করণ কারক

যে কারো মাধ্যমে বা যার সাহায্যে কোনো কাজ বা ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে করণ কারক বলা হয়। ‘করণ’ শব্দের অর্থ হল উপায় বা সহায়ক মাধ্যম।

বাক্যের ক্রিয়াপদকে যদি ‘কার দ্বারা’ বা ‘কী উপায়ে’ প্রশ্ন করা হয় এবং যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই করণ কারক।

করণ কারকের বিভিন্ন বিভক্তি ও ব্যবহার

১. প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি
উদাহরণ:

• ছাত্ররা বল খেলে।

• ঘোড়াকে চাবুক মার।

২. তৃতীয়া বা দ্বারা বিভক্তি
উদাহরণ:

• লাঙ্গল দ্বারা জমি চাষ করা হয়।

• মন দিয়া কর সবে বিদ্যা অর্জন। (দিয়া বিভক্তিও ব্যবহার হয়)

৩. সপ্তমী বা এ বিভক্তি
উদাহরণ:

• ফুলে ফুলে ঘর ভরেছে।

• জ্ঞানে বিমল আনন্দ হয়।

৪. তে বিভক্তি
উদাহরণ:

• লোকটা জাতিতে বৈষ্ণব।

৫. য় বিভক্তি
উদাহরণ:

• চেষ্টায় সব হয়।

সূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ – নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ

বিভক্তি

বিভক্তি হলো সেই বর্ণ, বর্ণসমষ্টি বা চিহ্ন যা বাক্যের একটি পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ক নির্ধারণ করে। সহজ কথায়, এটি নির্দেশ করে কোন শব্দ কোন ক্রিয়ার বা পদের সঙ্গে যুক্ত।

বাংলা শব্দের ৭ ধরনের বিভক্তি:

1. প্রথমা বা শূণ্য বিভক্তি: ০, অ

2. দ্বিতীয়া বিভক্তি: কে, রে

3. তৃতীয়া বিভক্তি: দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক

4. চতুর্থী বিভক্তি: কে, রে

5. পঞ্চমী বিভক্তি: হইতে (হতে), থেকে, চেয়ে

6. ষষ্ঠী বিভক্তি: র, এর

7. সপ্তমী বিভক্তি: এ, য়, তে

উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম–দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

প্রাতিপদিক হলো সেই মূল শব্দ বা ধাতু, যার সাথে কোনো বিভক্তি যোগ করা হয়নি। বাংলা ব্যাকরণে এটি শব্দের মূল রূপ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বিভক্তি যুক্ত হলে পূর্ণ অর্থবোধক শব্দ বা পদে পরিণত হয়। উদাহরণস্বরূপ: "ছাত্র" প্রাতিপদিক শব্দ; বিভক্তি যোগ করলে এটি হয় "ছাত্ররা", "ছাত্রের" ইত্যাদি।