ক্ষমতা এমন একটি ভৌত রাশি যা নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন কাজের হার নির্দেশ করে। অর্থাৎ, যত দ্রুত কোনো কাজ সম্পন্ন হয়, তার ক্ষমতা তত বেশি।
আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি বা SI পদ্ধতিতে ক্ষমতার একক হলো ওয়াট (Watt)। এটি বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটের নাম অনুসারে নির্ধারিত। এক ওয়াট মানে হলো, প্রতি সেকেন্ডে এক জুল কাজ সম্পন্ন করার হার।
মূল তথ্যসমূহঃ
-
ক্ষমতার সংজ্ঞা: নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন কাজের হারকে ক্ষমতা বলা হয়।
-
সূত্র: ক্ষমতা = কাজ ÷ সময়
-
ক্ষমতার একক: ওয়াট (W)
-
সম্পর্ক: ১ ওয়াট = ১ জুল/সেকেন্ড
-
প্রচলিত বড় একক:
-
১ কিলোওয়াট (kW) = ১০০০ ওয়াট
-
১ মেগাওয়াট (MW) = ১০⁶ ওয়াট
-
-
উদাহরণ:
-
একটি ছোট বাল্বের ক্ষমতা হতে পারে ৬০ ওয়াট।
-
একটি বড় মোটরের ক্ষমতা হতে পারে কয়েক কিলোওয়াট।
-
-
এককের উৎস: ওয়াট নামটি এসেছে স্কটিশ উদ্ভাবক জেমস ওয়াটের নাম থেকে, যিনি বাষ্প ইঞ্জিনের উন্নয়ন করেছিলেন।
-
অন্য সংশ্লিষ্ট একক:
-
কাজ ও শক্তির একক: জুল (J)
-
তাপের পুরনো একক: ক্যালরি (cal)
-
বলের একক: নিউটন (N)
-
-
সম্পর্কিত ধারণা:
-
যদি কোনো যন্ত্র এক সেকেন্ডে ১ জুল কাজ করে, তবে তার ক্ষমতা ১ ওয়াট।
-
সময় যত কমে, কাজের হার তত বেড়ে যায়; তাই ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
-
-
দৈনন্দিন জীবনে উদাহরণ:
-
টিউবলাইট: প্রায় ৪০ ওয়াট
-
ফ্যান: প্রায় ৭৫ ওয়াট
-
ইস্ত্রি: প্রায় ১০০০ ওয়াট
-
ফ্রিজ: প্রায় ২০০ ওয়াট
-
সুতরাং, আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতিতে ক্ষমতার পরিমাপের মানদণ্ড হিসেবে ওয়াট সর্বজনস্বীকৃত একক। এটি শক্তি ব্যবহারের গতি বা কাজ সম্পন্নের হার নির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একক।