ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এই কাঠামো ভারত ও পাকিস্তানে বিভক্ত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে এই কাঠামো পুনর্গঠিত হয়ে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (BCS) নামে আত্মপ্রকাশ করে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 weeks ago
গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স- ২০২৫ অনুযায়ী, বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষ দেশ?
Created: 3 weeks ago
A
জেনেভা
B
মেলবোর্ন
C
জুরিখ
D
কোপেনহেগেন
গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৫ প্রতি বছর ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (EIU) দ্বারা প্রকাশিত হয়, যা বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরগুলোর অবস্থান মূল্যায়ন করে। এই তালিকায় মোট ১৭৩টি শহরের পাঁচটি মূল মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিচার করা হয়, যা হলো স্থিতিশীলতা (Stability), স্বাস্থ্যসেবা (Healthcare), সংস্কৃতি ও পরিবেশ (Culture & Environment), শিক্ষা (Education) এবং অবকাঠামো (Infrastructure)। ১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে ইআইইউ ২০২৫ সালের তালিকা প্রকাশ করেছে।
• শীর্ষ শহরগুলো হলো: কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক (Copenhagen, Denmark), ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া (Vienna, Austria), জুরিখ, সুইজারল্যান্ড (Zurich, Switzerland), মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া (Melbourne, Australia) এবং জেনেভা, সুইজারল্যান্ড (Geneva, Switzerland)।
• বাংলাদেশের অবস্থান ১৭১ তম।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 weeks ago